উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বিশ্বের প্রতিটি দেশে গুরুত্ব সহকারে জনসংখ্যার নীতি প্রণীত হয়। জনসংখ্যার নীতিকে জনবিজ্ঞানী, সমাজবিজ্ঞানী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী নীতি নির্ধারক, পরিকল্পনাবিদ প্রমুখ বিশেষ দৃষ্টিতে বিবেচনা করে। এমনকি অর্থনীতিবিদরা একে উন্নয়নের পরিকল্পনা রূপে গ্রহণ করে।
→ প্রয়োজনীয়তা ঃ বাংলাদেশের জনসংখ্যানীতির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এদেশের এক নম্বর সমস্যা জনসংখ্যা সমস্যা। নিচে জনসংখ্যা নীতির গুরুত্ব বা প্রয়োজনীয়তা দেওয়া হলো :
১. জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস ঃ জনসংখ্যা নীতির মাধ্যমে জনসংখ্যা হ্রাস পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। জনসংখ্যা নীতির মূল লক্ষ্যই হলো দেশের জনসংখ্যা শূন্যের কোটায় নিয়ে আসা। পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচির বিস্তৃতি ঘটিয়ে জনসংখ্যা বৃদ্ধি হার কমানোর হ্রাস করা হচ্ছে।
২. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ঃ জনসংখ্যা নীতির মাধ্যমে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হচ্ছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১,৩২%। জনসংখ্যা নীতি গ্রহণ করার ফলে পরিবার পরিকল্পনা পদ্ধতি ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে
৩. শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস : জনসংখ্যা নীতিতে মৃত্যু হ্রাসের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। জনসংখ্যা নীতি প্রণয়ন করার ফলে শিশু মৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। ফলে মহিলা প্রতি শিশু সন্তান হার হ্রাস পেয়েছে।
৪. জনসংখ্যা সমস্যা সমাধান : দেশের উন্নয়নে জনসংখ্যা সমস্যা সমাধান করা জরুরি। জনসংখ্যা নীতিতে জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন পদক্ষেপ ও গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এই গবেষণা কার্যক্রম জনসংখ্যা সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করেছে।
৫. প্রজনন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা নীতি প্রজনন স্বাস্থ্যকে গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। প্রজনন স্বাস্থ্য সংযুক্ত হওয়ার জন্য জনগণের শারীরিক সুস্থতা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপসংহারঃ পরিশেষে বলা যায় যে, জাতীয় জনসংখ্যার নীতি ও গুরুত্ব অপরিসীম। মোট কথা জনসংখ্যা নীতি সামাজিক, অর্থনৈতিক দিক থেকে গুণগত ও পরিমাণগত নিয়ন্ত্রণ প্রভৃতি কারণে জনসংখ্যা নীতি আবশ্যক।