অথবা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য গৃহীত পদক্ষেপসমূহ আলোচনা কর।
অথবা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্য যেসব কার্যক্রম নেয়া হয়েছে তা আলোচনা কর।
উত্তর৷ ভূমিকা : শিক্ষা ব্যক্তিকে আলোর পথে পরিচালিত করে। ব্যক্তির সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার মাধ্যমে সমাজে তাকে যোগ্য করে গড়ে তোলে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এক ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি। এ পদ্ধতির মাধ্যমে ব্যক্তি এবং দলকে নমনীয় শিক্ষায় শিক্ষিত করা হয়। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষায় রয়েছে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যফল ।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বাস্তবায়ন : উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা বাস্তবায়নের জন্যে কতকগুলো কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। যেমন-
১. পরিকল্পনা ও জাতীয় উন্নয়নের মধ্যে সম্পর্কের গভীরতা নির্ণয় করা।
২. যে এলাকায় কার্যক্রম পরিচালিত হবে সে এলাকার আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক, প্রশাসনিক প্রভৃতি বিষয় সম্পর্কে জানা।
৩. লক্ষ্যদলের চাহিদা, আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রভৃতি সম্পর্কে জানা।
৪. অন্যান্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার বিভিন্ন কর্মসূচির বিবরণ সংগ্রহ করা। প্রাক মূল্যায়নের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানা যায়। প্রাক মূল্যায়ন বলতে কোন কার্যক্রমের পরিকল্পনা গ্রহণের পূর্বে তথ্যানুসন্ধানের ভিত্তিতে গৃহীত পদক্ষেপ। জরিপের মাধ্যমে প্রাক মূল্যায়ন করা যায়।
জরিপ পরিচালনার নমুনা : বিভিন্ন বিষয়ে জরিপের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা যায়। কতকগুলো নমুনা দেওয়া হলো :
১. জনসংখ্যা সংক্রান্ত তথ্যসংগ্রহ।
২. আর্থসামাজিক তথ্যসংগ্রহ।
৩. অঞ্চল বা এলাকার তথ্যসংগ্রহ।
৪. প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো সংক্রান্ত তথ্য।
৫. আনুষ্ঠানিক শিক্ষার সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত তথ্যসংগ্রহ।
৬. এলাকা বা অঞ্চলে গৃহীত উন্নয়নমূলক কর্মসূচির তথ্যসংগ্রহ।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন : কতকগুলো পর্যায়ের মধ্য দিয়ে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন সম্ভব হয়। যেমন-
ক. প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা,
খ. মনিটরিং ফিডব্যাক,
গ. মূল্যায়ন,
ঘ. ফরমেটিভ মূল্যায়ন এবং
ঙ. সামেটিভ মূল্যায়ন।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনা শেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশের ন্যায় উন্নয়নশীল দেশে সকল স্তরের মানুষ আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পায় না। সমাজজীবনে সাধারণ সমস্যাবলি মোকাবিলা করা, পারিপার্শ্বিক অবস্থা সম্পর্কে ধারণা রাখা, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ বিভিন্ন লক্ষ্যে এ শিক্ষা প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের সুষ্ঠু
জীবনযাপনের সহায়ক হিসেবে এ শিক্ষার বিস্তার ঘটানো হয়েছে।