অথবা, কর্মমুখী শিক্ষার লক্ষ্যগুলো লিখ।
অথবা, কর্মমুখী শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য উল্লেখ কর।
অথবা, কর্মমুখী শিক্ষার লক্ষ্যসমূহ উল্লেখ কর।
অথবা, কর্মমুখী শিক্ষার উদ্দেশ্যগুলো বর্ণনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : শিক্ষা সমাজের মৌলিক কার্যাবলির মধ্যে অন্যতম। এ শিক্ষা সুস্থ সমাজজীবনের চালিকাশক্তি। মানুষ শিক্ষার সংস্পর্শে এসে ব্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটায়। শিক্ষা মানুষকে কর্মজীবনের জন্য উপযোগী করে
গড়ে তোলে। একইভাবে শিক্ষা ব্যক্তির সার্বিক উন্নয়ন ঘটায়। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষা ব্যক্তি ও সমাজের উন্নয়ন ঘটাতে পারে। সার্বিক উন্নয়নের প্রশ্নে বর্তমানে কর্মমুখী শিক্ষাকে গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে।
কর্মমুখী শিক্ষার উদ্দেশ্য : কর্মমুখী শিক্ষার অন্যতম উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীকে কর্মের প্রতি আগ্রহী করে তোলা। শিক্ষার্থীকে পরিপূর্ণভাবে বিকশিত করে তোলার জন্য স্নায়ু ও পেশীর সমন্বিত বিকাশের প্রয়োজন। এ শিক্ষা শিক্ষার্থীকে স্নায়ু ও পেশির সমন্বিত বিকাশ ঘটায়। কর্মমুখী শিক্ষার কতকগুলো উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমন-
১. দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ছোটখাট কাজ সম্পাদনে সচেষ্ট হওয়া এবং দক্ষতা অর্জন করা।
২.কায়িক শ্রমে অংশগ্রহণ করা এবং শ্রম ও শ্রমজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল করে তোলা।
৩.শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সমাজের সুষ্ঠু সমন্বয়সাধন ও যোগাযোগ স্থাপন করা।
৪.স্নায়ু ও পেশীর সমন্বিত সঞ্চালনের অভ্যাস গড়ে তোলা।
৫.সার্বিক ব্যক্তিত্বের বিকাশ সাধন করা।
৬.সৃজনশীল প্রতিভার বিকাশ সাধন করা।
৭.বিভিন্ন ধরনের উৎপাদন পদ্ধতির সাথে পরিচিত হওয়া।
৮.জাতীয় উৎপাদন বৃদ্ধিতে অংশগ্রহণ করা।
৯. সমাজে সেবামূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা।
১০.কর্মস্পৃহা ও কর্মোদ্যম বৃদ্ধি করা।
১১.শিক্ষার সাথে কর্মজীবনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করা।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার শেষে বলা যায় যে, জ্ঞানের সুষ্ঠু ব্যবহারের শৈলী আয়ত্ত করাই হলো শিক্ষা। সাধারণ শিক্ষা ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থার ধারা বহন করে, যা কায়িক শ্রমের মধ্য দিয়ে অর্জনকে সম্মান ও শ্রদ্ধা জানাতে জানে না। একটি জাতির উন্নয়নে শুধুমাত্র তাত্ত্বিক শিক্ষা ভূমিকা রাখতে পারে না। এজন্য কর্মমুখী শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ। তাইসাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি কর্মমুখী শিক্ষার বিকাশ ঘটানো প্রয়োজন ।