বাংলাদেশে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারের স্তরগুলো উল্লেখ কর।

অথবা, বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের রূপ উল্লেখ কর।
অথবা, বাংলাদেশে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারের ধাপসমুহ লিখ।
অথবা, বাংলাদেশে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারে স্তরগুলাে বর্ণনা কর।
অথবা, বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের রূপ বর্ণনা কর।
অথবা, বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সরকারের ধাপগুলাে উল্লেখ কর।
ভূমিকা :
বাংলাদেশে বর্তমানে আমরা যে স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত ব্যবস্থা দেখতে পাই, তা একদিনে প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। ক্রমবিকাশের মধ্য দিয়ে তা আজকের রূপ পরিগ্রহ করেছে। বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের/স্বায়ত্তশাসিত সরকারের রূপ : অন্যান্য দেশের মতাে বাংলাদেশের স্থানীয় স্বায়ত্তশাসনের কাঠামাে, ও সংগঠন দুই ধারায় বিকাশ লাভ করেছে। এক ধারা পল্লিকেন্দ্রিক এবং আর এক ঘর হরকেন্দ্রিক। যেমন-
ক. গ্রামীণ সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ । এগুলাে তিনটি ভাগে বিভক্ত। যথা :
১. ইউনিয়ন পরিষদ; ২. উপজেলা পরিষদ এবং ৩. জেলা পরিষদ।
খ, পৌর বা শহরের সমস্যা সমাধানের জন্য স্থানীয় প্রতিষ্ঠানসমূহ : এগুলাে চারভাগে বিভক্ত। যথা :
১. সিটি কর্পোরেশন;
১ পৌরসভা
৩. ক্যান্টনমেন্ট বাের্ড এবং
৪. পোর্ট ট্রাস্ট।
গ্রামীণ প্রতিষ্ঠানসমূহ গ্রামীণ জনসাধাণের স্থানীয় সমস্যাগুলাের সমাধানের প্রচেষ্টা গ্রহণ করে, যেমন- রাস্তাঘাট নির্মাণ, পুল তৈরি, স্বাস্থ্য রক্ষার ব্যবস্থা, শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ। পৌর প্রতিষ্ঠানসমূহের কার্যাবলি শহর এলাকার জনসাধারণের স্থানীয় সমস্যাবলি সমাধান করা, যেমন- আলাের ব্যবস্থা, পথঘাট পরিষ্কার রাখা, বিশুদ্ধ পানীয় সরবরাহের ব্যবস্থা ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের সচিবদেরকে সরকার নিয়ােগ করে থাকে। যেমন- ইউনিয়ন কাউন্সিলের সচিব, জেলা প্রশাসক স্থানীয় স্বায়ত্তশাসিত সংস্থাগুলাের নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তা।