উৎস : ব্যাখ্যেয় গদ্যাংশটুকু মননশীল প্রাবন্ধিক মোতাহের হোসেন চৌধুরী বিরচিত ‘সংস্কৃতি কথা’ শীর্ষক প্রবন্ধ থেকে চয়ন
প্রসঙ্গ : এখানে প্রাবন্ধিক কালচারের উপায় ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে এ মূল্যবান মন্তব্য করেছেন।
বিশ্লেষণ : কালচার বা সংস্কৃতি শিক্ষিত ও বিবেকবান মানুষের আত্মার খোরাক। সাহিত্য, শিল্প, সংগীত প্রভৃতি সংস্কৃতির উপায় বা উপকরণ। মার্জিত মানুষ নিজের মনের তাগিদেই সাহিত্য, সংগীত বা শিল্প নির্মাণ করে। সাহিত্য রচনা করে সাহিত্যিক নিজের উপলব্ধিকে প্রকাশ করে। সংগীত রচনা বা পরিবেশন করে গীতিকার বা গায়ক মনের অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ ঘটায়। শিল্প নির্মাণ করে শিল্পী তার অভিব্যক্তি ফুটিয়ে তোলে। এভাবে এগুলোর মধ্য দিয়ে সংস্কৃতি নির্মিত হয়। এগুলো কালচারের উদ্দেশ্য নয়- উপায়। এসব উপায়ে কালচার বিকশিত হয়। কালচারের উদ্দেশ্য নিজের ভিতর একটা ঈশ্বর বা আল্লাহ সৃষ্টি করা। যে তা করতে পেরেছে সে-ই কালচার্ড উপাধি পেতে পারে, অপরে নয়। বাইরের ধর্মকে যারা গ্রহণ করে তারা আল্লাহকে জীবন প্রেরণা রূপে পায় না, ঠোঁটের বুলি হিসেবে পায়। আল্লাহকে সে স্মরণ করে, ইহলোকে মজাসে জীবনযাপন করতে আর পরকালে দোজখের আযাব থেকে রক্ষা পেতে।
মন্তব্য : সাহিত্য, সংগীত, শিল্প প্রভৃতি চর্চার মাধ্যমে সংস্কৃতিবানেরা একটা সুন্দর মন তৈরি করে নেয়। এ সুন্দর মনই ঈশ্বর বা আল্লাহর ঘর।