অথবা, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির প্রকারভেদ লিখ।
অথবা, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির শ্রেণিবিভাগ লেখ।
অথবা, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি কত প্রকার ও কী কী?
অথবা, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির ধরনসমূহ লেখ।
অথবা, পর্যবেক্ষণ পদ্ধতির শ্রেণিবিন্যাস উল্লেখ কর।
উত্তর।৷ ভূমিকা : সামাজিক গবেষণার তথ্যসংগ্রহের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি।আধুনিক গবেষণার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম।
পর্যবেক্ষণের প্রকারভেদ : স্থান, কাল, পাত্র, নিয়ন্ত্রণ, ব্যবহারিক দিক বিবেচনা করে পর্যবেক্ষণকে বিভিন্ন শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। নিম্নে পর্যবেক্ষণের প্রকারভেদ উল্লেখ করা হলো :
ক. গবেষণা পরিবেশের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ :
১. অনিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ (Uncontrolled observation)।
২. নিয়ন্ত্রিত পর্যবেক্ষণ (Controlled observation)।
খ. পর্যবেক্ষকের অংশগ্রহণের ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ :
১. অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ (Participant observation),
২. অ-অংশগ্রহণমূলক পর্যবেক্ষণ (Non-participant observation) ও
৩. ছদ্মবেশী পর্যবেক্ষণ (Disguised observation)।
গ. প্ৰণালিগত আনুষ্ঠানিকতার ভিত্তিতে পর্যবেক্ষণ :
১. অকাঠামোবদ্ধ পর্যবেক্ষণ (Unstructured observation),
২. কাঠামোবদ্ধ পর্যবেক্ষণ (Structured observation) ও
৩. আংশিক কাঠামোবদ্ধ পর্যবেক্ষণ (Partially structured observation)।
পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে John Dollard এর মন্তব্য, “The primary research instrument would seem to be the observing human intelligence trying to make sense out of human experience.”
উপসংহার : সবশেষে আমরা বলতে পারি যে পর্যবেক্ষণ পদ্ধতি হলো সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কিছু গভীরভাবে প্রত্যক্ষ করা। পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপূর্ণভাবে কোনো কিছু গভীরভাবে দর্শন করা যায়।