ক. একরাত্রি : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

বাংলা জাতীয় ভাষা
বাংলা জাতীয় ভাষা

ক-বিভাগ / অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম-মৃত্যু কত?
উত্তর : জন্ম : ১৮৬১, ৭ মে (২৫ বৈশাখ ১২৬৮), মৃত্যু : ১৯৪১, ৭ আগস্ট (২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮)।
২. বিশ্বকবির পিতা, মাতা এবং পিতামহের নাম কী?
উত্তর : পিতা মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মাতা সারদা দেবী, পিতামহের নাম প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর।
৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাবা-মায়ের কততম সন্তান?
উত্তর : চতুর্দশ সন্তান এবং অষ্টম পুত্র।
৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পারিবারিক পদবী কী ছিল?
উত্তর : কুশারী।
৫. কবি কার সাথে প্রথম ইংল্যান্ডে গিয়েছিলেন?
উত্তর : মেজো ভাই সত্যেন্দ্রনাথের সাথে ।
৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কত সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর : ১৯১৩ সালে ।
৭. রবীন্দ্রনাথ কোন কাব্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পান?
উত্তর : ‘গীতাঞ্জলি’ (Song’s Offering’s)।
৮. ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যে কতটি গান এবং কবিতা আছে?
উত্তর : ১৫৭টি।
৯. ‘গীতাঞ্জলি’ কাব্যটি Song’s Offering’s নামে তিনি কার সাথে অনুবাদ করেন?
উত্তর : W. B. Yeats এর সাথে।
১০. মাত্র পনেরো বছর বয়সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন কাব্যটি রচনা করেন?
উত্তর : ‘বনফুল’ ।
১১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম কোন কবিতাটি রচনা করেন?
উত্তর : ‘হিন্দু মেলার উপহার’ ।
১২. বিশ্বকবি তাঁর কোন কবিতাটিকে ছোটবেলার ‘মেঘদূত’ নামে অভিহিত করেছেন?
উত্তর : ‘বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদে এলো বান।’
১৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যের সংখ্যা কত?
উত্তর : ৫৬টি।
১৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাব্যনাট্যের সংখ্যা কত?
উত্তর : ১৯টি।
১৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের সংখ্যা কত?
উত্তর : ২২৩২টি।
১৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোনগুলোকে শেষ জীবনের প্রিয়া বলে আখ্যায়িত করেছেন?
উত্তর : তাঁর অঙ্কিত চিত্রাবলীকে (অঙ্কিত চিত্রাবলীর সংখ্যা প্রায় ২০০০)।
১৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কাজী নজরুল ইসলামকে কোন রচনাটি উৎসর্গ করেছিলেন?
উত্তর : ‘বসন্ত’ গীতিনাট্য।
১৮. বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোন প্রথা চালু করেন?
উত্তর : ‘সঞ্চিতা’ কাব্য ।
১৯. কাজী নজরুল ইসলাম রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে কোন রচনাটি উৎসর্গ করেছিলেন?
উত্তর : রাখিবন্ধন প্রথা।
২০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘গুরুদেব’ উপাধি প্রদান করে কে?
উত্তর : মহাত্মা গান্ধী।
২১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘বিশ্বকবি’ উপাধি প্রদান করে কে?
উত্তর : ব্রহ্মবান্ধব উপাধ্যায়।
২২. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘ভারত রত্ন’ উপাধি প্রদান করে কে?
উত্তর : ত্রিপুরার রাজা।
২৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছদ্মনাম কী?
উত্তর : ভানুসিংহ ঠাকুর।
২৪. ব্রিটিশ সরকার রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ‘নাইট হুড’ উপাধি প্রদান করে কখন?
উত্তর : ১৯১৫ সালে ।
২৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে ‘নাইটহুড’ উপাধি প্রত্যাখ্যান করেন কেন?
উত্তর : জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের জন্য।
২৬. কোন দুটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিশেষ অবদান আছে?
উত্তর : ‘শান্তিনিকেতন’ ও ‘বিশ্বভারতী’ বিশ্ববিদ্যালয় ।
২৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতন কোথায়?
