উত্তর ঃ ভূমিকা : পঞ্চবার্ষিকী ও একটি দ্বিবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের একটি সুদৃঢ় অর্থনৈতিক অবকাঠামো নির্মাণে সক্ষম হয়েছিল। এরই পাশাপাশি অনেক নির্ভরশীল তথ্য উপাত্ত ও বিশেষজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে ১৯৮০ সালের জুলাই মাসে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।
→ দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার মূল্যায়ন তুলে ধরা হলো ঃ
১. প্রাক্কলিত ব্যয় ঃ দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে ব্যয় কম হয়েছিল। দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ১৭,২০০ কোটি টাকা কিন্তু ব্যয় হয়েছিল ১৫,২৯৭ টাকা।
২. প্রবৃদ্ধি ঃ দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা পুরোপুরি অর্জিত হয়নি। দ্বিতীয় পরিকল্পনা প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ৩.৮%।
৩. দারিদ্র্য কমানো ঃ দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি ছিল দারিদ্র্য কমানো। কিন্তু বাস্তবে দারিদ্র্যের হার কমানো সম্ভব হয়নি। দারিদ্র্য হ্রাস করার জন্য ২য় পঞ্চ বার্ষিকি পরিকল্পনায় অধিক গুরুত্ব প্রয়োগ করা হয়।
৪. জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ ঃ দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়েছিল। এই পরিকল্পনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১.৮% কিন্তু অর্জিত হয়েছিল ২.৪%।
৫. যুব কল্যাণ ঃ দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় যুব কল্যাণের ওপর গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছিল। অনেক যুবককে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের নিশ্চয়তার বিধান করা হয়েছিল ।
৬. নারী কল্যাণ ঃ দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় নারী কল্যাণের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু এ পরিকল্পনা যথাযথ ফল বয়ে আনতে পারেনি।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় কার্যকাল শুরু হয় ১৯৮০ সালের জুলাই এর দিকে এবং শেষ হয় ১৯৮৫ সালে। এ পরিকল্পনা জাতীয় পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে করা হয়েছিল