প্রশ্নের উত্তর

চৈতি হাওয়া’ কবিতার মূলভাব লেখ।

উত্তর : ‘চৈতী হাওয়া’ কবি কাজী নজরুল ইসলামের একটি মাতাল প্রেমের কবিতা। কবিতাটিতে কবির ব্যক্তিজীবনের উচ্ছল
প্রেমের প্রকাশ ঘটেছে। কবি যাকে ভালোবাসতেন তাঁর সেই প্রিয়তমা কোথায় যেন হারিয়ে গেছে। পাগলের মতো কবি তাঁকে খুঁজে ফিরছেন। হাজারো খোঁজাখুঁজি করেও তিনি তাঁকে খুঁজে পাননি। প্রিয়ার সাথে তাই যোজন যোজন দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। কবির
জীবনটা এক সময় ছিল নিস্তরঙ্গ পুকুরের মতো। এই নিস্তরঙ্গ জীবনে কবিপ্রিয়া প্রেমের ঢেউ তুলে দিয়ে অকস্মাৎ উধাও হয়ে গিয়েছে। কবি তাকে হারিয়ে পাগলপ্রায় হয়ে পড়েছেন। প্রতিদিন পূর্বদিগন্তে সূর্য উঠে আবার পশ্চিম দিগন্তে অস্ত যায়। যাপিত জীবনের এই গতিময় প্রবাহে কবি খেয়াঘাটের মাঝির মতো প্রিয়তমারূপী যাত্রীর সন্ধানে পড়ে আছেন। প্রিয়ার সুখস্মৃতি তাঁকে দিনরাত জ্বালাতন করে মারছে। এক চৈতী দিনে প্রিয়তমা কবির বাহুলগ্না হয়েছিল। আজ আবার চৈতী দিনের আগমন ঘটেছে। চৈতী হাওয়ার আবেশে প্রকৃতি উন্মাতাল । আমের বনে মুকুল ধরেছে। নিসর্গ সেজেছে নানান ফুলে। অথচ কবির জীবন প্রিয়াশূন্য । প্রিয়াকে হারিয়ে তিনি আজ বিভ্রান্ত এবং উদ্ভ্রান্তও বটে। তাঁর জীবনতরী যে আজ কোথায় কীভাবে ভিড়বে তা তিনি জানেন না। কবি অধীর আগ্রহে প্রেয়সীর জন্য অপেক্ষা করছেন। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস একদিন প্রিয়া তাঁর জীবনে ফিরে আসবে। সেদিন তাঁর জীবন আবার সুখস্পর্শে ভরে উঠবে। সেদিন তিনি প্রিয়াকে আর হারিয়ে যেতে দিবেন না।

হ্যান্ডনোট থেকে সংগ্রহীত

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!