বাংলাদেশের পরিবার কাঠামো বর্ণনা কর।

বাংলাদেশের পরিবার কাঠামো বর্ণনা কর।
অথবা, বাংলাদেশে পরিবার কাঠামো সম্পর্কে আলোচনা কর।
অথবা, বাংলাদেশে আমাদের সমাজে পরিবার কাঠামোর স্বরূপ সম্পর্কে বর্ণনা দাও।
অথবা, পরিবার কাঠামো বিশ্লেষণ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সমাজবিজ্ঞানের অন্যতম প্রধান দু’টি আলোচ্যবিষয় হচ্ছে পরিবার, কাঠামো ও এ দু’টি সম্পর্কে সম্যক ধারণা না থাকলে সমাজকে ভালোভাবে জানা সম্ভব নয়। বিবাহ ব্যবস্থা প্রথম
বিবাহ ও পরিবার সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে অন্যতম আদি প্রতিষ্ঠান হলো এ দু’টি। বিশ্বে মানব সৃষ্টির ও হতেই সমাজ বিদ্যমান ও সমাজের প্রাথমিক সাংগঠনিক রূপ পরিবার। আর পরিবার গঠনের পূর্বশর্ত হলো বিবাহ

  • সামাজিক জীবন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য বিবাহ ও পরিবার অন্যতম উপাদান। মানবজীবনে বিবাহ পরিবারের ভূমিকা অপরিসীম। মানবজীবনের সুষ্ঠু বিকাশের জন্য পরিবার এর প্রয়োজনীয়তা অনেক। সুতরাং, বিবাহ ও পরিবার অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। সেজন্য সুষ্ঠু পরিবার গঠন ও পরিচালনার জন্য সমাজ স্বীকৃত বিবাহের প্রয়োজনীয় অনস্বীকার্য ।
    বাংলাদেশের সমাজে পরিবার কাঠামো : বাংলাদেশ একটি দারিদ্র্যপীড়িত একটি দেশ। এদেশের প্রা ৮০% লোক গ্রামে বাস করে। আর আমাদের দেশ যেহেতু গ্রামপ্রধান দেশ, কিন্তু সে তুলনায় গ্রাম তত উন্নত নয়। আ
    শহরায়ন ও নগরায়ণের ফলে মানুষ দিনদিন শহরের দিকে ধাবিত হচ্ছে। বাংলাদেশে শহর ও গ্রাম ভেদে পরিবার কাঠামোর ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। নিম্নে বাংলাদেশের পরিবার কাঠামো সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :
    ১. পরিবারের ধরন ও আকার : বাংলাদেশে যৌথ ও একক পরিবার উভয়ই দেখা যায়। কিছুদিন আগ পর্যা বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গায় যৌথ পরিবারের আধিক্য দেখা যেত কিন্তু বর্তমানে শহরায়ন ও বহুমুখী পেশার আবির্ভাবে
    ফলে কাজের সুবিধার জন্য একক পরিবার বেশি লক্ষ্য করা যায়। গ্রামের তুলনায় শহরে একক পরিবার বেশি এবং এখাে পরিবারের সদস্য সংখ্যা সীমিত।
    ২. অর্থনৈতিক ভিত্তি : বাংলাদেশ যেহেতু গ্রামপ্রধান ও কৃষিনির্ভর দেশ, সেহেতু গ্রাম ও শহরভেদে নয় পার্থ বিশেষভাবে লক্ষণীয়। কৃষি ছাড়াও ক্ষুদ্র ব্যবসায় বাণিজ্য ও কুটিরশিল্প গ্রামীণ এলাকার পরিবার অর্থনৈতিক ভিত্তি। কি
    শহরে পরিবারে মানুষের পেশার বহুমুখীর জন্য এদের কোন নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক ভিতি নেই। কিন্তু বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যাতায়াত ব্যবস্থা, ব্যবসায় ইত্যাদি প্রাচুর্যতা লক্ষ্য করা যায়।
    ৩. সামাজিক মর্যাদা : বাংলাদেশের পরিবার কাঠামো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে, গ্রামের সামাজিক মর্যাদ নির্ধারিত পরিবারের বংশমর্যাদা, অর্থনৈতিক অবস্থান, ইত্যাদির উপর অর্থাৎ, এখানে আরোপিত মর্যাদা বেশি লক্ষ্য কর
    যায়। অন্যদিকে, শহরের মানুষ অর্জিত মর্যাদায় বিশ্বাসী। এখানে নিজের যোগ্যতা, দক্ষতা, গুণ, মেধা দিয়ে নিজের এক পরিবারের সামাজিক মর্যাদা নির্ধারিত হয়।

৪. পারিবারিক শিক্ষা : বাংলাদেশের প্রায় ৪৮% লোক এখনও অশিক্ষিত। ফলে পারিবারিক জীবনে ব্যক্তির সুষ্ঠু বিক সম্ভব হয় না। তাছাড়া গ্রামপ্রধান দেশে তেমন শিক্ষার সুযোগ ও উপকরণ নেই। তাই তারা পরিবারের বাচ্চাদের স্কুলে
পাঠিয়ে নিজের কাজে সাহায্য করে আর অন্যদিকে লক্ষ্য করা যায় যে, শহরে শিক্ষার উপর সুযোগ ইত্যাদি রয়েছে। পরিবার হলো সকল জায়গায়, সকল সময়, প্রাথমিক সূতিকাগার। পারিবারিক শিক্ষাই সমাজ জীবনে পূর্ণতা ফিরিয়ে নিয়ে আন্দে
৫. চিকিৎসা ব্যবস্থা : বাংলাদেশ চিকিৎসা বিজ্ঞানের দিক থেকে এখনও বেশ পিছিয়ে রয়েছে। শহর এলাকা চিকিৎসার সুযোগ থাকলেও গ্রামীণ এলাকায় পর্যাপ্ত সুযোগ নেই। জ্ঞান অর্জন করে এবং নিজনিজ ধর্ম পালন করে। কিন্তু গ্রামে ধর্মভীরুতা একটু বেশি এবং তারা কুসংস্কারে বিশ্বাসী। কিন্তু
৬. ধর্মীয় মূল্যবোধ : পরিবার হলো ধর্মীয় মূল্যবোধ রচনার কেন্দ্রবিন্দু। পরিবারের মাধ্যমে মানুষ নিজের সম্পর্কি শহরের মানুষ ধর্মকে যুক্তির মাধ্যমে গ্রহণ করে। ইত্যাদি রয়েছে।
৭. চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা : একমাত্র বাংলাদেশেই চিত্তবিনোদনের অন্যতম মাধ্যম হলো পরিবার। পরি সদস্যদের ক্লান্তি ও শ্রান্তি দূর করার জন্য চিত্তবিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়। তাছাড়া পার্ক, টিভি, নাটক, সিনেমা, কার
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা থেকে আমরা বুঝতে পারি যে, বাংলাদেশ যেহেতু প্রতিটি গ্রাম দারিদ্র্যপীড়িত মানুষের পরিপূর্ণতা প্রকাশ পায় এবং মানুষ হিসেবে নিজেকে সমাজের কাছে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারে।
অনুন্নত দেশ, সেহেতু গ্রাম ও শহর ভেদে পরিবার কাঠামো ভিন্ন। কিন্তু পরিবার কাঠামো যাহোক না কেন, পরিবারেই সব