ওজোন স্তরের ক্ষয়রোধে গৃহীত সুপারিশসমূহ আলোচনা কর।

অথবা, ওজোন স্তরের ক্ষয়রোধ গৃহীত পদক্ষেপসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, ওজোন স্তরের ক্ষয়রোধর জন্য কী সপারিশ গ্রহণ করা যায়? সংক্ষেপে লিখ।
অথবা, ওজোন স্তরের প্রতিরোধে তোমার সংক্ষিপ্ত সুপারিশসমূহ তুলে ধর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
মানবসভ্যতার দ্রুত অগ্রগতির পাশাপাশি কিছু পরিবেশগত ঝুঁকিও মারাত্মক আকার ধারণ করছে, যারা মানবসভ্যতাকে হুমকির মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এ পরিবেশগত বিপর্যয়ের মধ্যে ওজোন স্তরের ক্ষয় অন্যতম। দ্রুত শিল্পায়ন শহরায়ন প্রক্রিয়া ওজোন স্তরের ক্ষয়কে ত্বরান্বিত করেছে। তবে বিশ্বব্যাপী মানুষ বর্তমানে এ বিষয়ে সচেতন হতে শুরু করেছে। তাই তারা ওজোন স্তরের ক্ষয়রোধে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে। তবে এগুলো প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
ওজোন স্তরের ক্ষয়রোধে সুপারিশ : মোট উৎপাদিত CFC গ্যাসের ৮০% ই উন্নত বিশ্ব উৎপাদন করে। তাই এ গ্যাসের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে তাদেরকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে :
১. CFC এর ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করতে হবে।
২. CFC এর সস্তা বিকল্প আবিষ্কারের ব্যবস্থা করতে হবে।
৩. মানুষের বিলাসবহুল জীবনযাপনের মাত্রা হ্রাস ও খাদ্যদ্রব্যের বাজার ব্যবস্থা উন্নত করতে হবে।
৪.খনিজ নির্ভরতা কমিয়ে, সৌর শক্তি ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দিতে হবে।
৫. স্থানীয়, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্যাপক সচেতনতা ও জনমত গড়ে তুলতে হবে।
৬. CFC এর মাত্রা হ্রাস করলে জাতিসংঘকে প্রধান ভূমিকা আনতে হবে।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা হতে দেখা যায় যে, CFC এ অন্যান্য কিছু গ্যাসের কারণে ওজোন স্তরের যে ক্ষয় শুরু হয়েছে তা অনান্য সকল জীবের অস্তিত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই এ প্রক্রিয়া রোধ করার জন্য দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন । এক্ষেত্রে অবশ্য কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, তার তা অপ্রতুল ও অকার্যকর। এ প্রক্রিয়া রোধে বিশ্বাসীকে আরো অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।