মাঠকর্ম অনুশীলনে কার্যভার/বিষয়বস্তু/দায়িত্ব সম্পর্কে আলোচনা কর।

অথবা, মাঠকর্ম অনুশীলনে কার্যভার-এর বিবরণ দাও।
অথবা, মাঠকর্ম অনুশীলনের কার্যভার কী?
অথবা, মাঠকর্ম অনুমীলনের বিষয়বস্তুসমূহ লিখ।
অথবা, মাঠকর্মের দায়িত্বভার সম্পর্কে লিখ।
অথবা, মাঠকর্ম অনুশীলনের বিষয়বস্তুগুলো কী কী
উত্তর।৷ ভূমিকা :
মাঠকর্ম অনুশীলনের সময় শিক্ষানবিস সমাজকর্মীদের (শিক্ষার্থী) নানাবিধ কার্যসম্পাদন করতে
হয়। বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক (কলেজ শিক্ষক) এবং প্রাতিষ্ঠানিক তত্ত্বাবধায়ক এসব কাজ তত্ত্বাবধান করে থাকে।
মাঠকর্ম অনুশীলনে কার্যভার/বিষয়বস্তু/দায়িত্ব : নিম্নে মাঠকর্ম অনুশীলনের কার্যভার বা দায়িত্বের বিষয়সমূহ তুলে ধরা হলো :
১. প্রাতিষ্ঠানিক পরিচিতি : মাঠকর্ম অনুশীলনে শিক্ষানবিস কর্মীর প্রথম কার্যভার বা দায়িত্ব হলো এজেন্সি বা সংস্থা সম্পর্কিত পরিচিত। সংস্থার পটভূমি, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য, কর্মসূচি, ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা প্রভৃতি শিক্ষার্থীকে প্রথমদিকে জেনে লিখতে হয়। এর মাধ্যমে এর এজেন্সি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন হয় এবং সমাজকর্মের জ্ঞানকেও সে কাজে লাগাতে পারে।
২. নির্দিষ্ট দায়িত্ব-কর্তব্য : মাঠকর্ম অনুশীলনের দ্বিতীয় কার্যভার হলো নির্দিষ্ট দায়িত্ব পালন করা। এক্ষেত্রে কেস স্টাডির সংখ্যা, সাহয্যার্থীর সাথে সাক্ষাৎকার, গৃহ পরিদর্শন, ফলোআপ প্রভৃতি সবকিছুই উল্লেখ থাকে। এটি মাঠকর্মের মূল দায়িত্ব হিসেবে শিক্ষার্থীকে পালন করতে হয়।
৩. সহায়তামূলক কার্যক্রম : সহায়তামূলক কার্যক্রম বলতে সাহায্যার্থীকেও অবস্তুগত দিক থেকে সহায়তাকে বুঝায়।এক্ষেত্রে সাহায্যার্থীকে সাহয়তা করার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থসংগ্রহ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সেবামূলক কাজের এগিয়ে আসাকে বুঝায়। প্রতিবেদনে এসব বিষয় থাকা অপরিহার্য।
৪. প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন : শিক্ষার্থীকে সমজাতীয় এজেন্সির পরিদর্শনের প্রয়োজন হয়। পরিদর্শনকৃত এজেন্সির তালিকা প্রতিবেদনে উল্লেখ করতে হয়। এর মাধ্যমে অভিজ্ঞতা অর্জিত হয়।
৫. পুনর্বসানমূলক টার্গেট : শিক্ষার্থী যেসব সাহায্যার্থীকে স্টাডি করেন তাদের পুনর্বাসন টার্গেট করতে হয় এবং টার্গেট অর্জনের জন্য প্রচেষ্টা চালায়। এ কাজে সাহায্যার্থীকেও সহায়তা করতে হয়। এ বিষয়ে প্রতিবেদনে বিস্তারিত উল্লেখ থাকে।
৬. কেস স্টাডি : কেস স্টাডি প্রতিবেদনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এর মাধ্যমে সাহায্যার্থীর সমস্যা সম্পর্কে সমাজকর্মী অবগত হয় এবং সমস্যার তীব্রতা বুঝতে পারে। এর মাধ্যমে সাহায্যাথীর সার্বিক অবস্থা বুঝতে পারে এবং এর প্রেক্ষিতে সমস্যা সমাধানের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
৭. ফলো-আপ : মাঠকর্ম অনুশীলনে এ ধরনের কার্যভারের মাধ্যমে সেবা ফলপ্রসূতা যাচাই করা যায়।শিক্ষানবিস সমাজকর্মীর দক্ষতাও এর মাধ্যমে ফুটে উঠে। এক্ষেত্রে সহায্যার্থীকে অনুসরণ করে সমাজকর্মের জ্ঞানের বাস্তবরূপ প্রতিফলিত হয়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত কার্যভার বা দায়িত্বের মাধ্যমে মাঠকর্মকে সফল করে তোলার চেষ্টা করা হয়। এজন্য পরিকল্পনা মাফিক বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এক্ষেত্রে তত্ত্বাবধায়কগণ শিক্ষার্থীকে মূল্যবান নির্দেশনা দান করে থাকে।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a6%9e%e0%a7%8d%e0%a6%9a%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a8/