বিচ্ছিন্ন চলক ও অবচ্ছিন্ন চলকের মধ্যে পার্থক্য লিখ

বিচ্ছিন্ন চলক ও অবচ্ছিন্ন চলকের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
অথবা, বিচ্ছিন্ন চলক ও অবচ্ছিন্ন চলকের মধ্যে বৈসাদৃশ্যসমূহ লিখ।
অথবা, অবচ্ছিন্ন চলক ও বিচ্ছিন্ন চলকের মধ্যে পার্থক্য লিখ।
অথবা, অচ্ছিন্ন চলক ও বিচ্ছিন্ন চলকের মধ্যে বৈসাদৃশ্য দেখাও।

উত্তরঃ ভূমিকা : বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিভিন্ন চলকের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। বস্তুত চলক সামাজিক বা প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্যের এক একটি প্রতিনিধি মাত্র। অনুসন্ধান কাজে উপস্থিত চলকগুলোকে বিভিন্ন আঙ্গিকে বিবেচনা করা হয়। এ কারণে চলককে বিভিন্ন শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়েছে। আর চলকের অন্যতম দুটি শ্রেণিবিভাগ বিচ্ছিন্ন ও অবিচ্ছিন্ন চলক।

বিচ্ছিন্ন চলক ও অবচ্ছিন্ন চলকের মধ্যে পার্থক্য : বিচ্ছিন্ন চলক ও অবিচ্ছিা চলকের মধ্যকার পার্থক্যসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলো।

বিচ্ছিন্ন চলকবিচ্ছিন্ন চলক
১. এটি গুণবাচক বিধায় সরাসরি সংখ্যায় প্রকাশ করা
যায় না।
১. এটি পরিমাণবাচক বিধায় সংখ্যায় প্রকাশ করা যায়।
২. সংখ্যা গণনা ও অনুমানের সাহায্যে এদের বিশ্লেষণ করতে হয়।২. পরিসংখ্যানিক পদ্ধতিতে এদের বিশ্লেষণ করতে হয়।
৩. পেশা, বর্ণ, ধর্ম, আকৃতি, মনোভাব, মেধা ইত্যাদি
বৈশিষ্ট্য নিয়ে কাজ করে।
৩. সাধারণত উচ্চতা, বয়স, আয়, ওজন ইত্যাদি বৈশিষ্ট্য
নিয়ে কাজ করে ।
৪. এর সঠিক পরিমাপ কঠিন।8. এর সঠিক পরিমাপ সহজ। এর মান পুরোপুরি নির্দিষ্ট হয় না। এর শ্রেণিসীমা থাকে ।
৫. এর মান নির্দিষ্ট হয়।৫. এর ম্যান পুরোপুরি নিদৃষ্ট হয়না।
৬. এর কোনো শ্রেণিসীমা থাকে না।৬. এর শ্রেণিসীমা থাকে ।
৭. এ চলকের মানগুলো ধারাবাহিক হয় না।৭. এ চলকের মানগুলো ধারাবাহিক হয়।
৮. বিচ্ছিন্ন চলকের মানগুলো সব সময় পূর্ণ সংখ্যা হয়।৮. এ চলকের মানগুলো পূর্ণ সংখ্যা ও ভগ্নাংশ হতে পারে।
৯. এ চলকের মানগুলো পরস্পর পরস্পরের পৃথক।৯. এ চলকের মানগুলো পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত।

উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, উল্লিখিত দৃষ্টিকোণ থেকে বিচ্ছিন্ন চলক এবং অবিচ্ছিন্ন চলকের মধ্যে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে এ দুটির মধ্যে পার্থক্য থাকলেও সম্পর্ক যে নেই তা বলা যায় না। তাই অনেকক্ষেত্রে একটি অপরটির সমার্থক আবার বিপরীতার্থক ।