অথবা, শ্রেণিব্যাপ্তির শ্রেণিবিভাগ ব্যাখ্যা কর।
অথবা, শ্রেণিব্যাপ্তি কত প্রকার ও কী কী? ব্যাখ্যা কর।
অথবা, শ্রেণিব্যাপ্তির ধরনসমূহ বিশ্লেষণ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সমাজবিজ্ঞানের গবেষকরা তাদের গবেষণার ক্ষেত্র থেকে কোনো নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্যসংগ্রহ করে থাকে। এ তথ্য ক্ষেত্র অনুযায়ী বেশি হতে পারে । তথ্যের এ কম-বেশির উপর ভিত্তি করে গবেষকরা। গণসংখ্যা নিবেশনের শ্রেণিব্যাপ্তির ক্ষেত্রে কয়েক ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকেন ।
শ্রেণিব্যাপ্তির প্রকার : পরিসংখ্যানে তিন ধরনের শ্রেণিব্যাপ্তি আছে । যথা :
১. সমশ্রেণি ব্যাপ্তি,
২. অসমশ্রেণি ব্যাপ্তি ও
৩. মুক্তশ্রেণি ব্যাপ্তি ।
১. সমশ্রেণি ব্যাপ্তি : গণসংখ্যা নিবেশনে যখন কোনো শ্রেণির নিম্নসীমা ও ঊর্ধ্বসীমার মধ্যকার দূরত্ব সবসময় পরস্পর সমান হয় তাকে সমশ্রেণি ব্যাপ্তি বলে । দুটি পদ্ধতিতে সমশ্রেণি ব্যাপ্তি দেখানো হলো :
৩. মুক্তশ্রেণি ব্যাপ্তি : নিবেশনে অনেক সময় প্রথম ও শেষ শ্রেণি মুক্ত থাকে । একে মুক্তশ্রেণি ব্যাপ্তি বলে । অর্থাৎ, প্রথম শ্রেণির নিম্নসীমা ও শেষ শ্রেণির ঊর্ধ্বসীমা উল্লেখ করা হয় না। যেমন- বলা হয় কোনো ব্যক্তির আয় ৫০০০ টাকার নিচে । এক্ষেত্রে ‘নিচে’ বলতে কোনো নির্দিষ্ট মান ব্যবহার করা হয় না। আবার বলা যেতে পারে কোনো ব্যক্তি ১০০ রানের বেশি করেছেন । কিন্তু এ ‘বেশি’ বলতে কোনো নির্দিষ্ট মান ব্যবহার করা হয় না । নিচে দুটি সারণিতে দেখানো হলো :
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, পরিসংখ্যানে এরূপ কতিপয় বিষয় সম্বন্ধে ধারণা রাখা প্রয়োজন ।