অথবা, পরীক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলো কী কী?
অথবা, পরীক্ষণ পদ্ধতির ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো সংক্ষেপে লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা : পরীক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে গবেষক ও তাত্ত্বিক Reid বলেছেন, “Experiment is not an adaptable to use in the social science. Success control is more difficult to achieve.” অপরাধবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতিটি পুরোপুরি সম্ভব নয়, তবুও এটি প্রয়োগের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
সুবিধা : নিম্নে পরীক্ষণ পদ্ধতির সুবিধা উল্লেখ করা হলো :
১.কোন বিষয়ের উপর Long term method এবং Short term method এর পার্থক্য পরিমাপ করা যায় পরীক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে।
- Experimental method ইউরোপ ও আমেরিকার মতো শিল্পোন্নত দেশের অপরাধ গবেষণায় বেশ তাৎপর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।
৩.পরীক্ষণ পদ্ধতির সাহায্যে কোন বিষয় সম্পর্কে Hypothesis এর যথার্থতা নির্ণয় করা যায়।
৪. অপরাধবিজ্ঞানের আলোচনায় পরীক্ষণ পদ্ধতির মাধ্যমে Parole এবং Probation এর চিন্তাধারা যুক্ত করে অপরাধীর শাস্তির ধরনে পরিবর্তন এনে তাদেরকে সংশোধনের সুযোগ দেয়া যাচ্ছে।
অসুবিধা : নিম্নে পরীক্ষণ পদ্ধতির অসুবিধা তুলে ধরা হলো :
১. প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ন্যায় অপরাধবিজ্ঞানের গবেষণাগারে পরীক্ষানিরীক্ষা সম্ভব নয়।
২. পরীক্ষণ তির সুফল আছে কিন্তু এ প্রচেষ্টা বিধিসম্মত কি না সে সম্পর্কে বিতর্ক রয়েছে।
৩।মানুষের আচরণকে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের পরীক্ষণীয় বস্তুর মতো নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলে পরীক্ষণ পদ্ধতি অপরাধবিজ্ঞানে কদাচিৎ ব্যবহার করা হয়। - Experiment method কোন Pure method নয়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায় যে, অপরাধের তত্ত্ব নির্ধারণের ক্ষেত্রে যেসব Hypothesis সত্য বলে ধরে নেয়া হয় সেগুলো আবার আয়ত্তাধীন পরিবেশে যাচাই করে দেখার নাম Experimental method বা পরীক্ষণ পদ্ধতি। এ পরীক্ষণ পদ্ধতি অন্যান্য বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অন্যতম পদ্ধতি হিসেবে প্রচলিত থাকলেও অপরাধবিজ্ঞানে এর ব্যবহার খুবই সীমিত। পরিশেষে বলা যায় এতসব সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও অপরাধ বিজ্ঞানে Experiment method খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে।