গ্রাম সমাজের ক্ষমতা কাঠামোর উৎস কী কী?

অথবা, গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোর উৎসসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোর উৎসগুলো লিখ।
অথবা, গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোর উৎসগুলো বর্ণনা কর।
অথবা, গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোর উৎসগুলোর নাম লিখ।
উত্তর৷ ভূমিকা :
বাংলাদেশ একটি গ্রামপ্রধান দেশ। এদেশের শতকরা আশি ভাগ লোক গ্রামে বাস করে। গ্রামকে কেন্দ্র করেই আমাদের সমাজে উচ্চবিত্ত ও নিম্নবিত্ত শ্রেণির উদ্ভব। এ গ্রামীণ নিম্নবিত্ত মানুষের মুখপাত্র হিসেবেই গ্রামের সম্পদশালী, শিক্ষিত ও ব্যক্তিগত গুণাবলির অধিকারী অথবা বংশানুক্রমিক নেতৃত্বের গুণাবলি সম্পন্ন শ্রেণিকে নিয়েই আমাদের দেশের গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামো গড়ে উঠে।
গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোর উৎসসমূহ : গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামো কোনো কোনো উপাদানের সমন্বয়ে গড়ে উঠেছে এ প্রসঙ্গে ষাটের দশক থেকে বর্তমান পর্যন্ত তিনটি দৃষ্টিকোণ থেকে বিভিন্ন গবেষণা পরিচালিত হয়। এগুলো হলো : ১. Anthropological ২.Economical, ও ৩. Sociological
ক্ষমতা কাঠামোর অভ্যন্তরীণ উৎসসমূহ : গ্রামীণ ক্ষমতা কাঠামোর অভ্যন্তরীণ উৎসসমূহ নিম্নরূপ; যথা :
১. উৎপাদন উপায়ের মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ;
২. উচ্চ সামাজিক মর্যাদা;
৩. ইউনিয়ন পরিষদের নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা;
৪. ব্যক্তির দৈহিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গুণাবলি;
৫. সমাজসেবা ও বিচক্ষণতা এবং
৬. রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে শক্তির ব্যবহার।
ক্ষমতা কাঠামোর বাহ্যিক উৎস : ক্ষমতা কাঠামোর বাহ্যিক উৎসসমূহ নিম্নরূপ :
১. রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ লাভ;
২. প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সাথে যোগাযোগ;
৩. ত্রাণ সামগ্রী বিতরণকারী সংস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ ও
৪. কোনো উঁচু স্তরের প্রশাসনিক ও কর্মকর্তার সাথে যোগযোগ ।
উপসংহার : পরিশেষে বলা যায় যে, গ্রামীণ ক্ষমতার প্রয়োগ, ব্যবহার ও বিকাশ মূলত গ্রামীণ শ্রেণি কাঠামোর মাধ্যমে লক্ষ করা যায়। এখানে এলিট শ্রেণি ক্ষমতা চর্চ করেন এবং সাধারণ জনতার উপর ক্ষমতা প্রয়োগ করেন ।