ইংরেজি আমরা সকলেই শিখতে চাই। কেউ বা একাডেমিক কারণে কেউ বা চাকরিতে ভালো করতে। তবে আমাদের সবার নিয়ম মাফিক ভাবে চর্চা করার সুযোগ হয়ে উঠে না। আবার অনেকেই হয়তো নানান ভুল করে থাকি। আজকের এই লেখাটির লক্ষ্য হবে এই ভুলগুলো তুলে ধরা যেন আমাদের সবার ইংরেজি শেখা হয়ে উঠে আরও কার্যকর!
১. এক সাথে বেশি শেষ করতে চাওয়া
এটা মূলত আমাদের অধৈর্য্য হওয়ার লক্ষণ। আমাদের motivation যখন বেশি থাকে তখন আমাদের মনে হয় যে অনেক বেশি পড়ি। সেটা হয়তো আমরা কিছু দিন করেও ফেলি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেটা আর আমাদের বজায় রাখা হয় না। আপনিই ভেবে দেখুন, কিছু দিন বেশি প্র্যাক্টিস করা ভালো নাকি consistently প্রতিদিন নিয়ম করে systematic ভাবে পড়া ভালো?
অবশ্যই দ্বিতীয়টা। এক দিন বেশি করে পড়ার চেয়ে প্রতিদিন কম পড়া ঢের ভালো।
২. একটু প্র্যাক্টিস করে অনেক বেশি আশা করা
আমাদের ইংরেজি শেখার সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কখন কতটুকু প্র্যাক্টিস করা উচিৎ সেটা আমাদের সঠিক ভাবে জানতে হবে। আবার কতটুকু প্র্যাক্টিস করে কী ফলাফল হবে সেটাও কিন্তু জানতে হবে।
আমরা অনেক সময়ই বিশেষ একটা ভুল করে বসি। সেটা হচ্ছে কিছুক্ষণ প্র্যাক্টিস করেও যখন জিনিসটা পারি না, তখন মনে হয়, ‘আমাকে দিয়ে হয়তোবা হবে না। আমি এর উপযুক্ত না।’ আসলে কিন্তু ঘটনা এটা না। আপনিও পারবেন। শুধু দরকার সঠিক পরিমাণে প্র্যাক্টিস, যা হয়তো করা হয়নি।
তাই, প্রস্তুত হোন, দরকারের চেয়ে বেশি আশা না করাই ভালো।
৩. প্র্যাক্টিস কম করা
একটা সহজ নিয়ম কী জানেন? ধরুন, আমি একটা বাক্য সঠিক ভাবে উচ্চারণ করা শিখছি। সেটা করার জন্য আমি প্র্যাক্টিস করতে শুরু করলাম। তবে কয়েকবার প্র্যাক্টিস করার পরেও দেখছি যে এখনো উচ্চারণ সঠিক হয়ে উঠেনি।
তাহলে, আমি কীভাবে বুঝবো যে কতক্ষণ প্র্যাক্টিস করলে আমার উচ্চারণ সঠিক হবে? প্রকৃতপক্ষে এটা নির্ভর করে আপনার দক্ষতার উপর। তাই এটার উত্তর এক এক জনের জন্য এক এক হবে। তবে বেশ কিছু বার প্র্যাক্টিস করার পর নিজেকে যাচাই করে নিবেন। যদি অনুভব করেন যে, এখনো আপনি এটা ভালো করে শিখে উঠতে পারেননি, তাহলে নিশ্চয়ই আপনার আরও প্র্যাক্টিস করা লাগবে।
৪. কোনো কিছু শেখার সময় বানান না শেখা
উপরের উদাহরণটার কথাই ভাবুন। একটা বাক্যের উচ্চারণ প্র্যাক্টিস করছেন। কিন্তু বেশ কিছু বার চেষ্টা করার পরেও দেখলেন যে এখনো আপনি উচ্চারণে পারদর্শী হয়ে উঠতে পারেননি। তাহলে এখন কী করা যায়?
অথচ, আমি যদি আগে কৌশল করে বানানগুলো ভালো করে দেখে শিখে নিতাম, তাহলে আমার কাজ এখানেই অনেকটা শেষ হয়ে যেতো। কারণ, একটা শব্দের বানান জানা থাকলে সেটা কীভাবে উচ্চারণ করতে হবে, সেটা খুব সহজেই আয়ত্তে নিয়ে আসা যায়।
৫. কঠিন শব্দগুলোর সঠিক উচ্চারণ শুনে না নেওয়া
আমরা traditionally পড়ার সময় বই থেকে যখন পড়ি, তখন কিন্তু বিভিন্ন কঠিন বা জটিল শব্দের সঠিক উচ্চারণ জানা থেকে বঞ্চিত হই। এবং সেটা বেশির ভাগ সময়ই আমাদের খেয়াল হয় না, এবং হয়তো ভুল একটা উচ্চারণকে সঠিক ভেবে সেভাবে প্র্যাক্টিস করতে থাকি।
ইংরেজি শব্দগুলোর সঠিক উচ্চারণ আমাদের জানতে হবে। এখন প্রযুক্তির কল্যাণে এটা আরও সহজ হয়ে উঠেছে।