উত্তর : শান্তিপুরের বোলপুরে।
২৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কতসালে কার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন?
উত্তর : ১৮৮৩ সালে যশোরের ভবতারিণী দেবীর সাথে।
২৯. বিশ্বকবির বাড়িতে ভবতারিণী দেবীর নাম কী রাখা হয়?
উত্তর : মৃণালিনী দেবী।
৩০. শান্তিনিকেতনে কবি কখন থেকে স্থায়ীভাবে বসবাস আরম্ভ করেন?
উত্তর : ১৯০১ সাল থেকে।
৩১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কর্তৃক স্থাপিত বিদ্যালয়ের নাম কী?
উত্তর : ব্রহ্মচর্যাশ্রম।
৩২. রবীন্দ্রনাথের প্রথম লেখা উপন্যাসের নাম কী?
উত্তর : রবীন্দ্রনাথের প্রথম লেখা উপন্যাসের নাম ‘করুণা’।
৩৩. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম লেখা ছোটগল্পের নাম কী?
উত্তর : ভিখারিণী (মোট গল্প ১১৯)।
৩৪. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত প্রবন্ধগ্রন্থের নাম কী?
উত্তর : ‘বিবিধ প্রসঙ্গ’ (১৮৮৩)।
৩৫. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রথম প্রকাশিত নাটকের নাম কী?
উত্তর : ‘বাল্মীকি প্রতিভা’।
৩৬. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ব্রজবুলি ভাষায় কোন কাব্যটি রচনা করেন?
উত্তর : ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’ ।
৩৭. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শেষ লেখা কাব্যের নাম কী?
উত্তর : “শেষ লেখা”।
৩৮. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “শেষ লেখা” কাব্যের শেষ কবিতার নাম কী?
উত্তর : ১৫ সংখ্যক কবিতা (তিনি কবিতার নামকরণ করে যেতে পারেননি)।
৩৯. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “শেষ লেখা” কাব্যের শেষ কবিতার প্রথম দুই/তিন উল্লেখ কর।
উত্তর : “তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আকীর্ণ করি/ বিচিত্র ছলনাজালে/ হে ছলনাময়ী!”
৪০. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “শেষ লেখা” কাব্যের শেষ কবিতাটি কখন রচনা করেন?
উত্তর : ৩০ জুলাই, ১৯৪১, সকাল সাড়ে নয়টা (কবি কবিতাটি মুখে মুখে বলেছিলেন এবং ইন্দিরা দেবী তা লিখে নেন)।
৪১. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বঙ্গভঙ্গের প্রেক্ষিতে কোন গানটি রচনা করেছিলেন?
উত্তর : ‘বাংলার মাটি বাংলার জল।’
৪২. ‘একরাত্রি’ গল্পটি কত বঙ্গাব্দে রচিত হয়?
উত্তর : জ্যৈষ্ঠ, ১২৯৯।
৪৩. ‘একরাত্রি’ গল্পের শুরুতেই কী পাওয়া যায়?
উত্তর : একটি গল্পের আভাস পাওয়া যায় ।
৪৪. লেখক কোন জীবনের কাহিনি শুরু করেছিলেন?
উত্তর : অতীত জীবনের।
৪৫. কাহিনিটি কোন পুরুষে লিখিত/বর্ণিত হয়েছে?
উত্তর : প্রথম/উত্তম পুরুষে।
৪৬. গল্পের প্রথম লাইনেই কী সূচিত হয়েছে?
উত্তর : কাহিনি ও চরিত্র সৃজন, জীবনের একটি খণ্ডিত মুহূর্ত আগমনের ইঙ্গিত।
৪৭. “সুরবালার সঙ্গে একত্রে পাঠশালায় গিয়াছি, বউ–বউ খেলিয়াছি।”- কোন গল্পের?
উত্তর : একরাত্রি।
৪৮. ‘একরাত্রি’ গল্পের নায়িকা কে?
উত্তর : সুরবালা।
৪৯. “আহা, দুটিতে বেশ মানায়।”- কে, কার সম্পর্কে বলেছে?
উত্তর : সুরবালার মা, গল্পকথক ও সুরবালা সম্পর্কে।
উত্তর : গল্পকথকের।
৫০. “ছোটো ছিলাম, কিন্তু কথাটার অর্থ একরকম বুঝিতে পারিতাম।”- কার উক্তি?
উত্তর : গল্পকথকের।
৫১. সুরবালার প্রতি সর্বসাধারণ অপেক্ষা কার বিশেষ কিছু দাবি ছিল?
উত্তর : গল্পকথকের ।
৫২. “সেও সহিষ্ণুভাবে আমার সকল রকম ফরমাশ খাটিত এবং শাস্তি বহন করিত।”- কে, কাকে খাটাত ও শাস্তি দিত?
উত্তর : গল্পকথক সুরবালাকে।
৫৩. পাড়ায় কার রূপের প্রশংসা ছিল?
উত্তর : সুরবালার।
৫৪. কার চোখে সুরবালার সৌন্দর্যের কোন মূল্য ছিল না?
উত্তর : গল্পকথকের কাছে।
৫৫. গল্পকথকের সুরবালা সম্পর্কে ধারণা কী?
উত্তর : গল্পকথকের প্রভুত্ব স্বীকার করার জন্যই পিতৃগৃহে তার জন্ম।
৫৬. সুরবালার প্রতি গল্পকথকের আচরণ কেমন ছিল?
উত্তর : অবহেলার।
৫৭. গল্পকথকের পিতা কার নায়েব ছিল?
উত্তর : চৌধুরী জমিদারের নায়েব।
৫৮. গল্পকথকের পিতার ইচ্ছা কী ছিল গল্পকথককে নিয়ে?
উত্তর : তার হাত পাকলেই জমিদারি সেরেস্তার কাজ শিখিয়ে গোমস্তাগিরিতে দিবেন।
৫৯. গল্পকথকের তার পিতার মতের প্রতি সমর্থন কী ছিল?
উত্তর : সমর্থন ছিল না।
৬০. গল্পকথকের জীবনের লক্ষ্য কিরূপ ছিল?
উত্তর : অতি উচ্চ।
৬১. গল্পকথকের পাড়ার কে কলকাতার পালিয়ে যায়?
উত্তর : নীলরতন।
৬২. নীলরতন কলকাতায় লেখাপড়া শিখে কী হয়েছিল?
উত্তর : কালেক্টার সাহেবের নাজির হয়।
৬৩. নীলরতনের কথা শুনে গল্পকথক কী হতে চায়?
উত্তর : কালেক্টার নাজির অথবা জজ আদালতের হেডক্লার্ক।
৬৪. গল্পকথকের বাপ কাদের অত্যন্ত সম্মান করতো?
উত্তর : আদালতজীবীদেরকে।
৬৫. শিশুকাল থেকেই গল্পকথকের কী জানা ছিল?
উত্তর : তার পিতা মাছ, তরকারি, টাকা-পয়সা দিয়ে আদালতজীবীদের পূজার্চনা করতো।
৬৭. “ইহারা আমাদের বাংলাদেশের পূজ্য দেবতা; তেত্রিশ কোটির ছোটো ছোটো নূতন সংস্করণ।”- কারা?
উত্তর : আদালতজীবীরা।
৬৮. পূর্বে গণেশ যা কিছু পেত এখন তা কারা পায় বলে গল্পকথকের মনে হয়েছে?
উত্তর : আদালতজীবীরা পায়।
৬৯. গল্পকথক কার দৃষ্টান্তে উৎসাহিত হয়ে কলকাতায় পালিয়ে যায়?
উত্তর : নীলরতনের দৃষ্টান্তে।
৭০. গল্পকথকের কলকাতায় কার বাড়িতে উঠে?
উত্তর : গ্রামের একটি আলাপী লোকের বাড়িতে।
৭১. এ কথা জানার পর গল্পকথকের পিতা কী করেন?
উত্তর : গল্পকথকের জন্য টাকা পাঠায়।
৭২. সেই সময় টাকা পেয়ে গল্পকথক কী করে?
উত্তর : লেখাপড়া যথানিয়মে চালাতে থাকে।
৭৩. লেখাপড়া ছাড়া কলকাতায় গল্পকথক আর কী করতেন?
