মাঠকর্মের ৫টি বৈশিষ্ট্য আলোচনা কর ।

অথবা, মাঠকর্মের যে কোন ৫টি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
অথবা, ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।
অথবা, ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী?
অথবা, ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের ৫টি বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।
উত্তর।৷ ভূমিকা :
মাঠকর্ম এমন একটি শিক্ষা কার্যক্রম যেখানে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সংস্থাপন করে তাদেরকে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে বাস্তব জ্ঞান অর্জন করতে হয় এবং বাস্তবক্ষেত্রেও সমাজকর্মের জ্ঞান প্রয়োগ করতে হয়।শিক্ষানবিস সমাজকর্মী হিসেবে আমাদের দেশে অনার্স ও মাস্টার্স পর্যায়ে ৬০ কর্মদিবসের মাঠকর্ম অনুশীলন করতে হয় ।
মাঠকর্মের ৫টি বৈশিষ্ট্য : মাঠকর্মের কতিপয় বৈশিষ্ট্য পরিলক্ষিত হয়। নিম্নে মাঠকর্মের ৫টি বৈশিষ্ট্য আলোচনা হলো:
১. নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক (Specific time base) : মাঠকর্মের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটি নির্দিষ্ট সময়ভিত্তিক । অর্থাৎ নির্দিষ্ট সময়ে ধারাবাহিকভাবে এটি সম্পন্ন করতে হয় । পৃথিবীর কোনো কোনো দেশে মাঠকর্ম একটি পুরা সেমিস্টারব্যাপী করতে হয়।তবে বাংলাদেশে তিন মাস সময়ের মধ্যে সমাজকর্মের শিক্ষার্থীরা ৬০ কর্মদিবস মাঠকর্ম সম্পন্ন করে থাকে । একজন শিক্ষনবিস সমাজকর্মী হিসেবে এ সময়টুকুতে মাঠকর্ম অনুশীলন করা অত্যাবশ্যক ।
২. শিক্ষামূলক অনুশীলন (Educational practice) : মাঠকর্ম একটি শিক্ষামূলক অনুশীলন । এ অনুশীলন সমাজকর্মের শিক্ষার্থীরা সরাসরি কোনো এজেন্সিতে গিয়ে সম্পাদন করে থাকে। সমাজকর্মের অনার্স চতুর্থ বছরের ও মাস্টার্স শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঠকর্ম সম্পাদন করার জন্য নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সংস্থাপন হয় ।
৩. নির্দিষ্ট সংস্থাভিত্তিক (Speciafic Agency based) : মাঠকর্ম নির্দিষ্ট সংস্থা বা প্রতিষ্ঠানে সম্পাদন করতে হয় ।ফলে প্রতিষ্ঠানের বাইরে মাঠকর্ম সম্পাদন করার সুযোগ নেই। সাধারণত যেসব প্রতিষ্ঠান সামাজিক সেবা প্রদান যেসব প্রতিষ্ঠানেই ছাত্রছাত্রীদের মাঠকর্মের জন্য প্রেরণ (Placement) করা হয়। এ ধরনের সংস্থা সরকারি বা বেসরকারি উভয় ধরনেরই হতে পারে ।
৪. সমাজকর্ম পদ্ধতি অনুশীলন (Practice of social work method) : মাঠকর্মের মাধ্যমে সমাজকর্ম পদ্ধতির অনুশীলন করা হয় । অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা সমাজকর্মের মৌলিক ও সহায়ক পদ্ধতির জ্ঞানকে সমস্যা সমাধানে কাজে লাগাতে পারেন । এক্ষেত্রে সমাজকর্মের তাত্ত্বিক জ্ঞানকে প্রয়োগ করে।
৫. সমন্বিত জ্ঞান (Integrated knowledge) : সমাজকর্ম বিষয়ে শ্রেণিকক্ষে অর্জিত জ্ঞানকে বাস্তবে কাজে লাগানোর একটি উত্তম কৌশল হচ্ছে মাঠকর্ম। এক্ষেত্রে শ্রেণিকক্ষের সকল জ্ঞানকেই কাজে লাগানো হয়। সমন্বিত জ্ঞান প্রয়োগের ফলে মাঠকর্মের যথার্থতা বা প্রকৃত ফল পাওয়া যায় ।
উপসংহার : মাঠকর্ম সমাজকর্ম শিক্ষার অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে বিবেচিত । এর মাধ্যমে সমাজকর্মের ছাত্রীছাত্রীরা ভবিষ্যৎ সামজকর্মী হিসেবে গড়ে উঠে এবং তাদের জ্ঞান ও দক্ষতার বিকাশ ঘটে।এক্ষেত্রে উপযুক্ত বৈশিষ্ট্য বজায় রেখেই মাঠকর্ম সম্পন্ন করতে হবে।

https://topsuggestionbd.com/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%a5%e0%a6%ae-%e0%a6%85%e0%a6%a7%e0%a7%8d%e0%a6%af%e0%a6%be%e0%a6%af%e0%a6%bc%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%a0%e0%a6%95%e0%a6%b0%e0%a7%8d%e0%a6%ae/