প্রকৃতিভেদে গবেষণা কত প্রকার ও কী কী

অথবা, গবেষণাকে প্রকৃতিভেদে কয় ভাগে ভাগ করা যায়?
অথবা, লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ভিত্তিতে গবেষণার ধরনগুলো লিখ।
অথবা, প্রকৃতিভেদে গবেষণার শ্রেণিবিভাগ তুলে ধর।
অথবা, প্রকৃতিভেদে গবেষণার ধরনসমূহ উল্লেখ কর।
গবেষণা বলা হয়। সমাজ গবেষকগণ গবেষণার পদ্ধতি, গবেষণার লক্ষ্য ও প্রতিবেদনের রূপ ইত্যাদি বিভিন্ন বিষ
উত্তরঃ ভূমিকা : নির্দিষ্ট কোনো বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য বৈজ্ঞানিক ও সুসংঘবদ্ধ অনুসন্ধান প্রক্রিয়াকে বিবেচনায় এনে গবেষণার বিভিন্ন প্রকারভেদ নির্ণয় করেছেন। এর মধ্যে প্রকৃতিভেদে গবেষণার প্রকারভেদ অন্যতম।
প্রকৃতিভেদে গবেষণার প্রকারভেদ : প্রকৃতিভেদে গবেষণা তিন ভাগে বিভক্ত। যথা :
১. অনুসন্ধানমূলক,
২. বর্ণনামূলক,
৩. ব্যাখ্যামূলক।
নিম্নে এ প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো।
১. অনুসন্ধানমূলক গবেষণা ; এ গবেষণার মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জন করা সম্ভব। হয়, যা পরবর্তীকালে বিস্তারিত গবেষণার জন্য একটি ফলপ্রসূ অনুমতি সিদ্ধান্ত প্রণয়নে বিশেষ সহায়তা করে। অনুসন্ধানমূলক গবেষণার মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ চলক ও তাৎপর্যপূর্ণ অনুমান খুঁজে পাওয়ার সাথে নিম্নলিখিত কৌশল
অবলম্বন আবশ্যক:
i. প্রাসঙ্গিক বই, পত্রপত্রিকা পর্যালোচনা আবশ্যক,
ii. যে বিষয় সম্পর্কে গবেষণা করা হবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় আনা,
iii.অন্তর্দৃষ্টি উদ্দীপক বিষয়গুলোর বিচার বিশ্লেষণ করা।
২. বর্ণনামূলক গবেষণা : যেসব ক্ষেত্রে তেমন গবেষণা পরিচালিত হয়নি সেসব ক্ষেত্রে বিস্তারিত গবেষণা করারে বর্ণনামূলক গবেষণা বলে। বর্ণনামূলক গবেষণার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হয় তা হলো :
i. গবেষণার বিষয়টি বর্ণনাযোগ্য হতে হবে,
ii. উপাত্ত সঠিক, বস্তুনিষ্ঠ ও নির্ভরযোগ্য হওয়া চাই এবং
iii. বর্ণনা এরূপ বিস্তারিত হবে যাতে করে বিষয়টি সম্পর্কে পূর্ণ ও সঠিক চিত্র পাওয়া সম্ভব হয়।
৩. ব্যাখ্যামূলক গবেষণা : ব্যাখ্যামূলক গবেষণার লক্ষ্য হলো গবেষণাধীন বিষয়বস্তুর প্রকৃত স্বরূপ বা কার্যকারণ সম্বন্ধ সম্পর্কে জানা। এর মধ্যমে ক ও খ এর মধ্যে কার্যকারণ সম্বন্ধের উপস্থিতি, অনুপস্থিতি সম্বন্ধের ধরন এবং খ এর কোনো বিশেষ মানের জন্য ক এর মান কি হবে তা নিরূপণ করা। চলকগুলোর মধ্যকার সম্পর্ককে সাধারণত চার ভাগে দেখা যেতে পারে। যথা :
i. সম্বন্ধহীন : যদি ক ঘটে তবে খ ঘটতেও পারে নাও পারে।
ii. সম্বন্ধযুক্ত : যদি ক ঘটে তবে খও ঘটবে।
iii. ধনাত্মক সম্বন্ধ : ক বৃদ্ধি পেলে খও বৃদ্ধি পায় এবং
iv. ঋণাত্মক সম্বন্ধ : ক বৃদ্ধি পেলে খহ্রাস পায়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার মাধ্যমে প্রকৃতিভেদে গবেষণার শ্রেণিবিভাগ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করা যায় । বর্ণনামূলক গবেষণায় বিষয়টির বিস্তারিত বর্ণনা থাকে। যে বিষয়ে পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই, সেই বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানমূলক গবেষণা একটি তত্ত্বের ভবিষ্যদ্বাণী বা নীতিমালা পরীক্ষা করা হয়।