অথবা, নারীর অধিকার আদায়ে বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকা চিহ্নিত কর।
অথবা, নারীর অধিকার রক্ষায় বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকা তুলে ধর।
অথবা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকা বর্ণনা কর।
অথবা, নারী আন্দোলনে বিভিন্ন সংগঠনের ভূমিকা বিশ্লেষণ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : বাংলাদেশে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন নারী সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতার পর থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত বহু নারী সংগঠন নারী উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। এসব সংগঠনের কার্যকরী ভূমিকার ফলে বাংলাদেশে নারী অধিকার, নারী উন্নয়ন ইত্যাদি বিষয়ে নারীদের মধ্যে ব্যাপক সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে। নিম্নে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সংগঠন সম্পর্কে আলোচনা করা হলো :
১. বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি : নির্যাতিত অসহায় নারীদের আইনগত সহায়তা দেয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি যাত্রা শুরু করে। বাংলাদেশে নারীদের অবস্থা প্রান্তিক ও অধস্তন। এসব নির্যাতিত নারীদের বিনামূল্যে আইনগত সহায়তা দিয়ে থাকে বাংলাদেশ মহিলা আইনজীবী সমিতি
২. বাংলাদেশ নারী অধিকার আন্দোলন : ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ নারী অধিকার আন্দোলন সংস্থাটির কাজ হলো নারীদের সবধরনের অধিকার আদায় ও সংরক্ষণ করা। যেখানেই নারী অধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে সেখানেই এই সংস্থাটি তার প্রতিকার এবং নারী অধিকার আদায়ে সরকারের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তা আদায়ে সচেষ্ট হচ্ছে।
৩. বাংলাদেশ মহিলা সমিতি : বাংলাদেশের নারী সংগঠনের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন সংগঠন হলো বাংলাদেশ মহিলা সমিতি। ১৯৪৯ সালে গঠিত APWA পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ায় BMS বাংলাদেশ মহিলা সমিতিতে রূপান্তরিত হয়। নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা নারীনির্যাতন রোধসহ যে কোনো প্রকার নারী বিরোধী কর্মকাণ্ডে সোচ্চার হয়ে প্রতিবাদ করে এ সংগঠন।
৪. নারী পক্ষ : ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ‘নারী পক্ষ’ নামে একটি নারীবাদী সংগঠন। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য হলো আইনগত অধিকার, যৌতুক সমস্যাসহ নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ওয়ার্কশপ এবং জাতীয় আলোচনা করা। সাধারণ নারী বিশেষ করে গ্রামীণ নারীদের উন্নয়নে এ সংগঠন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
উপসংহার : পরিশেষে আমরা বলতে পারি, বাংলাদেশে নারী আন্দোলনে নারী সংগঠনগুলোর ভূমিকা অনস্বীকার্য। এসব নারী সংগঠন তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশে নারী আন্দোলনকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে এসেছে।