Download Our App


ডিগ্রী অনার্স মাস্টার্স পরীক্ষার রকেট স্পেশাল সাজেশন পেতে পেতে Whatsapp এ ম্যাসেজ করুন। Whatsapp 01979786079

ডিগ্রী অনার্স বই App এ পেতে Whatsapp এ nock করে User ID নিয়ে Login করুন। আমাদের সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

প্রশ্নের উত্তর

বাঙালি দর্শনে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের প্রভাব সংক্ষেপে আলোচনা কর।

অথবা, বাঙালি দর্শনের বিকাশে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের ভূমিকা কী?
অথবা, বাঙালি দর্শনের বিকাশে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের অবদান কি?
অথবা, বাঙালি দর্শনের বিকাশে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রের গুরুত্ব তুলে ধর।
উত্তর৷। ভূমিকা :
বাঙালি দর্শন অতি প্রাচীন দর্শন। বাঙালি দর্শন বলতে বাঙালির ধ্যানধারণা, চিন্তন মনন,ভাবধারা, মতামত, সংস্কৃতি, ধর্ম,রাজনীতি প্রভৃতির সংমিশ্রণকে বুঝায়। বিভিন্ন যুগে বিভিন্ন বিষয় বাঙালি দর্শনের বিকাশে প্রভাব বিস্তার করেছে। প্রাচীন ও মধ্যযুগের সনাতন ধর্মের বিভিন্ন শাস্ত্রগ্রন্থ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। বাঙালি দর্শনের বিকাশে বেদ, গীতা, মহাভারত, পুরাণ, মনুসংহিতা, কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র প্রভৃতি বিশেষ ভূমিকা রেখেছে।
বাঙালি দর্শনের বিকাশে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র : বাঙালি দর্শনে প্রভাব বিস্তারকারী শাস্ত্রগ্রন্থের মধ্যে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র অন্যতম। বাঙালি দর্শনে এর প্রভাব নিম্নরূপ :
১. মানুষের স্বরূপ : মনুসংহিতার মতো কৌটিল্য অর্থশাস্ত্রেও মানবসমাজকে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র এ চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে। তবে কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে ব্রাহ্মণের জন্মগত অধিকার স্বীকার করা হয় নি। এ ছাড়া মানবজীবনকে ব্রহ্মচর্য, গার্হস্থ্য, বানপ্রস্থ ও সন্ন্যাস এ চার ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
২. নারীর মর্যাদা/উচ্চাসন: নারী জাতির উন্নয়নের কথা মনুসংহিতার মতো কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রেও দেখা যায়। এখানে নারীরা উচ্চাসনে অধিষ্ঠিত। কৌটিল্য নারী জাতিকে উচ্চ মর্যাদা দানের পাশাপাশি, মানব মর্যাদা সংরক্ষণের কথাও বলেন।
৩. দাসপ্রথা : ভারতবর্ষে দাসত্বকে স্বীকার করা হয় না। কৌটিল্য সুস্পষ্টভাবে বলেছেন যে, একজন আর্যকে কোন অবস্থাতেই অন্যের দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ করা যায় না, অন্তত ভারতবর্ষ তা স্বীকার করে না। আর্থিক দীনতায় পড়ে দাসত্ব গ্রহণ করলেও ঋণ পরিশোধের মাধ্যমে দাসত্ব থেকে মুক্ত হবার কথা কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে উল্লেখ আছে।
৪. রাষ্ট্র ও রাজনীতি : কৌটিল্য রাজতন্ত্রের একজন একনিষ্ঠ সাধক। তাঁর মতে, রাজাই রাষ্ট্র। রাষ্ট্রের উন্নয়ন নির্ভর করে রাজার উপর। রাজাকে হতে হবে সদগুণ ও উন্নত চরিত্রের অধিকারী। সিংহাসনে আরোহণের পূর্বে তাকে বিদ্যার্জন
৫. শাসননীতি : কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্রে শাসননীতি, মন্ত্রী নির্বাচন, দেশের বৈষয়িক উন্নতি, শুদ্ধ নীতি, সেনাদলের নিয়মানুবর্তিতা এবং নৈতিকতার অনুশীলনের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। তাঁর মতে, রাজার মধ্যে নতুন রাজ্য জয়ের আকাঙ্ক্ষা থাকবে এবং যুদ্ধই হবে শেষ উপায়।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার আলোকে আমরা বলতে পারি, মানব প্রকৃতির ব্যাখ্যা, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং রাজ্য বা রাষ্ট্র সম্পর্কিত আলোচনায় কৌটিল্যের অসামান্য অবদান রয়েছে। তাঁর রাষ্ট্র দর্শনে তিনি যে রাজনৈতিক ও সামাজিক মননের পরিচয় দিয়েছেন তার জন্য ভারতবাসী তার কাছে ঋণী।মানুষের সার্বিক কল্যাণ কামনাই তার চিন্তাধারার লক্ষ্য। তার প্রজ্ঞা, সমৃদ্ধি, চিন্তাচেতনা বাঙালি দর্শনে গভীর প্রভাব বিস্তার করেছে।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!