অথবা, উন্নয়নে নারী’ নীতিমালার কর্মকৌশলগুলো উল্লেখ কর।
অথবা, উন্নয়নে নারী’ নীতিমালার কর্মকৌশলগুলো আলোচনা কর।
অথবা, উন্নয়নে নারী’ নীতিমালার কর্মকৌশলগুলোর সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।
উত্তর৷ ভূমিকা : সত্তরের দশকে আধুনিকায়ন তত্ত্বের সমালোচনার ধারায় ‘উন্নয়নে নারী’ (WID) নীতিমালার উদ্ভব। এ নীতিমালা অনুযায়ী ধরে নেয়া হয় যে, নারীরা সম্পদ, দক্ষতা ও সুযোগের অভাবের দরুন উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পর্কিত নয় এবং তাই তাদের উন্নয়ন প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত করতে হবে।
‘উন্নয়নে নারী’ নীতিমালার কর্মকৌশল : এ ‘উন্নয়নে নারী’ নীতিমালাটি পরবর্তীকালে সার্বিক নারী উন্নয়নবিদরা গ্রহণ করায় সমগ্র উন্নয়নশীল বিশ্বে এ নীতিমালা ব্যাপক বিস্তৃতি লাভ করে। ধারণা করা হয় যে, নারীরা
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের অংশীদার হলে বিদ্যমান অসম বা বৈষম্যমূলক জেন্ডার সম্পর্ক আপনাআপনি পরিবর্তিত হবে। নিম্নে উন্নয়নে নারী নীতিমালার কর্মকৌশলগুলো প্রদত্ত হলো :
১. উন্নয়ন উদ্যোগগুলোতে নারীরা কিভাবে আরও ভালোভাবে সম্পর্কিত হতে পারে সেদিক নিয়ে আলোচনা করা।
২.নারীদের আয় উপার্জনমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত করা।
৩.শিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে নারীর সমান অংশগ্রহণের লক্ষ্যে কাজ করা।
৪.প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নারীর সুযোগ সৃষ্টি করা।
৫. নারীর কাজের বোঝা লাঘবের জন্য লাগসই প্রযুক্তি প্রবর্তন।
৬.নারীর জন্য ঋণ প্রদান ও ঋণ সেবা প্রসারিত করা।
৭. নারীর স্বাস্থ্য, পুষ্টি, শিশু পরিচর্যা ইত্যাদি দিকের উন্নয়ন সাধন
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা বলতে পারি যে, নারী উন্নয়নে ‘উন্নয়নে নারী’ (WID) কৌশলের গুরুত্ব অনস্বীকার্য। এ কৌশলের ফলে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিসরে নারী উন্নয়ন নীতিমালার ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হচ্ছে।