অথবা, বিস্তার পরিমাপের বৈশিষ্ট্যসমূহ কী কী?
অথবা, বিস্তার পরিমাপের ৬টি বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।
উত্তরা৷ ভূমিকা : পরিসংখ্যানের কেন্দ্রীয় প্রবণতার সাহায্যে কোন তথ্যসারির কেন্দ্রীয় মান সম্পর্কে জানা যায় । কিন্তু কেন্দ্রীয় মান থেকে অন্যান্য রাশিগুলোর কতটুকু বিস্তৃতি তা জানা যায় না। তাই কোন নিবেশন বা তথ্যসারির কেন্দ্রীয় মান থেকে তথ্যসমূহের বিস্তৃতি জানার জন্য যে পরিমাণ পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় তাকে বিস্তার পরিমাপ বলে। মূলত তথ্যসারির কেন্দ্রীয় মান থেকে তথ্য মানসমূহের গড় পার্থক্যই হচ্ছে বিস্তার। তাই কেন্দ্রীয় মান বা গড়ের চারদিকে অন্যান্য রাশিসমূহ কিভাবে বিস্তৃত তার পরিমাপই হচ্ছে বিস্তার পরিমাপ ।
বিস্তার পরিমাপের বৈশিষ্ট্য : কেন্দ্রীয় প্রবণতা বিভিন্ন মানের ভিত্তিতে বিস্তার পরিমাপ করা হয়। একারণে বলা হয়, কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপের যথোপযুক্ততার উপর নির্ভর করে বিস্তার পরিমাপের যথোপযুক্ততা। একটি আদর্শ অর্থাৎ সর্বোত্কৃষ্ট বিস্তার পরিমাপের নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যসমূহ থাকা আবশ্যক-
i. একটি আদর্শ বিস্তার পরিমাপের সুসংজ্ঞায়িত ও সহজবোধ্য সংজ্ঞা থাকা উচিত যেন বিস্তার পরিমাপে কোন ধরনের জটিলতা বৃদ্ধি না পায় ।
ii. এটি সহজবোধ্য হওয়ার পাশাপাশি সরল গণনার উপযোগী হওয়া উচিত- যেন কম সময় ও শ্রমে সকলের পক্ষে নির্ণয় করা সম্ভব হয়।
iii. এটি নির্ণয়ে প্রক্রিয়া সকল মানের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। কারণ সকল মানের ভিত্তিতে নির্ণীয় বিস্তার পরিমাপকটি নির্ভরযোগ্য ও প্রতিনিধিত্বমূলক হয়।
iv. বিস্তার একটি আদর্শ ও যথোপযুক্ত গড় হতে নির্ণীত হতে হবে।
v. এটি পরবর্তী যে কোন গাণিতিক ও বীজগাণিতিক প্রক্রিয়ায় ব্যবহারের উপযোগী হতে হবে।
vi. এটি তথ্যসারির প্রান্তীয় মান অর্থাৎ তথ্যসারির সর্বোচ্চ বা সর্বনিম্ন মান দ্বারা বেশি মাত্রায় প্রভাবিত হবে না।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে আমরা বলতে পারি যে, কোন নিবেশনের অন্তর্ভুক্ত তথ্যগুলো কতটুকু ভিন্ন এবং প্রতিটি মান গড় মান থেকে কতটুকু ভিন্নতা প্রদর্শন করে তার উপর বিস্তৃতির প্রকৃতি নির্ভর করে।