মরণশীলতা কী?

অথবা, মরণশীলতা বলতে কী বুঝায়?
অথবা, মরণশীলতার সংজ্ঞা দাও।
অথবা, মরণশীলতা কাকে বলে?
উত্তর৷ ভূমিকা : ‘
মরণশীলতা’ প্রত্যয়টি জনবিজ্ঞানের আলোচ্যবিষয়গুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ। ধর্মীয় দৃষ্টিতে বলা হয় মানুষ মরণশীল। জন্মগ্রহণ করলে একবার মরতে হবে। আবার বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয়, মানুষের একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর শরীরের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে থাকে এবং শরীরের শক্তি কমে যায়। ফলে মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মরণশীলতা প্রত্যয়টির সাথে জনসংখ্যার Size, Composition এবং Change এর Population Research এর ক্ষেত্রে গুরুত্বসহকারে আলোচিত হয়। অনেক সময় মরণশীলতা নির্ভর করে কোনো দেশের

জীবনযাত্রার মান ও ভৌগোলিক অবস্থানের উপর।
মরণশীলতা : ‘মরণশীলতা’ প্রত্যয়টির সাথে Death প্রত্যয়টি সম্পর্কিত। যখন কোনো মানুষের জীবন নিঃশেষ হয়ে যায় তখন তাকে আমরা মৃত্যু বলতে পারি ।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : মরণশীলতার সংজ্ঞা সম্পর্কে বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী বিভিন্ন মন্তব্য করেছেন। নিম্নে সেগুলো উল্লেখ করা হলো :
মরণশীলতার সংজ্ঞা দিতে গিয়ে Hauser এবং Duncan বলেছেন, “Death prior to complete expulsion or extraction from its mother of a product of conception, irrespective of the duration of pregnancy, the death is indicated by the fact that after such separation the foetus does not breathe or show any other evidence of life, such beating of the heart, pulsation of the umnilical cord or definite movement of voluntary muscles.” World Health Organization “Death is the permanent disappearence of all evidence of life at any time after birth has taken place (post natal) cessation of vital functions without capacity of resuscitation.”
উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি, গর্ভপাত বা অন্যকোনো কারণে জীবিত মরণ, মরণশীলতা নয়। মরণশীলতা হলো প্রাকৃতিক নিয়মে জীবনের সমাপ্তি।