উত্তর ঃ ভূমিকা ঃ প্রতিবন্ধী বলতে যারা শারীরিক দুর্বলতা বা আর্থ-সামাজিক অসচ্ছলতার কারণে সমাজে স্বাভাবিক
জীবনযাপনে অপারগতা প্রকাশ করে থাকে তাদেরই বুঝায়। প্রতিবন্ধীদের, মৌল চাহিদা পূরণ করা অত্যন্ত কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপর্যুক্ত প্রশিক্ষণ ও সেবা প্রদান করা নিশ্চিত হলেই তারা যোগ্য নাগরিক হিসেবে গণ্য হবে। সুতরাং প্রতিবন্ধীরাও বাংলাদেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
→ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির শ্রেণিবিন্যাস ঃ প্রতিবন্ধীত্বের কারণ ও ধরন অনুসারে প্রতিবন্ধীদের ৪ ভাগে বিভক্ত করা যায় ।
১. শারীরিক প্রতিবন্ধী ঃ প্রতিবন্ধীদের প্রথম ভাগই শারীরিক প্রতিবন্ধী হিসেবে গণ্য হয়। দৈহিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিকলাঙ্গের জন্য যারা স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম তারাই শারীরিক প্রতিবন্ধী। যেমন : অন্ধ, মূক, বধির,
প্যারালাইজড ইত্যাদি।
২. মানসিক প্রতিবন্ধী ঃ যারা অস্বাভাবিক ও ভারসাম্যহীন মানসিক অবস্থার প্রভাবে স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম তারাই মানসিক প্রতিবন্ধী। যেমনঃ পাগল ক্ষীণ বুদ্ধিসম্পন্ন, জড়ব্যক্তি, ত্রুটিপূর্ণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী।
৩. সামাজিক প্রতিবন্ধী ঃ যারা প্রতিকূল অবস্থার শিকার হয়ে অবাঞ্ছিত, লাঞ্ছিত ও কলঙ্কিত জীবনযাপনে বাধ্য তারাই সামাজিক প্রতিবন্ধী। যেমন— পতিতা, অবৈধ সন্তান, পরিত্যক্ত শিশু, লাঞ্ছিতা নারী ইত্যাদি।
8
৪. অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধী ঃ বিপর্যয়মূলক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, আর্থিক অক্ষমতা ও অসুবিধার কারণে যারা সমাজে বঞ্চিত জীবনযাপনে অসমর্থ। যেমনঃ নিঃস্ব, ভিক্ষুক, ভবঘুরে ছিন্নমূল ইত্যাদি ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, প্রতিবন্ধী হচ্ছে সামাজিক, অর্থনৈতিক, শারীরিক দিক দিয়ে দুর্বল প্রকৃতির মানুষকে বুঝায় । তাদেরকে শ্রেণিবিন্যাস করার মাধ্যমে কল্যাণের দিক ধাবিত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়।