অথবা, সাহিত্য পর্যালোচনার গুরুত্ব উল্লেখ কর।
অথবা, সাহিত্য পর্যালোচনার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধর।
অথবা, লিটারেচার রিভিউ এর তাৎপর্য লিখ।
অথবা, প্রাসঙ্গিক লিটারেচার রিডিউ এর প্রয়োজনীয়তা লিখ।
অথবা, সাহিত্য পর্যালোচনার তাৎপর্য উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : কার্যকরী সংজ্ঞা প্রদানের পরবর্তী ধাপ হলো প্রাসঙ্গিক সাহিত্য পর্যালোচনা। অর্থাৎ গবেষণা বিষয় সংশ্লিষ্ট গবেষণার প্রতিবেদন, বই পুস্তক, বিভিন্ন রচনা, লেখা, প্রবন্ধ ইত্যাদি খুঁজে বের করে সেগুলোর সাথে সম্যক পরিচিতি লাভের চেষ্টা করা হয়।
প্রাসঙ্গিক সাহিত্য পর্যালোচনার গুরুত্ব : নিম্নে প্রাসঙ্গিক সাহিত্য পর্যালোচনার গুরুত্ব আলোচনা করা হলো :
১. একমাত্র প্রাসঙ্গিক সাহিত্য পর্যালোচনার মাধ্যমে গবেষক নিরূপণ করতে পারেন যে, কি বিষয়ে তিনি গবেষণা করতে আগ্রহী। উক্ত বিষয়ে কি জ্ঞান বর্তমান এবং তার গবেষণাটি উক্ত জ্ঞানের কোন পর্যায়ে অবস্থান করবে।
২.অতীত এবং বর্তমানের গবেষণা সংশ্লিষ্ট জ্ঞানের ভিত্তিতেই গবেষক তার গবেষণাকে জ্ঞানের সাধারণীকরণের সঠিক অবস্থানে স্থাপন করতে পারেন।
৩.পূর্ববর্তী গবেষণার সুপারিশসমূহ পরবর্তী গবেষণার বিষয় নির্ধারণ ও অনুমান গঠনে সাহায্য করে।
৪. গবেষণার তত্ত্বগত ভিত্তি তৈরিতে (Theoretical Framework) সাহিত্য পর্যালোচনা একান্তভাবে আবশ্যক।
৫. উপযুক্ত গবেষণা পদ্ধতি, নমুনায়ন, পূর্বানুমান গঠন, প্রত্যয়সমূহের সংজ্ঞাদান এমনকি চলক নির্ধারণে সাহিত্য পর্যালোচনার গুরুত্ব অপরিসীম।
৬. একই বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় গবেষণা চালিয়ে ফলাফল তুলনা করা একমাত্র সাহিত্য পর্যালোচনার মাধ্যমেই সম্ভব।
৭. অপ্রয়োজনীয় পুনরাবৃত্তি, ভুলত্রুটি, সীমাবদ্ধতা সাহিত্য পর্যালোচনার মাধ্যমে সংশোধন করা যায় ।
৮. সাহিত্য পর্যালোচনার মাধ্যমে প্রচলিত তত্ত্ব বা জ্ঞান নতুন তথ্যের আলোকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, বস্তুত সাহিত্য পর্যালোচনার মাধ্যমে গবেষণাকে সঠিক ও মিতব্যয়ী পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে।