উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য লিখ ।

অথবা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার রূপরেখা তুলে ধর।
অথবা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বর্ণনা কর।
অথবা, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ কর।
উত্তর৷ ভূমিকা :
শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। ব্যক্তির মেধা, বুদ্ধিমত্তা প্রভৃতির বিকাশ ও সমাজে নিজেকে খাপখাইয়ে নিতে শিক্ষার গুরুত্ব অপরিসীম। শিক্ষাই ব্যক্তিকে মানুষ হিসেবে গড়ে তোলে। উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা এক ধরনের শিক্ষা পদ্ধতি । এর কতকগুলো সুস্পষ্ট বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান।
উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্য : নিম্নে উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার বৈশিষ্ট্যগুলো উল্লেখ করা হলো :
ক.এটি নমনীয় প্রকৃতির শিক্ষাব্যবস্থা।
খ.এটি আনুষ্ঠানিক শিক্ষার ন্যায় নিয়ম পদ্ধতি অনুসরণ করে না।
গ.
বিশেষ দল বা গোষ্ঠীকে এ শিক্ষা প্রদান করা হয়।
ঘ. বিশেষ উদ্দেশ্যে এ শিক্ষা প্রদান করা হয়।
ঙ.এটি সতর্কতার সাথে সংঘটিত হয়।
চ. এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে সংঘটিত ধারাবাহিক কার্যক্রম।
উপসংহার : ‘আলোচনার শেষে বলা যায় যে, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা মূলত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মননশীলতাকে বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে পরিচালিত নমনীয় শিক্ষা পদ্ধতি। এ পদ্ধতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে বিশেষ শিক্ষা প্রদান করা। সর্বোপরি এটি একটি সংগঠিত প্রক্রিয়া।