উত্তর : বিভিন্ন সভাসমিতিতে যোগ দিতেন।
৭৪. দেশের জন্য গল্পকথকের ভাবনা কী ছিল?
উত্তর : দেশের জন্য সে প্রাণবিসর্জন দিতেও প্রস্তুত।
৭৫. লেখক ও তার সহকর্মীরা যখন চাঁদা তোলা, বিজ্ঞাপন বিলি করা, বেঞ্চি-চৌকি সাজাত শহরের ছেলেরা এমন দেখে কী
বলত?
উত্তর : বাঙাল বলত ।
৭৬. কার নামে কিছু বললে গল্পকথক মারামারি করতে উদ্যত হতেন?
উত্তর : সভাপতির নামে।
৭৭. “নাজির সেরেস্তাদার হইতে আসিয়াছিলাম, কিন্তু মার্টসীনি গারিবালডি হইবার আয়োজন করিতে লাগিলাম।”- কোন গল্পের উক্তি?
উত্তর : ‘একরাত্রি’।
৭৮. সুরবালার সাথে গল্পকথকের বিবাহের মত দেয় কারা?
উত্তর : লেখকের পিতা এবং সুরবালার পিতা।
৭৯. গল্পকথক কত বছর বয়সে কলকাতায় পালিয়ে যায়?
উত্তর : পনেরো বছর বয়সে।
৮০. গল্পকথকের বয়স যখন পনেরো তখন সুরবালার বয়স কত?
উত্তর : গল্পকথকের বয়স যখন পনেরো তখন সুরবালার বয়স আট।
৮১. লেখকের পিতা যখন গল্পকথকের বিবাহ ঠিক করে তখন তার বয়স কত?
উত্তর : আঠারো।
৮২. গল্পকথকের পিতার মতে তার বিবাহের বয়স কীরূপ?
উত্তর : ‘ক্রমে উত্তীর্ণ হইয়া যাইতেছে’।
৮৩. বিয়ের ব্যাপারে গল্পকথকের মত কী ছিল?
উত্তর : মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিল, আজীবন বিবাহ না করে দেশের জন্য মরবে।
৮৪. বিয়ের ব্যাপারে সে পিতাকে কী কথা বলে?
উত্তর : লেখাপড়া শেষ না করে বিয়ে করবে না।
৮৫. কয়মাস পর গল্পকথক জানতে পারে সুরবালার বিয়ে হয়েছে অন্যত্র?
উত্তর : দুই-চার মাস পর।
৮৬. সুরবালার স্বামীর নাম কী?
উত্তর : রামলোচন বাবু ।
৮৭. রামলোচন বাবু পেশায় কী ছিল?
উত্তর : রামলোচন বাবু পেশায় উকিল ছিল।
৮৮. সুরবালার বিয়ের খবর লেখকের কাছে কেমন ছিল?
উত্তর : পতিত ভারতের চাঁদা আদায় করতে থাকায় এ সংবাদ অত্যন্ত তুচ্ছ মনে হয়।
৮৯. গল্পকথকের পিতার যখন মৃত্যু হয় তখন তার পড়াশোনার অবস্থা কেমন ছিল?
উত্তর : এন্ট্রেন্স পাস করে ফাস্ট আর্টস দেবার সময়।
৯০. গল্পকথকের সংসারে পিতার মৃত্যুর পর আর কারা ছিল?
উত্তর : মাতা এবং দুই বোন।
৯১. গল্পকথক কলেজ ছেড়ে দিয়ে কোথায় চাকরি নেয়?
উত্তর : নওয়াখালি বিভাগের একটি ছোট শহরে।
৯২. গল্পকথকের পদ কী ছিল?
উত্তর : এনট্রেন্স স্কুলের সেকেন্ড মাস্টার।
৯৩. এনট্রেন্স স্কুলের সেকেন্ড মাস্টার কাজটি গল্পকথকের কাছে কেমন ছিল?
উত্তর : উপযুক্ত।
৯৪. মাস্টারিকে গল্পকথকের উপযুক্ত কাজ মনে করলেন কেন?
