অথবা, মার্কিন সংবিধান সুপরিবর্তনীয় না দুষ্পরিবর্তনীয় বর্ণনা কর।
উত্তরঃভূমিকা: মার্কিন সংবিধান সংশোধন প্রক্রিয়া অনুযায়ী সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি অত্যন্ত জটিল প্রকৃতির। তাই মার্কিন সংবিধানকে দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান বলা হয়। তবে সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রয়োজনের তাগিদে মার্কিন সংবিধান প্রয়োজনমতো সংশোধিত হয়েছে।
আর্কিন সংবিধান সুপরিবর্তনীয় বা দুষ্পরিবর্তনীয়: মার্কিন সংবিধান একটি দুস্পরিবর্তনীয় সংবিধান। যেসব বিষয়ের
প্রেক্ষিতে মার্কিন সংবিধানকে দুষ্পরিবর্তনীয় হিসেবে আখ্যায়িত করা যায় নিম্নে তা উপস্থাপন করা হল।
১. সংশোফী প্রতাব উত্থাপন: মার্কিন কংগ্রেসের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য প্রয়োজন মনে করলে কিংবা দুই-তৃতীয়াংশ অঙ্গরাজ্যের আইনসভার আবেদনের প্রেক্ষিতে কংগ্রেস একটি জাতীয় সম্মেলন আহ্বান করলে সংশোধনী প্রভাব উত্থাপির হয়। সংশোধনী প্রস্তাবের এ জটিলতার কারণে মার্কিন সংবিধান দূষ্পরিবর্তনীয়।
২. সংশোফী প্রস্তাব অনুমোদন: আইনসভার নিকট সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করার পর অন্তত তিন-চতুর্থাংশ
অঙ্গরাজ্যের আইনসভা প্রস্তাবটি অনুমোদন করলে সংবিধান সংশোধিত হয়। এছাড়া প্রত্যেক অঙ্গরাজ্য যে গণসম্মেলন আহবান করে তাতে তিন-চতুর্থাংশ সংশোধনী প্রস্তাব অনুমোদন করলে সংবিধান সংশোধিত হয়।
৩. সংবিধান সংশোকীর দিক: ১৭৮৯ সাল থেকে শুরু করে বর্তমান পর্যন্ত মার্কিন সংবিধান মাত্র ২৬ বার সংশোধিত হয়েছে। মার্কিন সংবিধানের এ সংশোধন সংখ্যা দ্বারাই নির্ধারণ করা যায় মার্কিন সংবিধানের প্রকৃতি কিরূপ?
৪. সম্মতি জ্ঞাপদের সময়সীমা: সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য অঙ্গরাজ্যগুলোর তিন-চতুর্থাংশের
সামতির প্রয়োজন হয়। কিন্তু মার্কিন সংবিধানে এ বিষয়ে কোন উল্লেখ নেই। ফলে নানারকম অসুবিধা দেখা দেয়।
৫. অধরাজ্যসমূহের প্রভাব অকার্যকর বিভিন্ন সময়ে সংবিধান সংশোধনের জন্য মার্কিন অঙ্গরাজ্যগুল্যে প্রস্তাব উত্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করলেও কখনোই তা কার্যকর করতে পারে নি। ফলে মার্কিন সংবিধান যে দুষ্পরিবর্তনীয় সহজেই তা অনুধাবন করা যায়।
উপসংহার: উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, মার্কিন সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান। তবে মার্কিন সংবিধান দুষ্পরিবর্তনীয় হওয়া সত্ত্বেও যুগোপযোগী ও প্রয়োজনীয় পরিবর্তন অব্যাহত রয়েছে। সর্বোপরি বলা যায় যে,মার্কিন সাংবিধান যদিও দুস্পরিবর্তনীয় তবে সময়ের চাহিদা অনুসারে নমনীয়।