চাহিদা কি? মানবজীবনের অপরিহার্য দৈহিক ও মানসিক চাহিদাসমূহ আলোচনা কর।

অথবা, চাহিদা বলতে কি বুঝ? মানবজীবনের অত্যাবশ্যকীয় চাহিদাসমূহ বিস্তারিত আলোচনা কর।
অথবা, চাহিদা কাকে বলে? মানুষের আবশ্যকীয় দৈহিক ও মানসিক চাহিদা লিখ।
অথবা, মানুষের দৈহিক ও মানসিক চাহিদার উল্লেখপূর্বক চাহিদার সংজ্ঞা দাও।
অথবা, চাহিদা ধারণাটি উল্লেখপূর্বক মানুষের আবশ্যকীয় চাহিদাসমূহ বিস্তারিত বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : মানুষের জীবনে চাহিদা একটি অপরিহার্য বৈশিষ্ট্য। চাহিদাবিহীন মানুষ সমাজে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। চাহিদা বা প্রয়োজন মানুষের মধ্যে একধরনের তাড়না সৃষ্টি করে। যে তাড়নার ফলেই সে কোন কাজে বা কর্মে প্রবৃত্ত হয়। ফলে চাহিদা পূরণ হয়। ব্যক্তি জীবনে আসে সাফল্য। তাই বলা হয় Necessity is the invention of mother। তবে মানুষের আর্থসামাজিক, মনোদৈহিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে চাহিদার হেরফের থাকতে বা হতে পারে।তারপরেও মানুষের জীবনে কতকগুলো সাধারণ চাহিদা বিদ্যমান।
চাহিদা : সাধারণ অর্থে মানুষের বেঁচে থাকা, কল্যাণ এবং পূর্ণ বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় কতকগুলো দৈহিক,মানসিক, আর্থিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রয়োজন বা প্রত্যাশী।
প্রামাণ্য সংজ্ঞা : বিভিন্ন সমাজবিজ্ঞানী চাহিদা সম্পর্কে বিভিন্নভাবে সংজ্ঞা প্রদান করেছেন। নিম্নে তাঁদের কয়েকটি সংজ্ঞা উপস্থাপন করা হল :
M. R. O. Washington এবং R. M. Ryan এর মতে, “চাহিদা হল এমন যে কোন সুনির্দিষ্ট অবস্থা যে অবস্থায় এক ব্যক্তি ব্যক্তি হিসেবে বা পরিবারের সদস্য হিসেবে নিজের পরিপূর্ণ ক্ষমতা বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়।”
Oxford Advanced Learner’s Dictionary 1, “Need means to require something because they are important or useful and not simply because one would like to have them.”
সুতরাং আলোচ্য সংজ্ঞাগুলোর আলোকে বলা যায় (Need) চাহিদা হল মানুষের এমন কতকগুলো দৈহিক, মানসিক,সামাজিক, সাংস্কৃতিক, শিক্ষাগত ও সামাজিক প্রয়োজন যা মানুষের জীবনধারণ, সামাজিক জীব হিসেবে তার সামাজিকতা রক্ষা এবং তার সার্বিক বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য অপরিহার্য।
মানবজীবনের অপরিহার্য দৈহিক ও মানসিক চাহিদা : মানুষের মধ্যে তার কতকগুলো দিক বিদ্যমান। যেমন- তার দৈহিক, মানসিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি। এসব পরিপ্রেক্ষিতে মানুষের চাহিদাও বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। নিম্নে প্রশ্নানুসারে মানবজীবনে অপরিহার্য দৈহিক ও মানসিক চাহিদা পর্যায়ক্রমে আলোচনা করা হল :
দৈহিক বা শারীরিক চাহিদা : মানবজীবনের চাহিদাগুলো পরস্পর নির্ভরশীল। তারপরেও কিছু বিশেষ চাহিদা তার বিশেষ প্রয়োজন পূরণে সহায়ক। দৈহিক চাহিদা মূলত মানুষের দৈহিক বৃদ্ধি ও বিকাশের লক্ষ্যে উদ্ভূত। উল্লেখযোগ্য দৈহিক চাহিদাসমূহ হল:
১. খাদ্য বা সুষম খাদ্য : মানবজীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা হল খাদ্য। খাদ্য বলতে ঐসব উপাদানসমূহকে বুঝায় যা আমরা ক্ষুধা নিবৃত্ত করণের জন্য গ্রহণ করি এবং খাদ্য শুধু আমাদের ক্ষুধা নিবৃত্ত করে না, আমাদের শারীরিক শক্তি যোগায়। বর্তমানে খাদ্য বলতে সুষম খাদ্যকেই বুঝানো হয়। তাই সুষম খাদ্য গ্রহণ করা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য। কারণ মানুষ যদি যথাযথ খাদ্য না পায় তবে সে পুষ্টিহীনতার শিকার হয়। তার বুদ্ধি ও বিকাশ ব্যাহত হয়
ফলাফলস্বরূপ সে রোগগ্রস্ত হয়ে পড়ে।
২. স্বাস্থ্য বা স্বাস্থ্যসেবা : স্বাস্থ্য মানুষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা। মোটা শরীর মানেই স্বাস্থ্য নয়। স্বাস্থ্য বলতে বুঝায় রোগমুক্ত শরীর। তাই রোগমুক্ত শরীর প্রত্যেকটি মানুষেরই কাম্য। কারণ অসুস্থ ব্যক্তির পক্ষে কোন ধরনের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করা সম্ভব নয়। সে পরিবার তথা সমাজজীবনে একটি বোঝা হিসেবে গণ্য হয়। এমনকি স্বাস্থ্যহীনতা ব্যক্তির মৃত্যুর কারণ পর্যন্ত হয়ে দাঁড়ায়। সুতরাং সমাজের প্রত্যেকটি ব্যক্তির জন্য সুস্বাস্থ্য তথা রোগমুক্ত শারীরিক অবস্থা প্রত্যাশিত।
৩. আশ্রয় : আশ্রয় বলতে সাধারণত বাসস্থানকে বুঝায়। মোঃ আতিকুর রহমান তার ‘স্নাতক সমাজকল্যাণ’ নামক গ্রন্থে আশ্রয়কে অন্যতম শারীরিক চাহিদা বলে অভিহিত করেছেন। আশ্রয়স্থল মানুষকে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূল পরিবেশ হতে সুরক্ষা দেয়। যেমন- ঝড়, বৃষ্টি, বন্যা, সূর্যের তাপ, বিষাক্ত পোকামাকড়, হিংসপ্রাণী ইত্যাদি থেকে মানুষ শারীরিকভাবে রক্ষা পাওয়ার জন্য আশ্রয় প্রত্যাশা করে। শুধুই আশ্রয় নয় একটি সুন্দর, মনোরম এবং শক্তিশালী আশ্রয়স্থল প্রত্যেকটি মানুষই তার শারীরিক সুরক্ষার জন্য কামনা করে।
৪. নিরাপত্তা : নিরাপত্তা বলতে বুঝায় ‘Guarantee for saving’ সকল মানুষই শারীরিক নিরাপত্তা প্রত্যাশা করে।সে যেন কোন ধরনের শারীরিক নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে না থাকে। অর্থাৎ কোন ধরনের শারীরিক আঘাত বা আক্রমণ থেকে সুরক্ষা চায়।
৫. তৃষ্ণা : তৃষ্ণা মানুষকে শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তৃষ্ণার চাহিদা মানুষের জীবনে এতই প্রকট যে প্রচণ্ড তৃষ্ণা মানুষকে অনেক সময় দূষিত পানি পান করতে বাধ্য করে। মানুষ যে কোন উপায়ে তার এই তৃষ্ণা মিটাতে চায়। এক সময় আমাদের দেশে তৃষ্ণা মিটানোর জন্য পুকুর খাল বিলের পানি পান করা হতো। কিন্তু গভীর নলকূপ স্থাপনের মাধ্যমে বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ করে এ চাহিদা পূরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৬. বিশ্রাম : মানুষ যখন কর্মব্যস্ত তাকে তখন তার দেহের অন্তক্ষরা গ্রন্থি, পেশীসমূহ সক্রিয় থাকে। কাজ করতে করতে এক সময় এসব পেশী ও গ্রন্থির শক্তি কমে আসে। ফলে ব্যক্তির মধ্যে কাজের শক্তি কমে যায় আর বিশ্রামহীনভাবে কাজ চলতে থাকলে সে অসুস্থ হতে পারে। কারণ প্রত্যেক মানুষের শরীরের সামর্থ্যের একটা নির্দিষ্ট স্তর বা মাত্রা আছে।তাই বিশ্রাম মানুষের অন্যতম শারীরিক চাহিদা হিসেবে স্বীকৃত। বিশ্রাম ব্যক্তিকে ক্লান্তি দূর করে নতুন উদ্যমে কাজ করতে সহায়তা করে।
