উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ বাংলাদেশে বর্তমানে ডায়বেটিস রোগের তীব্রতা বেড়ে গেছে। এই রোগটি অত্যন্ত জটিল প্রকৃতির। নারী, শিশু, পুরুষের যেকোনো বয়সেই এ রোগ হতে পারে। মানবদেহে সাধারণ ইনসুলিন নামক হরমোনের
ঘাটতি ঘটলেই তারা এ রোগের শিকার হয়। বাংলাদেশে অসংখ্য ডায়াবেটিক আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা, পুনর্বাসন ও সামগ্রিক কল্যাণের নিমিত্তে ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সমিতি বাংলাদেশে মানবসেবায় অনবদ্য ভূমিকা রেখে চলেছে।
→ বাংলাদেশে ডায়াবেটিক সমিতির পরিচিতি ঃ বাংলাদেশের ডায়াবেটিক রোগীদের কল্যাণার্থেই বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি গঠিত হয়েছে। বাংলাদেশের অন্যতম মানবহিতৈষী ও বিশিষ্ট চিকিৎসক ডা. ইব্রাহীম ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান বহুসূত্র সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন। সেই সময় এটি ঢাকার সেগুনবাগিচাতে ক্লিনিক চালুর মাধ্যমে
কার্যক্রমের সূচনা ঘটায়। ১৯৭১ এর পর উক্ত প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তিত হয়ে বাংলাদেশে ডায়াবেটিক সমিতি হয়। পরবর্তীতে এটি ঢাকার শাহবাগে স্থানান্তরিত হয়। বর্তমানে বহুতল ভবনে পরিচালিত হতে গিয়েও নামের কিছু পরিবর্তন ঘটে। ফলে নতুন নাম হয় ইব্রাহীম মেমোরিয়াল ডায়াবেটিক সেন্টার। এই বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ডায়াবেটিক রোগকে বেশ নিয়ন্ত্রণে এনে ফেলেছে। এতে বহির্বিভাগ ও ২৩টি আন্তঃবিভাগ একযোগে
সেবা কার্যক্রম পরিচালনা করেই চলেছে। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিটির ১৯৬১ সালের বেসরকারি সংস্থা (নিবন্ধন ও নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাদেশ অনুযায়ী নিবন্ধিত। বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি নির্দিষ্ট কিছু উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। ফলে আমাদের মত দরিদ্র দেশের জনগণের পক্ষে চিকিৎসা সেবা নেওয়া সম্ভবপর হচ্ছে। সরকারও এই চিকিৎসা সেবাকে সহজলভ্য করতে বেশ উদ্যোগ গ্রহণ করছে। তাই বলা যায় বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতি দেশব্যাপী
চিকিৎসা শিক্ষা ও ডায়াবেটিক রোগীদের সেবার গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে।
উপসংহার. পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের ডায়াবেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে মানবসেবায় নিবেদিত এক মহৎ প্রতিষ্ঠান । যার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সফল বাস্তবায়ন এ দেশের চিকিৎসামান উন্নয়নে অপরিসীম অবদান রাখতে পারে। তাই সুস্থ সবল জনশক্তি গড়ার লক্ষ্যে সরকারকে এই সমিতির উন্নয়নের জন্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।