বয়স কাঠামোর বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।

অথবা, বয়স কাঠামোর প্রকৃতি লিখ।
অথবা, বয়স কাঠামোর বৈশিষ্ট্যগুলো কী কী?
অথবা, বয়স কাঠামোর প্রকৃতিগুলো কী কী?
উত্তর৷ ভূমিকা :
কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলে জনসংখ্যার বয়স ও লিঙ্গভিত্তিক বিন্যাসকে বয়সকাঠামো বলে। মূল কোনো জনগোষ্ঠীর জীবন কালকে কোনো কোনো ব্যক্তির মাধ্যমে ভাগ করে প্রকাশ করাকে ঐ জনগোষ্ঠীর বয়স কাঠামো বলে।
বৈশিষ্ট্য : জনসংখ্যার বয়স কাঠামো বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে বা জনসংখ্যার বিন্যাসের ভিত্তিতে গঠিত হয়। নিম্নের আলোচনায় জনসংখ্যার বয়স কাঠামোর প্রধান প্রধান বৈশিষ্ট্যাবলি তুলে ধরা হলো :
১. নির্ভরশীল জনসংখ্যা : জনসংখ্যা ০-১৪ বছর এবং ৬৫+ বছর বয়সীদেরকে নির্ভরশীল জনসংখ্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয় ।
২. শিশু-কিশোর জনগোষ্ঠী : জন্মহারের ভিত্তিতে ০-১৪ বছর বয়সী শিশু-কিশোর জনগোষ্ঠী জনসংখ্যা বয়স কাঠামোতে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য বহন করে থাকে।
৩. কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী : জনসংখ্যার বয়স কাঠামোতে সাধারণত ১৫–৬৪ বছর বয়সী জনগোষ্ঠীকে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বলা হয় ।
৪. বয়স্ক জনগোষ্ঠী : জনসংখ্যা কাঠামোতে ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সী জনগোষ্ঠীকে বয়স্ক জনগোষ্ঠী বলা হয়। তাদেরকে নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীও বলা হয়।
৫. বৈবাহিক অবস্থা : জনসংখ্যার কাঠামোতে বৈবাহিক অবস্থা একটি অন্যতম চলক হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। ফলে জনসংখ্যা কাঠামোতে বিবাহিত, অবিবাহিত, বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত ও পৃথকভাবে বসবাসকারীদের প্রভাব খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
৬. উচ্চ প্রজনন : উচ্চ প্রজনন জনসংখ্যার বয়স কাঠামোতে মারাত্মক প্রভাব সৃষ্টি করে থাকে।
৭. জনসংখ্যার গঠন : কোনো দেশে মোট জনসংখ্যাকে বয়স কাঠামোর দিকে শ্রেণিবিন্যস্ত করলে শিশু, মধ্যম বা কর্মক্ষম এবং নির্ভরশীল বা বৃদ্ধবয়সী এ তিনটি শ্রেণিতে বিন্যস্ত করে তাদের কার্যক্রমের ধারা বা গতিপ্রকৃতি সম্পর্কে তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
৮. শিক্ষা : বর্তমানে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে সবারই শিক্ষার হার বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে নারী শিক্ষার হার বৃদ্ধি পাওয়ায় বিবাহের হার হ্রাস পেয়েছে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায়, জনসংখ্যার বয়স কাঠামো বহুবিধ উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়।