অথবা,এথনোগ্রাফিক অনুসন্ধানের দুর্বল দিকসমূহ লিখ।
অথবা, এথনোগ্রাফিক অনুসন্ধানের অসুবিধা তুলে ধর।
অথবা, এথনোগ্রাফিক অনুসন্ধানের দুর্বল দিকসমূহ উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : সামাজিক গবেষণায় এথনোগ্রাফিক অনুসন্ধানের যথেষ্ট গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে । তথাপি অনেক সমাজ গবেষক এ অনুসন্ধানকে কার্যকরী অনুসন্ধান হিসেবে গ্রহণ করতে নারাজ। বর্তমান সময়ে এথনোগ্রাফিক অনুসন্ধান ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশকিছু অসুবিধা বা সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়েছে ।
এথনোগ্রাফিক অনুসন্ধানের অসুবিধা : নিম্নে সে সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো :
প্রথমত, এ অনুসন্ধানের প্রধান অসুবিধা হলো এতে প্রচুর সময় ব্যয় হয় এবং এটি খুব কষ্টসাধ্য। অনেক সময় বছরের পর বছর তাকে গবেষণাধীন এলাকায় থাকতে হয় এবং অমানুসিক পরিশ্রম করতে হয়। ফলে গবেষণায় সঠিক উদ্দেশ্য ব্যাহত হয়।
দ্বিতীয়ত, যেহেতু গবেষককে দীর্ঘকালব্যাপী গবেষণাধীন এলাকায় অবস্থান করতে হয়, সেহেতু গবেষককে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। অর্থাৎ এটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল অনুসন্ধান ।
তৃতীয়ত, এ অনুসন্ধানে গবেষককে বিভিন্ন সমাজের মানুষের সাথে মিশতে হয় বলে অনেক সময় সামাজিক জটিলতা দেখা দেয়, যা উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করে ।
চতুর্থত, এ অনুসন্ধানে গবেষকের নিরপেক্ষতা অনেক সময় ক্ষুণ্ন হয়। কেননা গবেষক যে ব্যক্তি বা দল নিয়ে গবেষণা করেন তাদের প্রতি বেশি আকৃষ্ট হলে তিনি পক্ষপাত দোষে দুষ্ট হবেন এবং সঠিক উপাত্ত সংগ্রহ করা তখন দুরূহ ব্যাপার হয়ে পড়ে।
পঞ্চমত, তথ্যাবলির নির্ভরযোগ্যতা যাচাই করার জন্য এ অনুসন্ধান দ্বারা গবেষণার পুনরাবৃত্তি সম্ভব নয় ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও একথা বলা যায় যে, সামাজিক গবেষণার ক্ষেত্রে এথনোগ্রাফিক অনুসন্ধান কার্যকরী ও যুগোপযোগী । এর মাধ্যমে উপজাতীয় সংস্কৃতির সংরক্ষণ ও বিকাশ সাধন করে জাতীয় সংস্কৃতির বৃহত্তম অঙ্গনকে আরো পুরিপুষ্ট, সমৃদ্ধ ও বৈচিত্র্যমণ্ডিত করে তুলতে সক্ষম সম্ভব।