উত্তর ঃ ভূমিকা : বাংলাদেশের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হচ্ছে ঢাকা আহছানীয়া মিশন। এটি মানবকল্যাণে সদা তৎপর। এর মাধ্যমে হাজার হাজার ছিন্নমূল ও অনাথ শিশুকিশোর শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে। অসংখ্য মানুষকে জীবনচলার পথ দেখিয়ে দিতেই ঢাকা আহছানীয়া মিশনের যাত্রা। কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি সমাজ উন্নয়নে এটি মুখ্য ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই বাংলাদেশে ঢাকা আহছানীয়া মিশনের অবদান অপরিসীম হিসেবে গণ্য হয় ।
→ ঢাকা আহছানীয়া মিশন ঃ ১৯৫৮ সালে স্বর্গীয় ও মানবতাবাদী সেবার মূলমন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি দাতব্য সংস্থা হিসেবে খান বাহাদুর আহছান উল্লাহ (র:) ঢাকা আহ্ছানীয়া মিশন প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে মিশন বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় পরিণত হয়েছে। শুধু তাই নয়, উন্নয়ন সহযোগীদের এবং সরকারি সংস্থা, দ্বিপাক্ষিক দাতা সংস্থা
ও জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থার সক্রিয় সমর্থন ও সহযোগিতায় এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাৎপর্যময় অবদান রাখতে সমর্থ হয়েছে। এমনকি, তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত পরিসরের কার্যক্রম ও অংশগ্রহণ এবং উপ-আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সংস্থা বিশেষত জাতিসংঘ পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্টতা মিশনকে আন্তর্জাতিক সংগঠনে পরিণত করেছে। এ মিশন শিক্ষাকার্যক্রম, সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডসহ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে চলেছে। এজন্য এদেশে এর অবদান নিত্যদিন বেড়েই চলেছে। তাই ঢাকা আহছানীয়া মিশনের কার্যক্রমকে আরো প্রসারিত করতে হবে।
উপসংহার ঃ পরিশেষে বলা যায় যে, ঢাকা আহছানীয়া মিশন এদেশে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হিসেবে সমাজসেবায় অনন্য ভূমিকা পালন করে। তাই আর্থ- সামাজিক উন্নয়ন সাধনে ঢাকা আহছানীয়া মিশনকে আরো গতিশীল করা উচিত।