উদঘাটক যন্ত্র কাকে বলে? 

উদ্‌ঘাটক যন্ত্র নিউক্লিয় বিকিরণ উদ্ঘাটনের কৌশল বিকশিত হওয়ায় পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের বহুবিধ রহস্যের পথ উন্মোচিত হয়েছে। একটি আদর্শ উদঘাটন পদ্ধতি মূলত দুটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত। একটি ডিটেক্টর এবং অন্যটি পরিমাপের জন্য একটি যান্ত্রিক গণক ব্যবস্থা। সুতরাং যে যন্ত্রের সাহায্যে α, β, γ রশ্মির স্বতঃস্ফূর্ত রূপান্তরণ, অতি পারমাণবিক কণিকার গুণাবলী তেজস্ক্রিয় বিক্রিয়া, তেজস্ক্রিয় ক্ষয় হতে নির্গত বিকিরণসমূহের উদ্ঘাটন, শনাক্তকরণ ও শক্তি নির্ণয়জনিত সমস্যাবলী উদ্ঘাটন করা যায়, তাকে উদ্ঘাটক যন্ত্র বলে। উদাহরণস্বরূপ: গাইগার মূলার গণক, সিনটিলেশন গণক, ফটোগ্রাফিক নিউক্লিয় ইমালশন ইত্যাদি।

উদঘাটক যন্ত্র: পারমাণবিক জগতের রহস্য উন্মোচনের চাবিকাঠি

নিউক্লিয় বিকিরণ উদ্ঘাটনের কৌশল বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে পারমাণবিক নিউক্লিয়াসের বহুবিধ রহস্যের পথ উন্মোচিত হয়েছে। এই ক্ষেত্রে, উদঘাটক যন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

একটি আদর্শ উদঘাটন পদ্ধতি মূলত দুটি অংশের সমন্বয়ে গঠিত:

  1. ডিটেক্টর: এটি বিকিরণ শনাক্ত করে এবং রূপান্তর করে।
  2. পরিমাপের জন্য যান্ত্রিক গণক ব্যবস্থা: এটি ডিটেক্টর থেকে সংকেত গ্রহণ করে এবং বিকিরণের শক্তি ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করে।

উদঘাটক যন্ত্রের কাজ:

  • α, β, γ রশ্মির স্বতঃস্ফূর্ত রূপান্তরণ: তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের স্বতঃস্ফূর্ত ক্ষয়ের সময় নির্গত বিকিরণ শনাক্ত করা।
  • অতি পারমাণবিক কণিকার গুণাবলী: ইলেকট্রন, প্রোটন, নিউট্রন ইত্যাদির শক্তি, ভর, চার্জ নির্ণয় করা।
  • তেজস্ক্রিয় বিক্রিয়া: পারমাণবিক সংঘর্ষের ফলে নির্গত বিকিরণ পর্যবেক্ষণ করা।
  • তেজস্ক্রিয় ক্ষয়: তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের ক্ষয় হার এবং ক্ষয় প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করা।

উদঘাটক যন্ত্রের প্রকারভেদ:

  • গাইগার মূলার গণক: α ও β বিকিরণ শনাক্তকরণে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত।
  • সিনটিলেশন গণক: α, β, γ বিকিরণ সকলের জন্যই ব্যবহারযোগ্য।
  • ফটোগ্রাফিক নিউক্লিয় ইমালশন: α বিকিরণের ট্র্যাক রেকর্ড করতে ব্যবহৃত।
  • চেম্বার: γ বিকিরণের শক্তি নির্ণয়ে ব্যবহৃত।
  • সেমিকন্ডাক্টর ডিটেক্টর: α, β, γ বিকিরণ সকলের জন্যই ব্যবহারযোগ্য।

উদঘাটক যন্ত্রের ব্যবহার:

  • পারমাণবিক পদার্থবিদ্যা গবেষণা: নতুন তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ আবিষ্কার, পারমাণবিক কাঠামো ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন।
  • চিকিৎসা ক্ষেত্র: রোগ নির্ণয়, ক্যান্সার চিকিৎসা, রেডিওথেরাপি।
  • শিল্প: ধাতুবিদ্যা, খনিজ অনুসন্ধান, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধান।
  • পরিবেশ পর্যবেক্ষণ: বায়ু ও জল দূষণ পরিমাপ, পারমাণবিক দুর্ঘটনা পর্যবেক্ষণ।
  • মহাকাশ গবেষণা: মহাজাগতিক বিকিরণ পর্যবেক্ষণ, মহাজাগতিক কণা অনুসন্ধান।