✍️ বাংলাদেশের কৃষিতে সবুজ বিপ্লব বিস্তারের প্রধান অন্তরায়সমূহ কী কী?

[ad_1]

✍️ বাংলাদেশের কৃষিতে সবুজ বিপ্লব বিস্তারের প্রধান অন্তরায়সমূহ কী কী?

উত্তর : বাংলাদেশের কৃষিতে সবুজ বিপ্লব বিস্তারের প্রধান অন্তরায়সমূহ :

১. প্রাকৃতিক বাধাসমূহ : বন্যা , ঘূর্ণিঝড় , রোগ , মহামারী , প্রাকৃতিক দুর্যোগ , জলোচ্ছ্বাস ক্ষরা ইত্যাদি কারণে সবুজ বিপ্লব বাধাগ্রস্ত হয় ।

২. দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা : সবুজ বিপ্লবকে ফলপ্রসূ করার জন্য দরকার সমবায় খামার পদ্ধতি । বাংলাদেশে সমবায় খামার পদ্ধতির অভাব ।

৩. পর্যাপ্ত সেচের অভাব : সবুজ বিপ্লব কার্যকরী করার জন্য পর্যাপ্ত জলসেচের ব্যবস্থা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ । বাংলাদেশে সেচ ব্যবস্থা অপর্যাপ্ত বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে ।

৪. সনাতনী চাষাবাদ পদ্ধতি : বাংলাদেশে এখনো অখণ্ড , বিখণ্ড জমিতে গরু , লাঙ্গল উপকরণ দ্বারা সনাতনী চাষাবাদ পদ্ধতি চলছে ।

৫. জমির খণ্ড – বিখণ্ড ও বিচ্ছিন্নতা : উৎপান পদ্ধতি আধুনিকীকরণ ও অধিক উৎপাদনের জন্য এ খণ্ড – বিখণ্ড ও বিছিন্নতা বাধা হিসেবে কাজ করে ।

৬. অজ্ঞতা ও অদক্ষতা : আমাদের দেশের চাষিরা অজ্ঞ ও অদক্ষ যা সবুজ বিপ্লবকে বাধা প্রদান করে ।

৭. জলাবদ্ধতা ও লবণাক্ততা : সমুদ্রউপকূলের অঞ্চল চট্টগ্রাম , নোয়াখালি , ভোলা , হাতিয়া এ ধরনের সমস্যান্তে সৃষ্টির কারণে সবুজ বিপ্লব ঘটানো সম্ভব নয় । এছাড়াও অনুন্নত পরিবহন ও যাতায়াত ব্যবস্থা , গুদামজাতকরণ ও বাজারজাতকরণ সমস্যা , ঝুঁকি ও অনিশ্চয়তা অপ্রাপ্ত শ্রম ও শ্রমিক , অতিরিক্ত জনসংখ্যা ও কৃষি উপকরণের অপর্যাপ্ততা ইত্যাদি সবুজ বিপ্লবের অন্তরায় ।

✍️ কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বর্তমানে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ?

উত্তর : কৃষি উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে নিম্নোক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে ।

১. কৃষি উপকরণে ভর্তুর্কি বৃদ্ধি , কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করা ও কৃষি ঋণের আওতা বৃদ্ধি এবং প্রাপ্তি , সহজীকরণ করা হয়েছে ।

২. দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের উৎপাদিত শস্য প্রাকৃতিক দুর্যোগে নষ্ট হওয়ার কারণে তাদেরকে শস্যমূল্য সহায়তার জন্য কৃষিবীমা এবং কৃষক পর্যায়ে কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার জন্যও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে ।

৩. মাটির স্বাস্থ্য বজায় রাখা ও অধিক ফলন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সুষম সার ও জৈব সারের ব্যবহার কৃষকদের মাঝে জনপ্রিয় করার লক্ষ্যে সারাদেশে ৯৭ লক্ষ পরিবারের মাঝে বসতভিটার চারদিকে জৈবসার , সবুজ সার ও জীবাণু সারের মাধ্যমে কৃষি পণ্য উৎপাদনের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে ।

৪. দেশজ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের সহায়তা প্রদানের জন্য সার ও অন্যান্য কৃষি কার্যক্রমের ভর্তুকি বাবদ ২০১০-১১ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে ৫,০০০.০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে । এছাড়াও কৃষির আধুনিকায়ন আবহাওয়া ও পরিবেশ উপযোগী এলাকাভিত্তিক কৃষকদের চাহিদা অনুযায়ী ফসলের উন্নতজাত এবং প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও উন্নয়ন , লক্ষ্যভিত্তিক কৃষি সম্পসারণ কৃষি গবেষণার সুযোগ – সুবিধা বৃদ্ধিকরণ প্রভৃতি কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে যা কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।

