অথবা, সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ কর।
অথবা, সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের গুরুত্ব লিখ।
অথবা, সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের তাৎপর্যসমূহ লিখ।
থাকে । তত্ত্বের ভূমিকা ও কার্যাবলি সম্পর্কে বিভিন্ন তাত্ত্বিক বিভিন্ন মন্তব্য প্রকাশ করেছেন। Good and Hatt মনে করেন,
উত্তর৷ ভূমিকা : তত্ত্ব গবেষণায় বিকাশ, পরিচালনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে “তত্ত্ব কতকগুলো বিশেষ ভূমিকা পালন করে । বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় তত্ত্ব একটি প্রধান কৌশল হিসেবে এ ভূমিকা রাখে।”
সামাজিক গবেষণায় তত্ত্বের ভূমিকা : নিম্নে তত্ত্বের ভূমিকা বা কার্যাবলি আলোচনা করা হলো :
১. তত্ত্ব অনুসন্ধানের দিকনির্দেশনা দেয় : একটি তত্ত্ব গবেষক বা বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধানের দিকনির্দেশনা দেয় । অর্থাৎ প্রতিটি পর্যবেক্ষণের পিছনেই একটি তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ বা কাঠামো কাজ করে। গবেষক কোনো ধরনের ঘটনা বা তথ্য পর্যবেক্ষণ ও লিপিবন্ধ করবেন তা নির্ধারিত হয় তত্ত্বের আলোকে ।
২. শ্রেণিবিন্যাস এবং ধারণাগত কাঠামো নির্মাণে তত্ত্ব : তত্ত্ব ঘটনাবলি শ্রেণিবিন্যাস এবং ধারণা গঠনে সাহায্য করে । বস্তুত জ্ঞানকে সুসংবন্ধ করতে হলে একটি পদ্ধতির প্রয়োজন হয়; যার সাহায্যে তথ্যসমূহকে শ্রেণিবিন্যস্ত ও সংক্ষিপ্ত করা চলে।
৩. তথ্যের সংক্ষিপ্তকরণে তত্ত্ব : তত্ত্বের আরেকটি কাজ হলো সংক্ষিপ্তকরণ । কোনো একটি বিষয় সম্বন্ধে অনুসন্ধান করে আজ পর্যন্ত যে জ্ঞান অর্জিত হয়েছে, তত্ত্বের কাজ হলো তা সংক্ষিপপ্তভাবে প্রকাশ করা।
৪. তত্ত্ব তথ্য সম্পর্কে পূর্বানুমানে সাহায্য করে : তত্ত্ব তথ্য সম্পর্কে পূর্বানুমানে সাহায্য করে। তত্ত্ব গবেষককে কতকগুলো দিক নির্দেশ দেয় যার মাধ্যমে গবেষক বুঝতে পারেন তিনি কি ধরনের তথ্য পর্যবেক্ষণ করতে সমর্থ হবেন ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, সমাজ গবেষণায় তত্ত্ব তথ্যের সাধারণীকরণ ও পূর্বানুমান সাহায্যের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে । তত্ত্বের মাধ্যমেই গবেষণা সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করা হয় এবং গবেষণা কর্মটির শেষে একটি তাত্ত্বিক কাঠামো বিনির্মাণ করা হয় ।