বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির আয়ের উৎস, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য তুলে ধর।

উত্তর : ভূমিকা ঃ ডায়াবেটিক অত্যন্ত মারাত্মক একটি রোগ। বাংলাদেশে দ্রুত এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। মূলত ইনসুলিন নামক হরমোনের অভাবেই ডায়াবেটিসের সৃষ্টি হয়। ডায়াবেটিক রোগীদের কল্যাণার্থে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীমের উদ্যোগে ১৯৬৫ সালের ১ মার্চ ঢাকায় ডায়াবেটিক সমিতি অব পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলেও পরবর্তীতে
বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি নামকরণ করা হয়। এটি কিছু লক্ষ্য -উদ্দেশ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। তবে এর কিছু আয়ের উৎসও বিদ্যমান।
‘বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির আয়ের উৎস : বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির আয়ের উৎসগুলো নিম্নরূপ :
১. বিদেশি সংস্থার অনুদান;
২. ব্যক্তিগত অনুদান;
৩. লটারির মাধ্যমে টিকিট বিক্রয়লব্ধ অর্থ;
৪. সমিতির নিজস্ব আয়;
৫. বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক অনুদান;
৬. সরকারি অনুদান;
৭. বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার সহায়তা এবং
৮. অন্যান্য উৎস।
→ বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য ঃ বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো নিম্নরূপঃ
১. চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা ঃ ডায়াবেটিক রোগীদের যথার্থ চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা । তাছাড়াও এটি চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে ।
২. রোগ গবেষণা ঃ ডায়াবেটিক সমিতির অন্যতম লক্ষ্য রোগ সম্পর্কে গবেষণা পরিচালনা করা।
৩. জনসচেতনতা সৃষ্টি ঃ ডায়াবেটিক রোগ সম্পর্কে বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জনসাধারণের সচেতনতা সৃষ্টিও এর অন্যতম উদ্দেশ্য।
৪. দরিদ্র রোধ ঃ দরিদ্র রোধ করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি নিয়মিত গবেষণা করে থাকে।
৫. চিকিৎসা গ্রহণে উৎসাহিতকরণ : বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অন্যতম একটি লক্ষ্য হচ্ছে ডায়াবেটিক রোগের চিকিৎসা গ্রহণে জনগণকে উৎসাহিতকরণ। এ ক্ষেত্রে এ সমিতি জনগণকে রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করে ।
৬. অকাল মৃত্যুরোধ ঃ ডায়াবেটিক রোগে বর্তমানে দেশে অকাল মৃত্যুর হার বেড়ে চলেছে। এ অবস্থার অবসানে ডায়াবেটিক সমিতি বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত করে যাচ্ছে।
৭. প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা ঃ বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা। এ ক্ষেত্রে এটি দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহের ডাক্তার, প্যারামেডিকেল ও সেবিকাদের ডায়াবেটিক ও তৎসংক্রান্ত রোগ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
৮. রোগ প্রতিরোধ ঃ ডায়াবেটিক রোগটি প্রতিরোধ ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির এক লক্ষ্য হিসেবে গণ্য হয় ।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলো অত্যন্ত তাৎপর্যময়। এদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্য উন্নয়নে এ সমিতির ভূমিকা অনন্য। তাই এর গুরুত্ব অপরিহার্য বলতেই হবে।