৭. ঘুম বা নিদ্রা : সমাজতান্ত্রিক ধর্মের ব্যাখ্যায় বলা হয় ঘুম হল দেহ থেকে আত্মার অস্থায়ী বিচ্ছেদ। কিন্তু সে যাই হোক না কেন এমন কোন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যার মধ্যে ঘুমের চাহিদা নেই। ঘুম মানুষকে আবার নতুনভাবে সৃষ্টি
করে। অর্থাৎ ঘুমের মধ্য থেকেই শরীরে পুনরায় শক্তি সঞ্চার হয়।আর এ চাহিদাটি যদি ব্যক্তির মধ্যে যথাযথভাবে পূরণ করা হয় তবে মাথাব্যথা, পেটব্যথা, বদহজম, ক্লান্তি, অস্থিরতাসহ নানা ধরনের ব্যাধি সৃষ্টি করে।
৮. যৌন চাহিদা : একটি নির্দিষ্ট বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার ফলে প্রত্যেক নরনারীই যৌবনপ্রাপ্ত হয়। আর প্রাকৃতিক নিয়মেই মানুষের মধ্যে এ চাহিদা সৃষ্টি হয়। সে যৌন সঙ্গী, যৌন সম্ভোগের তাড়না অনুভব করে। ব্যক্তির যৌন চাহিদা স্বাভাবিকভাবে নিবৃত্ত করার জন্য সমাজে বিবাহ প্রথা প্রচলিত। যৌন চাহিদা যদি পূরণ না হয় তবে সমাজে নানা অপকর্ম যেমন- ধর্ষণ, হত্যা, বলাৎকার ইত্যাদি অপরাধ প্রবণতা সৃষ্টি হয়।আলোচ্য চাহিদাগুলোই মানবজীবনের স্বাভাবিক শারীরিক চাহিদা হিসেবে স্বীকৃত।
মানবজীবনের অপরিহার্য মানসিক চাহিদা : মানুষের মানসিকভাবে বৃদ্ধি ও বিকাশ এবং মানসিক পরিতৃপ্তি লাভের জন্যও তার কতকগুলো চাহিদা রয়েছে। সেগুলো হল :
১. আবেগীয় প্রকাশ : আবেগ হল ব্যক্তির মধ্যে এক ধরনের উত্তেজিত বা আলোড়িত অবস্থা যার প্রকাশ হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। তবে প্রত্যেক ব্যক্তি সাধারণত নিজের মধ্যে সৃষ্ট আবেগ প্রকাশ করতে চায়। ব্যক্তির স্বাভাবিক মানসিক বিকাশের জন্য তার আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটা জরুরি। ব্যক্তি শৈশব থেকেই আবেগ প্রকাশের স্বাধীনতা পায় তবে তার মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতা, সংকীর্ণতা সৃষ্টি হতে পারে।
২. স্নেহ মমতা : এটি সহজাত মানসিক চাহিদা। সমাজে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যাদের মধ্যে স্নেহ মমতা ইত্যাদি চাহিদা খুঁজে পাওয়া যাবে না। সাধারণত শিশু বা ছোট যারা তারা বড়দের কাছ থেকে যে আনুকূল্য বা সহানুভূতি লাভ করে তাকে স্নেহ মমতা বলা যায়। স্নেহ মমতা বঞ্চিত হলে ব্যক্তির মধ্যে হীনমন্যতা এবং অন্যকে এড়িয়ে চলার প্রবণতা জন্ম হয়।
৩. ভালোবাসা : ছোট বড়, নারী-পুরুষ, সকল মানুষের মধ্যেই ভালোবাসাজনিত মানসিক চাহিদা বিশেষভাবে ক্ষণীয়। অর্থাৎ প্রত্যেক মানুষ চায় অন্যে তাকে পছন্দ ও তার প্রশংসা করুক, তাকে ভালোবলুক। ভালোবাসা মানুষকে দায়িত্বশীল করে তোলে। ভালোবাসা না পেলে ব্যক্তির মধ্যে আক্রমণাত্মক প্রবণতা সৃষ্টি হয়। সে অপরাধমূলক কাজে লিপ্ত হয়।
৪. সাহচর্য : মানুষ একাকী অসহায় বোধ করে। সে একাকী থাকতে ভয় পায়। ফলে দেখা যায়, সে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একসাথে দলগতভাবে বসবাস করতে চায়। এতে করে তার মধ্যে আসে মানসিকভাবে অশ্বস্তি। সে রক্ষা পায় সকল প্রকার ভয়ভীতি, উদ্বিগ্নতা ও হতাশা থেকে।
৫. মতামত প্রকাশের স্বাধীনতা : প্রত্যেকটি মানুষ চায় সে তার নিজের ইচ্ছা, অনুভূতি, বক্তব্য ইত্যাদি সমাজে প্রকাশ করতে। এক্ষেত্রে সে কারও হস্তক্ষেপ কামনা করে না। ব্যক্তি যদি তার মতামত প্রকাশের সুযোগ না পায় তবে তার মধ্যে হতাশা আসে অথবা সে বিদ্রোহী হয়ে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত হয়।
