অথবা, প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির গুরুত্ব বিশ্লেষণ কর।
অথবা, প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন ক্ষেত্রে সমাজকর্মীর ভূমিকা সংক্ষেপে লিখ ।
উত্তর।৷ ভূমিকা : বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় ১০ ভাগ লোক কোন না কোনভাবে প্রতিবন্ধী। এদের মধ্যে বেশিরভাগই দৈহিক প্রতিবন্ধী। বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী দৈহিক প্রতিবন্ধীর শিকার। অথচ তাদের মধ্যে লুকিয়ে আছে প্রতিভা, সম্ভাবনা ও ক্ষমতা। যা জাতীয় উন্নয়নের জন্য অতি জরুরি। তাই উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের মাধ্যমে তাদের জনশক্তিতে রূপান্তরিত করা সম্ভব।
প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির গুরুত্ব/ সমাজকর্মীর ৪টি ভূমিকা : প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনে সমাজকর্মীর ভূমিকা অত্যধিক। প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কর্মসূচির ৪টি প্রয়োজনীয়তা নিম্নে বর্ণনা করা হলো :
১. পরনির্ভরশীলতা হ্রাস : প্রতিবন্ধীরা পরনির্ভরশীল। তারা সমাজের জন্য বোঝাস্বরূপ। তবে তাদেরকে উপযুক্ত প্রশিক্ষণ দিতে পারলে তারা নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে সক্ষম। এজন্য প্রয়োজন বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপ।
২. ভিক্ষাবৃত্তি রোধ : সমাজ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি রোধ করার জন্য প্রতিবন্ধীদের জন্য প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন ব্যবস্থা থাকতে হবে। এজন্য ভবঘুরে কেন্দ্র ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থাকা চাই। এদেশে এ ধরনের কর্মসূচির গুরুত্ব অত্যধিক।
৩. স্বাভাবিক জীবনযাপন : বেশিরভাগ প্রতিবন্ধীদের পক্ষেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করা সম্ভব। এজন্য তাদের উপযুক্ত ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করতে হবে।এ ব্যাপারে তাদের উৎসাহী করতে হবে।
৪. প্রতিভার বিকাশ : প্রতিবন্ধীদের মাঝেও রয়েছে প্রতিভা, ক্ষমতা ও সম্ভাবনা। তাই তাদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও পরিবেশ দিতে হবে। এজন্যই প্রয়োজন সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এক্ষেত্রে সমাজকর্মীর ভূমিকা অত্যাবশ্যক।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায়, বাংলাদেশের জনসংখ্যার বিশাল অংশ এই প্রতিবন্ধীদেরকে প্রশিক্ষণ ও পুনবার্সনের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করা এবং তাদের জনশক্তিতে রূপান্তরিত করার জন্য প্রতিবন্ধী প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের গুরুত্ব অপরিসীম। এদেশের জনগণের প্রতিবন্ধীদের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন সাধনের ক্ষেত্রেও এ কর্মসূচির গুরুত্ব অত্যধিক।