প্রশ্নমালার প্রকারভেদ সংক্ষেপে উল্লেখ কর।

অথবা, প্রশ্নমালার ধরনগুলো উল্লেখ কর।
অথবা, প্রশ্নমালা কত প্রকার ও কী কী?
অথবা, প্রশ্নমালাকে কয়ভাগে ভাগ করা যায়।
উত্তর৷ ভূমিকা :
পরিসংখ্যানে তথ্যসংগ্রহ, বিন্যাস ও বিমোচনের জন্য বিভিন্ন নিয়ম বা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। এগুলোর মধ্যে প্রশ্নমালা পদ্ধতি অন্যতম। মূলত প্রাথমিক তথ্যসংগ্রহের কৌশল হিসেবে প্রশ্নপত্র পদ্ধতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ পদ্ধতি ।
প্রশ্নমালার প্রকারভেদ : নিম্নে প্রশ্নপত্রের প্রকারভেদ আলোচনা করা হলো :
১. কাঠামোগত প্রশ্নপত্র : কাঠামোগত প্রশ্নপত্রে প্রশ্নগুলো সুনির্দিষ্ট, বাস্তব ও পূর্বনির্ধারিত থাকে ।
২. অকাঠামোগত প্রশ্নপত্র : কাঠামোগত প্রশ্নপত্রের বিপরীত অবস্থাই হলো অকাঠামোগত প্রশ্নমালা । এ প্রশ্নমালার
প্রশ্নগুলো সুনির্দিষ্ট এবং পূর্বনির্ধারিত থাকে না।
এছাড়া প্রশ্নপত্রের উত্তরে কাঠামোর উপর ভিত্তি করে প্রশ্নগুলোকে দু’ভাগে ভাগ করা হয় । যথা :
১. মুক্ত প্রশ্নপত্র : যে প্রশ্নপত্রের উত্তর প্রদানের বিষয়টি উন্মুক্ত রাখা হয় তাকেই মুক্ত বা খোলা প্রশ্নপত্র বলে ।
২. আবদ্ধ প্রশ্নপত্র : প্রশ্নমালায় ব্যবহৃত প্রশ্নগুলোর সম্ভাব্য উত্তরসমূহ যে প্রশ্নমালায় দেয়া থাকে কিংবা নির্ধারণ করা থাকে তাকে আবদ্ধ প্রশ্নমালা বলে । এছাড়া প্রশ্নপত্রের অপর দুটি শ্রেণিবিভাগ আছে-
১. আনুষঙ্গিক প্রশ্নপত্র : যে প্রশ্ন অন্য প্রশ্নের উপর নির্ভরশীল তাকেই আনুষঙ্গিক প্রশ্নপত্র বলে। এ প্রশ্নপত্র সবার জন্য প্রযোজ্যও নয়।
২. মেট্রিক্স প্রশ্নপত্র : গবেষণায় ব্যবহৃত একাধিক প্রশ্নের উত্তর যখন একই ধাঁচের হয় তখন নির্দিষ্ট ছক ব্যবহারের মাধ্যমে সেসব প্রশ্নের উত্তর সংগ্রহ করা হয়। ঐ নির্দিষ্ট ছকের মাধ্যমে উত্তর সংগ্রহ করাকে মেট্রিক্স পদ্ধতি বলে ।
উপসংহার : উপর্যুক্ত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বলা যায় যে, পরিসংখ্যানে তথ্য বিশ্লেষণের জন্য প্রশ্নমালা প্রণয়নের মাধ্যমে তথ্যসংগ্রহ করা হয় । প্রশ্নমালা তৈরিতে একদিকে যেমন নির্দিষ্ট পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়, তেমনি যাতে প্রশ্নগুলো সহজ ও আকর্ষণীয় হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা হবে।