অথবা, মাঠকর্ম অনুশীলনে তত্ত্বাবধান কী? ডি. পাল চৌধুরীর মতে মাঠকর্মে তত্ত্বাবধানের প্রকারভেদগুলো কী?
অথবা, মাঠকর্ম অনুশীলনে তত্ত্বাবধান কাকে বলে? ডি. পাল চৌধুরীর মতে মাঠকর্মে তত্ত্বাবধানের ধরনসমূহ ব্যাখ্যা কর।
অথবা, মাঠকর্ম অনুশীলনে তত্ত্বাবধানের সংজ্ঞা দাও। ডি. পাল চৌধুরীর মতে তত্ত্বাবধান কত প্রকার ও কী কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর।৷ ভূমিকা : সাধারণত তত্ত্বাবধান হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃক অধীনস্থ এবং নিম্নপদস্থ কর্মচারীদের নির্ধারিত কার্যক্রম তদারকি করা, যা এজেন্সির উদ্দেশ্য অর্জনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।এটি এমন একটি শিক্ষামূলক ও সক্ষমকারী প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কর্মীকে তার দায়িত্ব পালনে অধিকতর সক্ষম ও দায়িত্বশীল করে তোলা সম্ভব।
মাঠকর্ম অনুশীলনে তত্ত্বাবধান : মাঠকর্ম অনুশীলনে তত্ত্বাবধান হচ্ছে কোন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক শিক্ষানবিস সমাজকর্মীদের নির্ধারিত কার্যক্রম তদারকি করা, যা এজেন্সির উদ্দেশ্য অর্জনে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে থাকে।এটি শিক্ষানবিস সমাজকর্মীদের জন্য এমন একটি শিক্ষামূলক ও সক্ষমকারী প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে কর্মীকে তার দায়িত্ব পালনে অধিকতর সক্ষম ও দায়িত্বশীল করে তোলা যায়।
মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, “মাঠকর্ম অনুশীলনে তত্ত্বাবধান হচ্ছে শিক্ষানবিস সমাজকর্মীর কার্যাবলি তদারকি যা এজেন্সি তত্ত্বাবধায়ক ও সমাজকর্মে বিভাগের বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়কের অধীনে যৌথভাবে সম্পাদিত হয়।”
M.A. Momen-47 “It is teaching activity through which supervisor helps the students to grow & develop professionally to gain knowledge & understanding to achieve the competence of relating social welfare theory & primaries to practice & to ante responsibility for effective service to the people.”
শেখর নারায়ণ– এর মতে “একজন মাঠকর্ম প্রশিক্ষণার্থী কোন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে যে সমস্যার সম্মুখীন হয় তা সমাধান করা ; প্রতিষ্ঠানে সমাজকর্মের জ্ঞান, দক্ষতা, মূল্যবোধ, আদর্শ প্রয়োগ এবং তার জন্য নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানের জ্ঞান,দক্ষতা, মূল্যবোধ আয়ত্ত করার জন্য এজেন্সি তত্ত্বাবধায়ক ও সমাজকর্মে বিভাগের একজন পেশাদার কর্মীর তদারকিতে কাজ করাই হলো মাঠকর্মে তত্ত্বাবধান।”
মাঠকর্ম তত্ত্বাবধান বা সমাজকর্মে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ মূলত এজেন্সি কর্মকর্তা ও পেশাদার সমাজকর্মীর যৌথ প্রচেষ্টায় একজন মাঠকর্ম প্রশিক্ষণার্থীর জন্য একটি শিক্ষণ প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একজন প্রশিক্ষণার্থী ভবিষ্যতে একজন সমাজকর্মী হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
ডি. পাল. চৌধুরীর মতে মাঠকর্মে তত্ত্বাবধানের শ্রেণিবিভাগ
মনীষী ডি. পাল. চৌধুরী (D. Paul Chowdhury) তাঁর ‘Supervision’ গ্রন্থে তত্ত্বাবধানকে ৪টি শ্রেণিতে ভাগ
করেছেন। এগুলো হলো :
১. প্রশাসনিক অথবা স্বেচ্ছাসেবী তত্ত্বাবধান কর্তৃক কারিগরি ব্যক্তির তত্ত্বাবধান (Supervision of the technical person by administrative or voluntary supervision)।
২. স্বেচ্ছাসেবী বা কারিগরি ব্যক্তির মাধ্যমে প্রশাসনিক ব্যক্তির তত্ত্বাবধান (Supervision of the administrative
person by voluntary or technical person)।
৩. সাংগঠনিক তত্ত্বাবধান- জাতীয় থেকে রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্র থেকে জেলায় (Organizational supervision-National to state and state to district)।
৪. আর্থিক তত্ত্বাবধান আর্থিক নিয়মকানুন জ্ঞানসমৃদ্ধ ব্যক্তি কর্তৃক তত্ত্বাবধান (Financial supervision and by people having knowledge of financial rules and regulations)।
উপসংহার : মনীষী ডি. পল, চৌধুরী তত্ত্বাবধানের যে শ্রেণিবিভাগ করেছেন তা কর্তৃত্বভিত্তিক তত্ত্বাবধান।এখানে কে তত্ত্বাবধান করবে সে ভিত্তিতেই মূলত শ্রেণিবিভাগ করা হয়েছে।