উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করে। তাদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে দেশে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সমাজকল্যাণ সংস্থার পাশিপাশি জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের সৃষ্টি করা হয়েছে। যা বাংলাদেশের সমাজকল্যাণের ক্ষেত্রে গৃহীত বিভিন্ন প্রকল্প কর্মসূচি, লক্ষ্য ও নীতিমালার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। তাই এর গুরুত্ব অত্যধিক।
→ বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদের পরিচিতি ঃ এটি একটি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। ১৯৫৬
সালে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক একটি রেজুলেশন এর মাধ্যমে পাকিস্তান জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৫৬ সালের পাকিস্তান সমাজকল্যাণ পরিষদের লক্ষ্যকে বাস্তবায়নে পূর্ব পাকিস্তান সমাজকল্যাণ পরিষদ গঠিত হয়। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপযোগী করে ১৯৭২ সালের ১২ মার্চ এটি বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ এ পুনঃনামে গঠিত হয়। অতঃপর ১৯৮৬ সালে ১৯৭২ সালের ৪ মে রেজুলেশন আংশিক সংশোধন করা হয়। পরে ১৯৮৮ ও ১৯৯৯ সালে পরিষদের কর্মকাণ্ড আরো গতিশীল ও সম্প্রসারণের লক্ষ্য ১৯৮৬ সালের রেজুলেশন ও কর্মক্ষেত্রের আংশিক সংশোধন, পরিবর্তন করা। সর্বশেষ ২৫ জানুয়ারি, ২০০৩ সালে আর একটি রেজুলেশন জারি করা হয়। পরিষদ বর্তমানে এ রেজুলেশন অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে এটি সমাজকল্যাণের ক্ষেত্রে বিভিন্ন পরিকল্পনা, প্রণয়ন, কর্মসূচি গ্রহণ, প্রকল্প বাস্তবায়ন, কর্মতৎপরতাসমূহের সমন্বয় সাধন, মূল্যায়ন করছে।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশ জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ এদেশের মানুষের কল্যাণের নিমিত্তে এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। তাই এই পরিষদের গুরুত্ব বেড়েই চলেছে।