অথবা, পদ্ধতির ভিত্তিতে গবেষণার প্রকারভেদ লিখ।
অথবা, পদ্ধতির ভিত্তিতে গবেষণার শ্রেণিবিভাগ তুলে ধর।
অথবা, পদ্ধতির ভিত্তিতে গবেষণা কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর। ভূমিকা : গবেষণা সে সব কর্মকাণ্ড, যা জ্ঞান অনুসন্ধানের আদর্শে মানসম্মত পদ্ধতির প্রয়োগ করে বিকাশ অনুসন্ধান কাজের সুবিধার জন্য গবেষণাকে কয়েক ভাগে ভাগ করা যায়। পদ্ধতির ভিত্তিতে শ্রেণিবিভাগ তার
মধ্যে অন্যতম ।
পদ্ধতির ভিত্তিতে গবেষণার ধরন : নিম্নে পদ্ধতির ভিত্তিতে গবেষণার ধরন আলোচনা করা হলো :
১. পরীক্ষামূলক গবেষণা : যখন কতিপয় উপাদান যত্নসহকারে নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে যথার্থতা যাচাই বা অনুসন্ধান করা হয় তাকে পরীক্ষামূলক গবেষণা বলে। এ ধরনের গবেষণা মূলত প্রাকৃতিক বিজ্ঞানেই বেশি ব্যবহৃত হয় ।
২. জরিপ গবেষণা : জরিপ হচ্ছে গবেষণার একটি বহুল ব্যবহৃত প্রক্রিয়া। সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করা, কোন তত্ত্ব বছাই করা। কোন বিষয়ে সত্যতা যাচাই করা ইত্যাদি ক্ষেত্রে জরিপ গবেষণা অত্যন্ত কার্যকর ।
৩. বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ গবেষণা : প্রশ্নমালা, সাক্ষাৎকার এবং লিখিত বা মৌলিক ভাষার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের রীতিবদ্ধ, বস্তুনিরপেক্ষ ও সংখ্যাতাত্ত্বিক বিশ্লেষণের ভিত্তিতে যে গবেষণা করা হয় তাকে বিষয়বস্তু বিশ্লেষণমূলক গবেষণা বলে ।
৪. ঐতিহাসিক গবেষণা : ঐতিহাসিক সমস্যা সম্পর্কে অনুসন্ধান চালাবার জন্য বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির প্রয়োগই ঐতিহাসিক গবেষণা নামে পরিচিত। এ পদ্ধতির মাধ্যমে অতীতের কার্যকলাপের ফলাফল হতে ভবিষ্যতে কি ধরনের কর্মপন্থা উপযুক্ত হবে সে সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায় ।
৫. ঘটনা সমীক্ষা বা কেস স্টাডি গবেষণা : সাধারণত কোনো পরিবেশ, মানবিক আচার-আচরণ, জনগোষ্ঠী, সম্প্রদায় ইত্যাদি ক্ষেত্রে ঘটনা সমীক্ষা গবেষণা করা হয়ে থাকে। এ গবেষণার প্রধান কৌশলগুলো হলো প্রশ্নমালা, অনুসূচি, সাক্ষাৎকার, পত্রিকার রিপোর্ট, আত্মজীবনী, ব্যক্তিগত চিঠি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ অংশগ্রহণের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ, যেখানে পর্যবেক্ষণ নিজেই সাময়িকভাবে গবেষণাধীন দলের একজন হয়ে যায় ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার প্রেক্ষিতে বলা যায় যে, গবেষণায় যেসব শ্রেণিবিভাগ রয়েছে তার মধ্যে পদ্ধতির ভিত্তিতে শ্রণিবিভাগ অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শ্রেণিবিন্যাস। গবেষণা বিভিন্ন ধরনের এবং তাদের ক্ষেত্রও ভিন্ন। গবেষক তার গবেষণার ক্ষেত্রে কোন ধরনের গবেষণা কার্যকর তা বিচার করতে গবেষণা কার্য পরিচালনা করেন ।