অথবা, অপরাধ গবেষণায় তুলনামূলক পদ্ধতির কী কী ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিক পরিলক্ষিত হয়?
উত্তর৷ ভূমিকা : অপরাধবিজ্ঞানে বিভিন্ন গবেষণা পদ্ধতির মাধ্যমে অপরাধ শনাক্ত করা হয়। আর এসব পদ্ধতির মধ্যে তুলনামূলক পদ্ধতি উল্লেখযোগ্য একটি পদ্ধতি ।
তুলনামূলক পদ্ধতি (Comparative method) : এক জাতীয় বিভিন্ন ঘটনা, প্রপঞ্চ এর মাঝে তুলনা করে অপরাধ গবেষণায় যে সমীক্ষা চালানো হয়, তাকে Comparative method বলে। সমাজবিজ্ঞানীরা তাদের কাজের সময় বিভিন্ন variable এর মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করেন। যে কোন বিজ্ঞানের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে দুটি চলকের মধ্যে তুলনা করে
Generalization করা এবং ঘটনা সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট ধারণা অর্জন করা। এ পদ্ধতির সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিম্নরূপ :
সুবিধা :
১. কোন জায়গায় সময়ের প্রেক্ষিতে এ পদ্ধতি ব্যবহার করা যায়।
2.এ পদ্ধতির সাহায্যে অন্যের অনুকরণ, অন্য প্রকাশনীর বই ছাপানো, বিজ্ঞাপনে মিথ্যা তথ্য ইত্যাদি অপরাধ চিহ্নিত করে শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।
৩.এ পদ্ধতি গ্রাম ও শহরের অপরাধ, নারী ও পুরুষ অপরাধীদের প্রকৃতিগত পার্থক্য স্বাভাবিক অবস্থায় এবং প্রাকৃতিক ও সামাজিক ক্রান্তিকালীন সময়ে সংগঠিত অপরাধের পার্থক্য, শীতকালীন ও গ্রীষ্মকালীন অপরাধের ধরন ইত্যাদির তুলনামূলক সমীক্ষা চালিয়ে অপরাধবিজ্ঞান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৪. এসিড নিক্ষেপ, ধর্ষণ, শিশু নির্যাতন ইত্যাদি অপরাধের ক্ষেত্রে এ পদ্ধতি বিশেষ কার্যকর।
৫.এ পদ্ধতির মাধ্যমে আমরা একই ঘটনার বিভিন্ন এলাকায় প্রভাবজনিত চিত্র জানতে পারি ।
অসুবিধা : তুলনামূলক পদ্ধতিটি অত্যন্ত কার্যকর হলেও এর কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যেমন-
১.এ পদ্ধতির সাহায্যে কারও ব্যক্তিগত কোন অপরাধের তথ্য পাওয়া যায় না।
2.এ পদ্ধতির মাধ্যমে একা কাজ করা যায় না। অর্থাৎ “I1 depend on the other method”.
উপসংহার : অসুবিধার তুলনায় সুবিধার লক্ষণ বেশি থাকলেও অপরাধবিজ্ঞানের ক্ষেত্রে Comparative method এর তেমন ব্যবহার নেই বললেই চলে।