উত্তর : উপদেশ এবং উৎসাহ দিয়ে এক একটি ছাত্রকে তিনি ভাবি ভারতের সেনাপতি করে গড়ে তুলবেন এ প্রত্যাশায়।
৯৫. দেশের চাইতে ছাত্রদের আগ্রহ কোন বিষয়ে বেশি?
উত্তর : আসন্ন এগজামিনের।
৯৬. ছাত্রদের গ্রামার অ্যালজেব্রার বাইরে কথা বললে কে রাগ করতো?
উত্তর : হেডমাস্টার।
৯৭. বারো মাসের মধ্যে গল্পকথকের আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন?
উত্তর : মাস দুয়েকের মধ্যে।
৯৮. গল্পকথকের থাকার কয়টি রুম ছিল?
উত্তর : স্কুলের বড়ো আটচালা সংলগ্ন একটি চালায় গল্পকথকের বাস করতো।
৯৯. স্কুল ঘরটি কোথায় ছিল?
উত্তর : লোকালয় থেকে কিছু দূরে একটি পুকুরের পাড়ে।
১০০. স্কুলের চারদিকে কোন কোন গাছ ছিল?
উত্তর : সুপারি, নারিকেল এবং মাদার গাছ।
১০১. স্কুলের প্রায় কাছেই কোন গাছ ছায়া দান করতো?
উত্তর : দুইটা প্রকাণ্ড নিমগাছ।
১০২. নওয়াখালি এসে গল্পকথকের কোন কথাটা এখনো পাঠককে বলেনি?
উত্তর : এখানকার সরকারি উকিল রামলোচনের সাথে তার বন্ধুত্বের কথা।
১০৩. রামলোচন বাবু যে সুরবালার গৃহকর্তা এ কথা গল্পকথকের জানা ছিল কী?
উত্তর : গল্পকথক জানত।
১০৪. গল্পকথকের বাল্যসঙ্গী যে সুরবালা রামলোচন তা জানত কী?
উত্তর : জানতো না।
১০৫. এখানকার সরকারি উকিল কে?
উত্তর : রামলোচন বাবু ।
১০৬. গল্পকথক কখন রামলোচন বাবুর বাড়িতে যায়?
উত্তর : ছুটির দিনে।
১০৭. গল্পকথক ও রামলোচন কোন বিষয় নিয়ে আলাপ করছিল?
উত্তর : ভারতবর্ষের দূরবস্থা।
১০৮. পাশের ঘরে চুড়ির শব্দ, কাপড়ের খস্থস্ এবং পায়ের আওয়াজ শুনে গল্পকথক কী বুঝতে পারে?
উত্তর : তাকে কেউ নিরীক্ষণ করছে।
১০৯. এই নিরীক্ষণকারী রমণী কে ছিল?
উত্তর : গল্পকথকের বাল্যসঙ্গী সুরবালা।
১১০. গল্পকথকের কল্পনায় সুরবালার কোন কোন দিক ভেসে উঠে?
উত্তর : সুরবালার বিশ্বাস সরলতা, শৈশবপ্রীতি, বড়ো বড়ো চোখ, ঘনকৃষ্ণ পল্লব ইত্যাদি।
১১১. বাসায় ফিরে আসার পর লেখকের অবস্থা কেমন হয়?
উত্তর : শুধু সুরবালার কথায় তার মনে হয় আর বেদনা বেড়ে যায় ।
১১২.“সহসা হৃৎপিণ্ডকে কে যেন একটা কঠিন মুষ্টির দ্বারা চাপিয়া ধরিল এবং বেদনায় ভিতরটা টনটন করিয়া উঠিল।”-কোন গল্পের এবং কার বেদনায় টনটন করে?
উত্তর : ‘একরাত্রি’ গল্পের এবং গল্পকথকের/সেকেন্ড মাস্টারের।
১১৩. সন্ধ্যাবেলা যখন স্থির হয়ে গল্পকথক ভাবতে বসে তখন কী উত্তর আসে?
উত্তর : ‘তোমার সে সুরবালা কোথায় গেল’।
১১৪. “তখন যাহাকে ইচ্ছা করিলেই পাইতে পারিতে এখন মাথা খুঁড়িয়া মরিলেও তাহাকে একবার চক্ষে দেখিবার অধিকারটুকুও
পাইবে না।”- এ কথা কে, কাকে বলেছিল?
