অথবা, সুফিবাদকে ধর্মের চেয়ে অতিরিক্ত বলা চলে কি না?
অথবা, সুফিবাদকে ধর্মের চেয়ে অতিরিক্ত বলা যুক্তিযুক্ত কিনা সংক্ষেপে লিখ।
অথবা, সুফিবাদকে ধর্মের চেয়ে অতিরিক্ত বলার যৌক্তিকতা সংক্ষেপে বিশ্লেষণ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সুফিবাদ তাত্ত্বিক দিকের চেয়ে ব্যবহারিক দিকের উপর বেশি গুরুত্ব দেয়। সুফিবাদকে বর্ণনার চেয়ে অনুভবেই বুঝা সম্ভব। যারা মরমি ভাবধারায় বিশ্বাস করেন তারা মনে করেন যে, প্রগাঢ় অন্তর্দৃষ্টি বা অতীন্দ্রিয় অনুভব শক্তির সাহায্যেই ঐশী জ্ঞান লাভ সম্ভব। অনেকে মনে করেন যে, সুফিবাদ ধর্মের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে
তা নয়।
সুফিবাদ কী ধর্মের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু : ইসলাম শান্তির ধর্ম। যুগে যুগে আধ্যাত্মিক ও পারলৌকিক সুখের ও সাফল্য লাভে ইসলাম মানুষকে পথ দেখিয়েছে। ইসলামের সাধারণ শিক্ষার বৈশিষ্ট্য হলো এটি সকল মানুষের
একটি পরিপূর্ণ জীবন বিধান। যারা শরীয়তপন্থি এবং সুফিবাদকে যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখেন তারা বলেছেন, আল্লাহ্ পাক.আল কুরআনে যে পথের কথা বলেন তা হলো ‘সিরাজুল মুস্তাকিম’ বা সহজ সরল পথ। তাই যদি হয় তাহলে সুফি পথ.বলতে ভিন্ন পথ আছে কী? তাদের বক্তব্য হলো আল্লাহ্ পাক তার নবী রাসূলদের মাধ্যমে বিশেষ করে হুজুরে পাক (স).এর মাধ্যমে আমাদের সোজা পথের সন্ধান দিয়েছেন। তাহলে ভিন্নপথের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে বলে তারা মনে করেন না।.তাদের মতে, সহজ সরল ধর্ম ইসলামকে সুফিগণ কঠিন করে ফেলেছে। তারা আরো বলেছেন, সুফিবাদ হলো অতিরিক্ত,কাঠিন্যতা, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সুফিবাদ তেমন নয়। মূলত সুফিবাদ শরীয়তের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু নয়ই, বরং এটি ইসলামি.শিক্ষার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, সুফিরা সহজ সরল পথে আল্লাহর দিদার লাভ করে কঠোর সাধন করেন।.ভয় ভীতিকে উপেক্ষা করে; সাধনার বন্ধুর পথ মাড়িয়ে সুফি মঞ্জিল হতে মঞ্জিলান্তরে গমন করেন। সুতরাং বলা যায়,.সুফিবাদ শরীয়তের চেয়ে অতিরিক্ত কিছু নয়, বরং এটি ইসলামি শিক্ষার সাথে জড়িত।