✍️ বীজ ও রোপণ দ্রব্যে বিএডিসির কার্যক্রম আলোচনা কর ।

উত্তর : মানসম্মত বীজ কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির প্রধান উপকরণ । অধিক হারে মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন ও কৃষকদের নিকট সরবরাহের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি করা সম্ভব । এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন বা বিএডিসি সারা দেশে ২৩ টি দানা শস্যবীজ উৎপাদন খামার । ২ টি পাট বীজ উৎপাদন খামার , ২ টি আলু বীজ উৎপাদন খামার । ৩ টি ডাল তৈলবীজ উৎপাদন খামার । ২ টি সবজি বীজ উৎপাদন খামার ও ৭৫ টি চুক্তিবদ্ধ চাষি জোনের মাধ্যমে বীজ উৎপাদন কার্যক্রম এবং ৯ টি উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্র ও ১২ টি এপ্রো সার্ভিস সোটারের মাধ্যমে উৎপাদিত ফসলের চারা কলম ও গুটি ইত্যাদি উৎপাদন ও চাষ পর্যায়ে বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে । বাংলাদেশের বীজের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ২০১০-১১ অর্থবছরে বিএডিসি উন্নত জাতের ৯০৯৫০ মে . টন ধান বীজ ২৭০০০ মে . টন গম বীজ । ২০০ মে . টন আলু বীজ , ১২২৫ মে . টন ডাল বীজ ১২৭৫ মে . টন তৈল বীজ , ১১৪০ মে . টন পাট বীজ , ১০০ মে . টন সবজি বীজ ৫০০ মে . টন ভুট্টা বীজ এবং ৭০০ মে . টন মশলা জাতীয় বীজসহ মোট ১৪৩১৯০ মে . টন বীজ উৎপাদনের কর্মসূচি গ্রহণ করেছে । ২০০৯-১০ অর্থ বছরে বিএডিসি ৪৪৪১৭ মে . টন উচ্চ ফলনশীল এবং ৬৯ মে . টন হাইব্রিডসহ মোট ৪৪৮৬ মে . টন বোরো বীজ কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করে ।

✍️কৃষি পণ্যের উৎপাদন বৃদ্ধিতে বর্তমানে সেচ ব্যবস্থার একটি চিত্র বর্ণনা কর ।

উত্তর : কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সেচ ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে । ২০০৪-০৫ অর্থবছরে সেচভুক্ত এলাকা ছিল ৫৩.৬৫ লক্ষ হেক্টর যা ২০০৯-১০ অর্থবছরে বৃদ্ধি পেয়ে হয় ৫৬.৯০ লক্ষ হেক্টর । ২০১০-১১ অর্থবছরে সেচের আওতাধীন জমির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০-৯৮ লক্ষ হেক্টর । বিএডিসি সংশ্লিষ্ট সেচ প্রকল্প ও এলাকা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে গভীর নলকূপ , অগভীর নলকূপ , ভাসমান পাম্প এবং শক্তিচালিত পাম্প ব্যবহার এবং খাল – নালা সংস্কার , লুইস গেট নির্মাণের মাধ্যমে ২০০৫-০৬ অর্থবছরে ৪.৭৫ লক্ষ হেক্টর এবং ২০০৮ ০৯ অর্থবছরে ৫.০০ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদান করেছে । বর্তমান সরকার ২০০৯-১০ অর্থবছরে ৫.১০ লক্ষ হেক্টর , ২০১০-১১ অর্থবছরে ৫.৩৫ লক্ষ হেক্টর এবং ২০১১-১২ অর্থবছরে ৫.৫৫ লক্ষ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা প্রদানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ।

✍️বাংলাদেশের জন্য কোন ধরনের খামার উপযুক্ত ও প্রযোজ্য ।

উত্তর : বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান উন্নয়নশীল দেশ । এ দেশের জাতীয় আয়ের সিংহভাগ কৃষি হতে আসলেও কৃষি খামার ব্যবস্থা কোন ধরনের হওয়া দরকার এ বিষয়ে কোন সঠিক নীতিমালা নেই । তবে বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে সমবায়ের মাধ্যমে চাষ করার প্রচেষ্টা থাকলেও বাস্তবতায় কোন অঞ্চলেই ফলপ্রসূ ভুমিকা রাখতে পারে নি । বাংলাদেশ রাশিয়ার মতো উন্নতও নয় যে যৌথ খামার ব্যবস্থা প্রচলন করবে । অতীত থেকে শুরু করে বর্তমানকালেও বাংলাদেশের সামগ্রিক কৃষি ভূমি ব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব হয় নি । সরকারি কোন সঠিক নীতিমালাও নেই যে সমবায় কিংবা যৌথ খামারে উৎপাদন করলে বিশেষ সুবিধা হবে । অতীতকালে যেমন এ দেশের ভূমি ব্যবস্থা ব্যক্তিমালিকানায় ছিল । আজও তা বলবৎ আছে । অতীতের তুলনায় বর্তমানে ভূমির খণ্ড – বিখন্ডতা বেড়েছে অনেক । যদিও এ দেশের কৃষি ব্যবস্থায় সমবায় খামার পদ্ধতিতে চাষাবাদের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে , বাংলাদেশে সামাজিক ও রাজনৈতিক রেষারেষির কারণে এ ধরনের চাষাবাদ পদ্ধতি প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না ।

উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে এ কথা বলা যায় যে , বাংলাদেশ নিম্নোক্ত কারণে ব্যক্তিগত মালিকানা চাষাবাদ পদ্ধতিই যুক্তিযুক্ত :

১. যেহেতু ভূমি ব্যবস্থা অসমতল , জমির মালিকানা বিচ্ছিন্নতা , সফল স্থানে একরকম উৎপাদিকা শক্তি সম্পন্ন নয় সে জন্য ব্যক্তিগত মালিকানায় থাকাই ভালো ।

২. বাংলাদেশের কৃষিতে চাষাবাদ পদ্ধতি সম্পূর্ণই জীবন নির্বাহী এবং একমাত্র চাষি নিজের প্রয়োজনে ও জীবন নির্বাহের জন্য জমি চাষাবাদ করে ।

✍️পশুসম্পদ উপখাতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য বর্ণনা কর ।

উত্তর : পশু সম্পদ উপখাতের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যসমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলো :

১. পশু সম্পদ উন্নয়ন এবং উৎপাদনের ক্রমধারা টিকিয়ে রাখা ও বৃদ্ধি করার জন্য প্রজনন প্রক্রিয়ায় মানোন্নয়ন , রোগ প্রতিরোধক এবং উন্নত পশু খাদ্য পদ্ধতি প্রয়োগ করা ।

২. অভ্যন্তরীণ ভোগ এবং রপ্তানি উভয় ক্ষেত্রে পশু সম্পদের উৎপাদন এবং সরবরাহ বৃদ্ধি করা ।

৩. গরু , মহিষ , ছাগল , ভেড়া ইত্যাদি প্রাণীর মলমূত্র এবং বর্জ্য পদার্থ সর্বাধিক ব্যবহারের মাধ্যমে উৎপাদনের সহায়ক উৎপাদন হিসেবে ব্যবহার করা ।

৪. নতুন নতুন পশু ও পাখি খামার পর্যায়ে উৎপাদনের জন্য নতুন উৎপাদন পদ্ধতি অবলম্বন করা ।

৫. পশু সম্পদ ও হাঁস মুরগি উৎপাদনের মাণ নিয়ন্ত্রণ এবং বিপণনের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা ।

৬. যথাযথ নীতি প্রণয়নের মাধ্যমে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পশু সম্পদের ব্যবসায় বাণিজ্য সংহত করা । ৭. ভবিষ্যৎ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার জন্য উদ্ভাবনাময় গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ করা ।

৮. পল্লি এলাকায় পশু পালনকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান ।

৯. পশু সম্পদ উন্নয়ন ও উৎপাদনের ক্ষেত্রে গবেষণার সম্প্রসারণ ও শিক্ষাকে পরস্পর সম্পর্কযুক্তকরণ ।

✍️বাংলাদেশে খাদ্য সংকটের কারণ কী কী ? কিভাবে উক্ত সংকট দূর করা যায় ।

উত্তর : বাংলাদেশের খাদ্য সংকটের কারণগুলো নিম্নরূপ :

১. জনসংখ্যা বৃদ্ধি .

২. জমির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস .

৩. প্রাকৃতিক বিপর্যয় ৪. বিতরণ ব্যবহার ত্রুটি.

৫. ক্রয় ক্ষমতার বিপর্যয়

৬. অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা

৭. অপর্যাপ্ত যানবাহন

৮. চোরা চালান

৯. মজুতদার

১০. অপরিকল্পিত ফসল উৎপাদন খাদ্য সংকট দূরীকরণের উপায় :

১. উৎপাদন বৃদ্ধি করা

২. নতুন খাদ্যের সাথে জনগণকে পরিচিত করে দেয়া ।

৩. বন্যা নিয়ন্ত্রণ

৪. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ

৫. চোরা চালান দমন

৬. পরিকল্পিত ফসল উৎপাদন

৭. আধুনিক চাষাবাদ

৮. নতুন আবাদ ভূমির সৃষ্টি

৯. মজুতদারীর অবসান

১১. বণ্টন ব্যবহার উন্নয়ন

১২. পরিকল্পিতভাবে রাস্তাঘাট তৈরি

১৩. যান্ত্রিক যানের সংখ্যা বৃদ্ধি

১৪. খাদ্য আমদানি ইত্যাদি ।

✍️কৃষি পণ্য বাজারজাতকরণের সমস্যাগুলো কী কী ?