উত্তর : গল্পকথকের মন গল্পকথককে।
১১৫. লেখকের মতে রামলেচন কিভাবে সুরবালাকে তার কাছ থেকে নিয়ে গেছে?
উত্তর : গোটা দুয়েক মুখস্থ মন্ত্র পড়ে।
১১৬. রামলোচনের গৃহে সুরবালা থাকার পরও লেখকের ধারণা কী ছিল সুরবালাকে নিয়ে?
উত্তর : রামলোচনের চাইতে সুরবালার প্রতি তার অধিকার বেশি।
১১৭. ছাত্ররা কখন ক্লাসে গুনগুন করতো?
উত্তর : দুপুর বেলা ।
১১৮. রামলোচনের কত টাকা রোজগার ছিল?
উত্তর : পাঁচ টাকা।
১১৯. সন্ধ্যাবেলায় পুষ্করিনীর ধারে সুপারি নারিকেলের অর্থহীন মর্মরধ্বনি শুনে গল্পকথক কী ভাবতো?
উত্তর : “মনুষ্য সমাজ একটি জটিল ভ্রমের জাল”।
১২০. দুধের ধোঁয়ার গন্ধে রামলোচন সুরবালাকে কী করে?
উত্তর : তিরস্কার করে।
১২১. মন প্রসন্ন থাকলে রামলোচন কী করে?
উত্তর : স্ত্রার জন্য গহনা বানাতে দেয়।
১২২. রামলোচন কী কারণে কিছুদিনের জন্য অন্যত্র যায়?
উত্তর : বড় মকদ্দমার জন্য।
১২৩. কোন দিন ঝড় আরম্ভ হয়?
উত্তর : সোমবারের পরের দিন বিকাল থেকে।
১২৪. কোন দিন আকাশের অবস্থা খারাপ হয়?
উত্তর : সোমবার।
১২৫. কখন থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হতে শুরু করে?
উত্তর : সকাল থেকে।
১২৬. কখন থেকে টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করে?
উত্তর : বেলা দশটা থেকে।
১২৭. আকাশের ভাবগতিক দেখে হেডমাস্টার কখন স্কুল ছুটি দিলেন?
উত্তর : সকাল সকাল ।
১২৮. কখন থেকে বৃষ্টি এবং ঝড় আরম্ভ হয়?
উত্তর : বিকাল থেকেই।
১২৯. ঝড় এবং বৃষ্টির বেগ কখন বেড়ে যায়?
উত্তর : রাত থেকে।
১৩০. প্রথম বাতাস কোন দিকে ধাবিত হয়?
পূর্ব দিক থেকে।
উত্তর :পূর্ব দিক থেকে।
১৩১. বাতাস গতিপথ বদলায় কোন দিকে?
উত্তর : উত্তর এবং উত্তর পূর্ব দিকে।
১৩২. ঝড়ের রাতে ঘুমানোর বৃথা চেষ্টা করার কথা মনে পড়লো কেন?
উত্তর : সুরবালার কথা, ঘরে একলা আছে বলে।
১৩৩. গল্পকথকের স্কুলঘর থেকে সুরবালার ঘর কেমন ছিল?
উত্তর : অপেক্ষাকৃত দুর্বল।
১৩৪. ঝড়ের রাতে গল্পকথকের সুরবালাকে নিয়ে কী ভাবে?
উত্তর : সুরবালাকে ডেকে এনে স্কুল ঘরে রাখবে আর সে পুকুর পাড়ের উপর রাত্রি যাপন করবে।
১৩৫. কখন বানের ডাক শোনা যায়?
উত্তর : রাত্রি একটা-দেড়টা পর দিকে।
১৩৬. কী ছুটে আসে লোকালয়ে?
উত্তর : সমুদ্র।
১৩৭. গল্পকথক তখন কী করে?
উত্তর : ঘর ছেড়ে বাইরে আসে।
১৩৮. গল্পকথক ঘর থেকে বেরিয়ে কোথায় রওয়ানা দেয়?
