অথবা, সাক্ষাৎকারের প্রকারভেদ লিখ।
অথবা, সাক্ষাৎকার কত প্রকার ও কী কী?
অথবা, সাক্ষাৎকারের প্রকারভেদ উল্লেখ কর।
অথবা, সাক্ষাৎকারের শ্রেণিবিভাজনগুলো কী কী?
উত্তর।৷ ভূমিকা : ব্যক্তি সমাজকর্মে মনোসামাজিক সমস্যা নির্ণয় ও সমাধানের ব্যাপারে ব্যক্তি ও তার সমস্যা সংক্রান্ত তথ্যাবলি সংগ্রহের উদ্দেশ্যে সমাজকর্মী ও সাহায্যার্থী ব্যক্তির মধ্যে যে পেশাগত কথোপকথন হয় তাকে সাক্ষাৎকার (Interview) বলে। অন্যভাবে বলা যায় যে, কোনো বিশেষ উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে দু’জন ব্যক্তির মধ্যে যে আলাপচারিতা হয় তাকে সাক্ষাৎকার বলে।
সাক্ষাৎকারের ধরন : সাক্ষাৎকারকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা :
১. আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার (Formal interview) ও
২. অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার (Informal interview)।
১. আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার (Formal interview) : আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার হলো সেই ধরনের সাক্ষাৎকার ব্যবস্থা যাতে নির্দিষ্ট প্রশ্নমালার ভিত্তিতে উত্তরগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়। তবে সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী প্রয়োজনবোধে প্রশ্নের ব্যাখ্যা করতে পারেন কিংবা নতুন প্রশ্ন সংযোজন করতে পারেন।
২. অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার (Informal interview) : অনানুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকারের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট বা পূর্ব নির্ধারিত প্রশ্নপত্র থাকে না। তবে সামাজিক গবেষণার উদ্দেশ্য পূরণের লক্ষ্যে যেসব তথ্য প্রয়োজন সেগুলোর সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রশ্ন করা হয় এবং তা বিভিন্নভাবে লিপিবদ্ধ করা হয়।
উপসংহার : উপযুক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, দুই বা ততোধিক ব্যক্তির মধ্যে পূর্ব নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে সমাযোজন স্থাপনের মাধ্যমে ঘটিত পেশাগত কথোপকথনই হলো সাক্ষাৎকার। সমাজকর্মে সাহায্যার্থীর সম্পর্কে মনোসামাজিক অনুধ্যান, সমস্যার কারণ নির্ণয় ও সমাধানের লক্ষ্যে সাহায্যার্থী সম্পর্কে তথ্যসংগ্রহের প্রয়োজন পড়ে। এ তথ্যসংগ্রহের উদ্দেশ্যে সাহায্যার্থী ও সমাজকর্মীর মধ্যে অনুষ্ঠিত পেশাগত আলাপ-আলোচনাই সাক্ষাৎকার ।