৬. স্বাধীনতা : প্রত্যেক ব্যক্তি তার শিক্ষাগত, পেশাগত জীবনে বা কর্মজীবনে স্বাধীনভাবে তার নির্বাচনের ও সম্পাদনের স্বাধীনতা কামনা করে। অর্থাৎ সে নিজেকে একজন স্বাধীন ব্যক্তি হিসেবে দেখতে চায়। জন্মগতভাবে তার পরিচয় যাহোক না কেন সে তার জীবনে বেড়ে উঠার জন্য কোন ধরনের হস্তক্ষেপ কামনা করে না। সকল উন্নত সমাজে ব্যক্তির ব্যক্তিস্বাধীনতা শক্তিশালীভাবে সংরক্ষিত হয়।
৭. ব্যক্তিত্বের স্বাধীনতা : ব্যক্তিত্ব হচ্ছে ব্যক্তির এক বিশেষ ধরনের গুণাবলি যে গুণাবলি তাকে সমাজের অন্যদের থেকে পৃথক করেছে। সমাজে প্রত্যেকটি ব্যক্তিই একটি আলাদা ব্যক্তিত্বের অধিকারী এবং প্রত্যেক ব্যক্তিই কামনা করে তার ব্যক্তিত্বের উপর যেন অন্য কোন শক্তি হস্তক্ষেপ না করে। আর ব্যক্তির ব্যক্তিত্বে বাধা প্রদান করলে ব্যক্তির স্বাভাবিক বিকাশব্যবস্থা হয়।এমনকি ব্যক্তি ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে পারে।
৮. চাপমুক্ত থাকা : চাপ হল একটি নেতিবাচক মানসিক অবস্থা। অতিরিক্ত চাপ ব্যক্তির মধ্যে পীড়নমূলক অবস্থা সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত চাপের হাত থেকে প্রত্যেক মানুষই মুক্তি চায়। এক্ষেত্রে Ego defence Mechanism ব্যবহার করে
সাধারণত আমরা আত্মরক্ষা করি। তবে সকল ব্যক্তির মধ্যে এ Mechanism সমানভাবে শক্তিশালী নয়। তাই চাপমুক্ত একটি মানসিক অবস্থা সকল মানুষেরই কাম্য।
৯. মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তা : মনস্তাত্ত্বিক নিরাপত্তা মূলত মানসিক সমস্যার ক্ষেত্রে প্রদেয় নিরাপত্তাকে বুঝায়। অর্থাৎ ব্যক্তি যখন মানসিক সমস্যা যেমন- হতাশা, উদ্বিগ্নতা, মানসিক বিকারগ্রস্ততা ইত্যাদি সমস্যায় আক্রান্ত হয় তখন সে রাষ্ট্রীয় বা সামাজিকভাবে সাহায্য কামনা করে। এ নিরাপত্তা ব্যক্তিকে তার ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা প্রদান করে।
১০. পিতৃত্ব মাতৃত্ব : মানুষের মধ্যেই এ মানসিক চাহিদাটি লক্ষণীয়। প্রত্যেক নারী একজন মা হিসেবে এবং প্রত্যেক পুরুষ নিজেকে একজন বাবা হিসেবে পরিচিত হওয়ার যে সহজাত মানসিক চাহিদা তা সৃষ্টির আদিকাল থেকেই লক্ষণীয়।এ চাহিদা পূরণ না হলে মানুষের মধ্যে একধরনের অসহায়ত্ব, নিরাপত্তা কাজ করে। সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। তাই প্রতিটি নর-নারীর ক্ষেত্রে পিতৃত্ব ও মাতৃত্বে এ সহজাত চাহিদা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই।
উপসংহার : উপরিউক্ত আলোচনার শেষে বলা যায় যে, আসলে মানবজীবনে বহুমুখী চাহিদা বিদ্যমান। আর প্রত্যেকটি মানুষই চায় তার এসব চাহিদা পূরণ করতে। কখনও সে তা পূরণ করতে সমর্থ হয় আবার কখনও বা ব্যর্থ হয়।চাহিদা যদি পূরণ করতে সক্ষম হয় তবে তার মধ্যে আসে তৃপ্তিবোধ, বাড়ে আত্মবিশ্বাস, জীবনে আসে সমৃদ্ধি। আর যদি চাহিদা সঠিকভাবে পূরণ না হয় তবে তার মধ্যে আসে হতাশা, ব্যর্থতা জীবনের প্রতি তার সৃষ্টি হয় বিতৃষ্ণা। তবে প্রত্যেকটি মানুষ যেন তার এসব শারীরিক ও মানসিক চাহিদা পূরণ করতে পারে সমাজকর্মের ছাত্র হিসেবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।