উত্তর : সুরবালার বাড়ির দিকে।
১৩৯. কোন জায়গা পৌছাতে গল্পকথকের হাটুজল হয়?
উত্তর : পুকুরের পাড় পর্যন্ত ।
১৪০. পাড়ের উপর দাঁড়ালে কী ঘটে?
উত্তর : দ্বিতীয় আর একটি তরঙ্গ এসে উপস্থিত হয়।
১৪১. পুকুরের পাড়ের একটা অংশ কত হাত উঁচু ছিল?
উত্তর : দশ এগারো।
১৪২. গল্পকথক পাড়ের উপর উঠলে বিপরীত দিক থেকে কে উঠে।
উত্তর : একটি লোক।
১৪৩. ঐ লোকটি কে ছিল?
উত্তর : সুরবালা।
১৪৪. ঝড়ে রাতে পুকুর পাড়ে দু’জন কে চিনতে পেরেছিল কী?
উত্তর : হ্যা।
১৪৫. সমস্ত জলমগ্ন হলে গল্পকথক ও সুরবালা কোথায় দঁড়ায়?
উত্তর : হাত পাঁচ-ছয় দ্বীপের উপর।
১৪৬. সেই রাতে আকাশের অবস্থা কেমন চিল?
উত্তর : আকাশে তারা ছিল না, পৃথিবীর সমস্ত প্রদীপ নিবে যায়।
১৪৭. গল্পকথক ও সুরবালার মধ্যে কোন কথা হয়েছিল কী সেই ঝড়ের রাতে?
উত্তর: না।
১৪৮. ঝড়ের রাতে গল্পকথকের ও সুরবালা কোনদিকে চেয়ে থাকে?
উত্তর : অন্ধকারের দিকে।
১৪৯. সুরবালা কখন গল্পকথকের পাশে দাঁড়ায়?
উত্তর : ঝড়ের রাতে বিপদে পড়ে।
১৫০. ঝড়ের রাতে গাঢ় কৃষ্ণবর্ণ উন্মত্ত কী গর্জন করে ছুটে চলল?
উত্তর : মৃত্যুস্রোত।
১৫১. “আমি এই একরাত্রে মহাপ্রলয়ের তীরে দাঁড়াইয়া অনন্ত আনন্দের আস্বাদ পাইয়াছি।”- কোন গল্পের?
উত্তর : “একরাত্রি”।
১৫২. ঝড় এবং জল কখন থেমে যায়?
উত্তর : রাত প্রায় শেষ হয়ে এলে।
১৫৩. ঝড়ের শেষে সুরবালা ও গল্পকথক কী করে?
উত্তর : দু’জনে কারোর সাথে কোন কথা না বলে যার যার স্থানে ফিরে যায়।
১৫৪. একরাত্রি গল্পে লেখকের ইহজীবনে কী ঘটে?
উত্তর : ক্ষণকালের জন্য একটি অনন্ত রাত্রির উদয়।
১৫৫. “আমার পরমায়ুর সমস্ত দিন-রাত্রির মধ্যে সেই একটিমাত্র রাত্রিই আমার তুচ্ছ জীবনের একমাত্র চরম সার্থকতা। “-কার উক্তি?
উত্তর : গল্পকথকের।
১৫৬. ঝড়ের শেষে গল্পকথক সুরবালা সম্পর্কে কী আশা পোষণ করে?
উত্তর : স্বামীপুত্র গৃহ-ধন-জন লইয়া সুরবালা চিরদিন সুখে থাকুক ।
১৫৭, আদালতজীবী কারা?
উত্তর : যারা আদালতে চাকরি করে।
১৫৮. মাসীনি, গারিবালভি কে?
উত্তর : প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ। এঁরা দেশোদ্ধারের জন্য আত্মত্যাগের ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন।
১৫৯. এন্ট্রাপ কী?
উত্তর : প্রবেশিকা পরীক্ষা; বর্তমানের এস. এস. সি পরীক্ষা।
১৬০. ফার্স্ট আর্টস কী?
উত্তর : এফ. এ. পরীক্ষা; বর্তমানের এইচ. এস. সি।
১৬১. এন্ট্রাল স্কুল কী?
উত্তর : মাধ্যমিক বিদ্যালয়।