বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয় কিভাবে

সংগৃহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয়। ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর গণপরিষদের দ্বিতীয় অধিবেশনে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৭২ (বিজয় দিবস) থেকে কার্যকর হয়।

বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয় তা নিম্নলিখিত প্রক্রিয়া মাধ্যমে ঘটে:

  1. সংবিধান সংসদের প্রস্তাবনা: সংবিধান প্রণীত হতে হলে প্রথমে সংবিধান সংসদের একটি সদস্য অধিকার বিধায়ক সংসদে একটি প্রস্তাবনা দিতে হয়। এই প্রস্তাবনা সংসদের সদস্যের বৈঠকে পেশ করা হয়।
  2. প্রস্তাবনা যাচাই: প্রস্তাবনা পেশ করার পর, সংসদ তা যাচাই করে যে তা প্রয়োজনীয় হলো এবং সংবিধান সংসদে আপেক্ষিক সদস্যের মধ্যে প্রস্তাবিত পরিবর্তন নিশ্চিত করে।
  3. সংসদে আলোচনা: প্রস্তাবিত সংবিধান পরিবর্তন তথা নতুন সংবিধান সংসদে আলোচনা ও বিতর্কের মাধ্যমে সংসদের সদস্যরা প্রস্তাবিত পরিবর্তনের সমর্থন বা ব্যাপক সম্মতি নেয়। সম্মতি প্রাপ্ত হলে, পরিবর্তন পেশ হয়।
  4. পরিবর্তনের প্রয়োজনীয় সংখ্যার সমর্থন: সংসদে প্রয়োজনীয় সংখ্যার সদস্য পরিবর্তনে সমর্থন দেয় এবং সংবিধান পরিবর্তন সংসদের প্রয়োজনীয় সংখ্যার সদস্যের ভোটে অমোগত হয়।
  5. সংবিধানের প্রণীত হওয়া: পরিবর্তনের সমর্থন পেয়ে সংসদ প্রয়োজনীয় আইনের প্রণীত হওয়া সংবিধান পরিবর্তন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করে সংবিধান প্রণীত করে।

সংবিধান পরিবর্তন প্রণীত হলে, তা সংবিধান সংসদের একটি বৈঠকে দাখিল হয় এবং প্রতিবারের মতো প্রণীত সংবিধান প্রক্রিয়াতি সম্পন্ন হয়। সংবিধান সংসদে প্রণীত সংবিধান বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন হয় এবং এটি দেশের সার্বিক নীতি, সংস্কৃতি, এবং সমাজের মানবাধিকার সম্পর্কে নির্দেশনা দেয়।

বাংলাদেশের সংবিধান প্রণীত হয় একটি দৈর্ঘ্যশৃঙ্গ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে। বাংলাদেশের সংবিধান তিনটি প্রধান পদক্ষেপে প্রণীত হয়: সংবিধান গঠন, সংশোধন ও পুনর্মুদ্ধারণ। নিম্নলিখিত ভাষায় সংক্ষেপে বর্ণনা করা হয়:

  1. সংবিধান গঠন (Constitution Formation):
  • সংবিধান গঠন কমিটি গঠন: প্রথমে, সংবিধান গঠন কমিটি গঠন করা হয়। এই কমিটি নির্ধারণ করে যে কোন প্রয়োজনীয় সংশোধনা বা নতুন সংবিধানের আবশ্যক পরিবর্তন।
  • প্রস্তাবনা ও আলোচনা: কমিটি সদস্যদের মধ্যে সংবিধানে যে কোন পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা ও আপত্তি করতে থাকে। এই আলোচনা সংবিধানের গঠনের সময় মহত্বপূর্ণ কাজ।
  • সংবিধান ড্রাফট তৈরি: কমিটি ড্রাফট সংবিধান তৈরি করে, যেটি প্রধান বিষয়গুলি এবং নীতি সন্নিবেশ করে। এই সংবিধান ড্রাফট পর্যালোচনা এবং পর্যালোচনার সুযোগ দেওয়া হয়।
  • পর্যালোচনা ও সুনির্মাণী কমিটি: পর্যালোচনা ও সুনির্মাণী কমিটি গঠন করা হয় যেটি সংবিধান ড্রাফট পর্যালোচনা এবং পরিপূর্ণ করে।
  • সংবিধানের প্রণীতকরণ: সংবিধান গঠন প্রক্রিয়া সমাপ্ত হলে, তা প্রণীত হয়। সংবিধানের প্রণীতকরণ একটি আধিকারিক ইভেন্ট হয় এবং সংবিধানের প্রণীত সংস্করণটি সরকারের অধীনে আনা হয়।
  1. সংশোধন (Amendment):
  • সংবিধানে যেকোনো সময়ে প্রয়োজনে সংশোধন করা যেতে পারে। সংবিধানে সংশোধন প্রক্রিয়া সরকার এবং পার্লিয়ামেন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়।
  1. পুনর্মুদ্ধারণ (Reconstitution):
  • সংবিধানে মূল পরিবর্তনের প্রয়োজনে এটি সংঘটিত হতে পারে। এটি সংবিধানে