উত্তর : কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের সমস্যা : বাংলাদেশে কৃষিজাত পণ্য বাজারজাতকরণের ক্ষেত্রে যেসব সমস্যা পরিলক্ষিত হয় সেগুলো নিম্নে বর্ণনা করা হলো :

১. পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার সমস্যা : বাংলাদেশের পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত হওয়ার কারণে কৃষকরা তাদের পণ্য বাজারজাত করতে পারে না । ফলে তারা ন্যয্য মূল্য পায় না ।

২. গুদামজাতকরণে সমস্যা : উন্নতমানের গুদাম , হিমাগার ইত্যাদি না থাকায় কৃষকরা তাদের পণ্য গুদামজাতকরণ করতে পারে না , ফলে কৃষকরা মৌসুমে তাদের পণ্য বিক্রি করতে হয় ।

৩. শ্রেণীবিন্যাস ও মানোন্নয়ন সমস্যা : বাংলাদেশের কৃষকরা তাদের পণ্যের মানোন্নয়ন করে না । কারণ তারা মনে করে বাছাই ও মানোন্নয়ন করলেও তার কোন উৎকৃষ্ট মূল্য পাওয়া যায় না । ফলে তারা ন্যয্য মূল্য পায় না ।

৪. মধ্যস্বত্বভোগী / ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব : কৃষি পণ্যের বাজারজাতকরণ প্রক্রিয়ায় পালাল , ফড়িয়া বেপারি ইত্যাদি ধরনের মধ্যবর্তী ব্যবসায়ী শ্রেণীর অস্তিত্ব আছে । এসব ব্যবসায়ী কৃষক ও ভোক্তার মাঝখানে অবস্থান করে প্রচুর মুনাফা অর্জন করে।

৫. দাম নির্ধারণ সমস্যা : কৃষি পণ্যের দাম নির্ধারণের জন্য সরকারি কোন নীতিমালা নেই । ফলে কৃষকদেরকে উঠার সময় কম মূল্যে ফসল বিক্রি করতে হয় ।

৬. কৃষকদের সংগঠিত সংস্থার অভাব : বাংলাদেশে কৃষিপণ্যের বাজারজাতকরণের জন্য কৃষকদের দেশব্যাপী কোন সংস্থা নেই । ফলে কৃষকদের পরকষাকষির ক্ষমতা নেই । একারণে কৃষকরা শোষিত হয় ।

৭. বাজার সম্পর্কিত তথ্যের অভাব : বাংলাদেশের কৃষকরা কৃষি পণ্যের চাহিদা , যোগান ও দাম সম্পর্কে অজ্ঞ । যদিও রেডিওতে ঢাকার বাজারে পণ্যের দাম প্রচার করা হয় । তবুও তা গ্রামঞ্চলের কৃষকদের তেমন উপকারে আসে না ।

✍️ বাংলাদেশের কৃষি বিপণন নীতি কেমন হওয়া উচিত ?

উত্তর : বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কামা কৃষি বিপণন নীতির প্রকৃতি নির্ভর করে কাঙ্ক্ষিত উদ্দেশ্যের উপর । কৃষি বিপণন নীতির মাধ্যমে সে উদ্দেশ্যগুলো পূরণ করার চেষ্টা করা হয় সেগুলো নিম্নরূপ ।

১. মূল্য নির্ধারণের দক্ষতা

২. কৌশলগত দক্ষতা

৩. দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন উপরের বর্ণিত উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য অর্জনের জন্য বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে কৃষি বিপণননীতি নিম্নরূপ হওয়া বাঞ্ছনীয়।

১. কৃষিবাজার ব্যবস্থার অবকাঠানো নির্বাচন : কৃষি বিপণন নীতির মধ্যে যোগাযোগ , পরিবহন , গুদামঘর ইত্যাদি

২. তথ্য সরবরাহ : কৃষকরা যেন সবসময় দেশের ও বিদেশের বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকেবহাল থাকে সে ব্যবস্থা করতে হবে ।

৩. কৃষকের দরকষাকষিতে অবস্থান : কৃষি সমবায় অথবা টেডিং বোর্ড গঠন করে কৃষকদের পরকষাকষিতে অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে ।

৪. মূল্য নীতি : মূল্য স্থিতিশীলকরণ নীতি অবলম্বনের উদ্দেশ্যে সরকার বাজার স্টক গঠন করতে পারে

৫. আইন শৃঙ্খলা : কৃষি বাজার ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য আইন – শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাতে হবে ।

[ad_2]