গবেষণার বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।


প্রশ্ন৷০২৷ গবেষণার বৈশিষ্ট্যসমূহ লিখ।
অথবা, গবেষণার ৫টি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
অথবা, গবেষণার কতিপয় বৈশিষ্ট্য লিখ।
অথবা, গবেষণার বৈশিষ্ট্যগুলাে কি কি?
অথবা, গবেষণার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ কর।
অথবা, গবেষণার বৈশিষ্ট্য তুলে ধর।

উত্তরা ভূমিকা : কোনাে বিশেষ বিষয়ে সুশৃঙ্খলা, ধারাবাহিক ও পরীক্ষামূলক অনুসন্ধান প্রক্রিয়াই হলাে। গবেষণা। এটি সত্য অনুসন্ধানের বৈজ্ঞানিক প্রক্রিয়া। এর মাধ্যমে নতুন সত্য বা জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব । এর কতকগুলাে সাধারণ বৈশিষ্ট্য রয়েছে ।
গবেষণার বৈশিষ্ট্য : নিমে গবেষণার বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আলােকপাত করা হলাে : ১. গবেষণা হলাে একটি মৌলিক কাজ। গবেষণা গবেষকের মৌলিকতার স্বাক্ষর বহন করে।
২. প্রতিটি গবেষণাকর্মের সুনির্দিষ্ট কতকগুলাে উদ্দেশ্য থাকে। এই উদ্দেশ্য সাধনের লক্ষ্যে প্রতিটি গবেষণা কার্য পরিচালিত হয়। বস্তুত উদ্দেশ্য বা লক্ষ্য ব্যতীত কোনাে গবেষণাকর্মই সম্পন্ন করা যায় না।
৩. সাধারণত সুনির্দিষ্ট একটি বিষয়কে কেন্দ্র করেই গবেষণা কার্য পরিচালিত হয়।
৪. কোনাে বিশেষ দর্শন, দৃষ্টিভঙ্গি বা মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত না হয়ে নিরপেক্ষভাবে গবেষণা করতে হয় ।
৫, গবেষণার মান নির্ভর করে গবেষকের কৌতূহলী ও অনুসন্ধিৎসু দৃষ্টিভঙ্গির উপর ।
৬. গবেষণার মূল বিষয় সংক্রান্ত তথ্যানুসন্ধানে নিয়ম-নীতি অনুসরণ করতে হয় । জ্ঞান ও পাণ্ডিত্যের শৃঙ্খলাবােধ গবেষণার প্রথম শর্ত। গবেষণার ক্ষেত্রে প্রয়ােজন অনুপুঙ্খ ও ব্যাপক তথ্যগত যথার্থতা এবং পাণ্ডিত্যপূর্ণ শৃঙ্খলাবােধ ব্যতীত পরিণত গবেষণা সম্ভব নয়।
৭. কোনাে বিষয়ে নতুন কোনাে নিয়ম-নীতি সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া এবং সেই সিদ্ধান্তের সাধারণীকরণই হলো গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।

৮. গবেষণা যেহেতু একটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি, তাই এর মূলভিত্তি যুক্তি, পরিমাণ বা পরিসংখ্যানগত উপস্থাপনার উপর প্রভূত নির্ভরশীল।
৯, গবেষণা হলাে তার কারণ ও ফলাফল । অর্থাৎ অনুসন্ধান ও সিদ্ধান্তের এক সম্মিলিত গঠন পদ্ধতি ।
১০. গবেষণা হলাে প্রণালিবদ্ধ তথ্য অনুসন্ধান । অর্থাৎ গবেষণা হচ্ছে অনুসন্ধান, বিশ্লেষণ এবং ধারণা ও তত্ত্ব গঠন করার একটি সুশৃঙ্খল পদ্ধতি।
উপসংহার : উপযুক্ত আলােচনার বলা যায়, গবেষণা হলো নতুন কিছু জানা তথা নতুন সত্য ও জ্ঞান আবিষ্কারের জন্য অনুসন্ধান । এটি হলাে কোনাে সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে পরিচালিত কাঠামােবদ্ধ অনুসন্ধান । এর মূল উদ্দেশ্য হলাে সর্বাধিক মানব কল্যাণ সাধন করা।