উত্তর।৷ ভূমিকা : বাংলাদেশে যেসব আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্মরত আছে তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সংস্থা হলো ওয়ার্ল্ড ভিশন। ১৯৫০ সালে অনাথ শিশুদের পরিচর্যার মধ্য দিয়ে World Vision তার কার্যক্রম শুরু করে।আমাদের দেশে World Vision তার কার্যক্রম শুরু করে ১৯৭০ সালে। উপকূলীয় অঞ্চলে ভয়াবহ জলোচ্ছ্বাসে ক্ষতিগ্রস্ত দের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের মধ্য দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে সমাজকর্ম অনুশীলন/ ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ: নিম্নে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে মাঠকর্ম অনুশীলনকারী বা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণকারীদের ভূমিকা সংক্ষেপে আলোচনা করা হলো:
১. শিশু পরিচর্যামূলক কার্যক্রম : ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশে ১৯৭৫ সাল থেকে শিশু পরিচর্যামূলক কার্যক্রম পরিচালিত করতে থাকে। এ কর্মসূচির আওতায় শিশুর খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পিতামাতার আয় উপার্জনের ক্ষেত্রে সহায়তা ও সমর্থন পেয়ে দেয়া হয়। মাঠকর্ম অনুশীলনকারী বা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণকারীরাও এক্ষেত্রে তাদের সমর্থনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে।
২. লিঙ্গ সমতায় সহায়তা : ওয়ার্ল্ড ভিশন উন্নয়নের ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের সমান অংশীদারিত্বকে খুবই গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। এ কারণে ওয়ার্ল্ড ভিশন লিঙ্গ সমতাভিত্তিক এলাকা উন্নয়ন (Area development) কর্মসূচি গ্রহণ করে। মাঠকর্ম অনুশীলনকারী বা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণকারীরা লিঙ্গ সমতাভিত্তিক এলাকা উন্নয়ন কর্মসূচিতে নিজেদের জ্ঞান কাজে লাগাতে পারে।
৩. শিক্ষামূলক কার্যক্রম : পরিবর্তন এবং উন্নয়ন শিক্ষা আন্দোলনকে ভিত্তি করে ওয়ার্ল্ড ভিশন এলাকা উন্নয়ন কর্মসূচিতে কয়েক ধরনের সহায়তা প্রদানমূলক কর্মসূচি পরিচালনা করে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কর্মসূচিসমূহ হলো : শিক্ষার্থীদের শিক্ষা সহায়তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহায়তা, শিক্ষার্থীদের জন্য কোচিং ও প্রাক-শৈশব শিক্ষা কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি সঠিকভাবে বাস্তবায়নে মাঠকর্ম অনুশীলনকারী বা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণকারীরা সাহায্য করতে পারে।
৪. স্বাস্থ্য কর্মসূচি : ওয়ার্ল্ড ভিশন তার নিজস্ব উন্নয়ন এলাকাগুলোতে প্রধানত ৩ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করে থাকে। যথা :
১. প্রতিরোধমূলক স্বাস্থ্যসেবা,
২. নিবারণমূলক স্বাস্থ্যসেবা ও
৩. এইচআইভি/এইডস প্রতিরোধমূলক কর্মসূচি।
মাঠকর্ম অনুশীলনকারী বা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণকারীরা সমাজকর্মের জ্ঞানের আলোকে এ ধরনের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে কাজ করতে পারে। তাছাড়া এসব বিষয়ে মাঠকর্ম অনুশীলনকারীরা জরিপ বা গবেষণাকর্মও পরিচালিত করতে পারে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত ভূমিকা ছাড়াও মাঠকর্ম অনুশীলনকারী বা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণকারীরা ওয়ার্ল্ড ভিশনের বিভিন্ন দুর্বলতা খুঁজে বের করতে পারে। এসব দুর্বলতা কাটিয়ে উঠার ক্ষেত্রেও তারা তাদের সুপারিশ প্রদান করতে পারে।অন্যদিকে ওয়ার্ল্ড ভিশনের থেকে অর্জিত জ্ঞান সমাজকর্মে ব্যবহার করা যায় কি না সে সম্পর্কেও তারা তাদের মতামত ব্যক্ত করতে পারে।