যোগাযোগের কৌশল বা পদ্ধতি সম্পর্কে লিখ।

অর্থবা, সমাযোজন প্রক্রিয়ার স্তরগুলো সম্পর্কে লিখ।
অথবা, যোগাযোগের ধাপগুলো লিখ।
অথবা, যে সব স্তর অতিক্রম করে সমাযোজন করতে হয় তা লেখ।
অথবা, সমাযোজন বা যোগাযোগে ব্যবহৃত স্তরগুলো কী কী?
অথবা, যোগাযোগে ব্যবহৃত ধাপগুলো কী কী?
উত্তর৷ ভূমিকা : সমাযোজন প্রক্রিয়া হচ্ছে এমন একটি পদ্ধতি যাতে সংবাদ গ্রাহক কর্তৃক গ্রহীতার কাছে পাঠানো হয়। এতে ৬টা স্তর অতিক্রম করতে হয়।
সমাযোজন প্রক্রিয়ার স্তরসমূহ : সমাযোজন প্রক্রিয়ার ৬টি স্তর অতিক্রম করতে হয় । যথা :
স্তর-১, Idea বা ধারণা : এটাতে দেখানো হচ্ছে যে, যখন চিন্তা করে গ্রাহকের কাছে কিছু পাঠাতে চায় তখন ধারণার উদ্ভব ঘটে। এটাকে Key Step বলা হয়।
স্তর-২, Encode বা প্রতীকী ধারণা : Encode স্তর ধারণাটা শব্দ, চার্ট অথবা অন্যান্য প্রতীকে পরিবর্তিত হয়।এখানে Sender পরিবর্তনের পদ্ধতি নির্ধারণ করে, যাতে শব্দ এবং প্রতীক ভালোভাবে সংগঠিত হতে পারে।
স্তর–৩, Transmit : যখন সংবাদ সর্বশেষে বিকাশ ঘটে তখন এ ধাপে Method Chosen এর দ্বারা তা প্রেরিত হয়। Sender সর্বদা তত্ত্বাবধায়কের পার্শ্ব পথ বা অপার্শ্ব পথ এ জাতীয় কিছু Channel পছন্দ করে এবং তারা সতর্কভাবে সময়মতো সমাযোজন করে।
স্তর–৪, Receive : এখানে দেখানো হয়েছে Admission অন্য ব্যক্তির কাছে অনুসরিত হলে একটা বার্তা বা সংবাদ পৌছায়৷গ্রহীতা (Receive) যত বেশি Good listener হবে, সে তত বেশি শব্দ শুনতে পাবে আর তা না হলে তা হারিয়ে যাবে এবং তাতে সমাযোজন হবে না।
স্তর-৫, Decode : এ স্তরে সংবাদ Decode হয় এবং তা বুঝা যায়। অর্থাৎ, Sender যেভাবে বার্তা পাঠায় Receiver বা গ্রহীতা চায়, ঠিক সেভাবেই গ্রহণ করতে। Sender অনেক কথাই বলতে পারে তবে Receiver এর সুবিধামতো সে গ্রহণ করবে।
স্তর–৬, Use বা ব্যবহার : শেষ ধাপে যোগাযোগের ব্যবহার Receiver এ সম্পর্কে থাকতে পারে। এজন্য Receiver কে বিষয়টা সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকতে হবে। এজন্য Sende কেও যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে কারণ গ্রহীতাকে এমনকিছু জানাতে হবে যে তথ্যের একটা ব্যবহার সুস্পষ্ট বিদ্যমান থাকে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার আলোকে বলা যায়, সমাযোজনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত ধাপগুলো গুরুত্বপূর্ণ।সমাযোজন সঠিক না হলে সমস্যা খুঁজে বের করাও কঠিন হয় এবং সমস্যার সমাধান দেয়া যায় না।