উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি বাংলাদেশের সর্বস্তরের নর-নারীদের ডায়াবেটিক রোগের সুচিকিৎসা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি ঢাকার শাহবাগে প্রতিষ্ঠিত হয়ে নানামুখী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। যার ফলশ্রুতিতে হাজার হাজার ডায়াবেটিক আক্রান্ত রোগী উপযুক্ত চিকিৎসা সেবা পেয়ে সুস্থ জীবন-যাপনে সক্ষম হচ্ছে।
তাই এ সমিতির গুরুত্ব অত্যধিক ।
→ সমিতির সাংগঠনিক কাঠামো ঃ বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সাংগঠনিক কাঠামো অত্যন্ত সুদৃঢ়। এ সমিতির সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে ২৯ সদস্যবিশিষ্ট একটি জাতীয় কাউন্সিল। একজন সভাপতি হিসেবে সমিতির সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান করেন। বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহীম ১৯৮৯ সালে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত উক্ত সমিতির একজন সম্মানিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ফলশ্রুতিতে উক্ত সমিতি বেশ শক্ত কাঠামোর ওপর দাঁড়িয়ে যায়। আর এই ২৯ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় কাউন্সিলে ৪ জন সরকারি প্রতিনিধিও কাজ করে যাচ্ছেন। বাকিরা সবাই দেশের উচ্চ শিক্ষিত সম্মানী, সমাজহিতৈষী ও খ্যাতিমান ব্যক্তিত্ব। এতে এ সমিতির কার্যক্রমগুলো অনেক কল্যাণমূলক হয়ে থাকে ।
সমিতির লক্ষ্যে ঃ
ডায়াবেটিক রোগের প্রতিরোধ।
নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে প্রতিকার নিশ্চিতকরণ
উপযুক্ত প্রশিক্ষণদানের ব্যবস্থা
গরিব রোগীদের বিনামূল্যে সেবা প্রদান।
ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা হ্রাসকরণ।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি আর্তমানবতার সেবায় নিবেদিত এক প্রতিষ্ঠান। সৃষ্টিলগ্ন থেকে হাজার হাজার গরিব- দুঃখী রোগীদের যথার্থ চিকিৎসাসেবা প্রদানের সাথে সাথে পুনর্বাসনেও কার্যকরী ভূমিকা রাখছে। তাই চিকিৎসাক্ষেত্রে এর ভূমিকা অনস্বীকার্য।